Home Page

Selltoearn.com Latest Blog
Blog Id: 129
Blog Title: How to Earn Money from Online
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Career
Location: ABROAD
Company Name: Usnews.com
Blog Details: How to Earn Money Online
Visit These Websites and Apps for Online Work
For those looking to make money online, experts recommend checking out these apps, companies and websites:

A Closer Look

Ibotta
Shopkick
Etsy
Zazzle
Instagram
Behance
Houzz
Takl
Thumbtack
Upwork
Fiverr
Glassdoor
Monster
Indeed
FlexJobs
Better Business Bureau
Remote.co
If you're looking for a flexible way to make $20 to $50 per week, Larsen recommends finding gigs as a mystery shopper through a company like A Closer Look, or giving feedback to companies as a member of a panel study through a company like 20|20 Panel. Another low-commitment way to make money online is through cash-back cellphone apps. Ibotta and Shopkick give you money or digital gift cards when you shop online or in stores.

Looking to sell your products online? A site such as Etsy or Zazzle works great, Larsen says. If you like fashion, interior design, fitness or other hobbies, you may even be able to supplement your income with endorsements on social media sites like Instagram or by blogging as an online media star.

For artists and designers who want to put their portfolios online, sites such as Behance or Houzz work great for showing off previous work, Larsen says. You can share your handyman know-how on Takl or advertise a variety of skills – from home organization to life-coaching – on Thumbtack. Upwork is a common site for promoting your skills as a freelancer. Fiverr is another option for freelance work, but Larsen cautions that there's stiff competition on the site from international workers, who can charge less for similar work. Traditional job-search sites such as Glassdoor, Monster, Indeed and your industry-specific job-search websites will have postings for remote or online work.
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 128
Blog Title: Character Rigging in 3ds Max
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Design/Creative
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: This is a 3ds Max multi-part series on character rigging. This series is composed of three main parts: building, skinning, and rigging the skeleton. ? For additional 3ds Max learning resources check out | http://autode.sk/3dsMaxLearningResources

In this tutorial, you are provided with a high-level summary of what you will learn in subsequent tutorials. In this tutorial, you learn how to rig a character using a simple bone setup. Although 3ds Max has automated skeleton tools such as Biped or CAT, you can have more control over a skeleton by building it manually with 3ds Max bones. This series is made of three main parts: building the bone skeleton, skinning a character's geometry to the skeleton, and rigging the skeleton.
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 127
Blog Title: বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ভয়ংকর ৫ টি রহস্যময় জায়গা |Most mysterious place in BD
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Others
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: বাংলাদেশের ভয়ংকর রহস্যে ঘেরা ৫ টি জায়গা।যেখান থেকে কেউ ফিরে আসে না |Haunted places in Bangladesh | বাংলাদেশের কিছু রহস্যময় স্থান রয়েছে যার সম্পর্কে বেশীর ভাগ মানুষ-ই জানে না। আজ আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় স্থান ।তেমনি কিছু বাংলাদেশের রহস্যঘেরা ৫ টি রহস্যময় জায়গা নিয়ে ।অজানা সব তথ্য। এ পৃথিবীর অনেক রহস্য। এমন এই রহস্যের সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। তেমনি বাংলাদেশেও রহস্যময় স্থান্গুলোর মধ্যে চিরনকালা , গানস অফ বরিশাল , বগালেক এবং সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড এবং লালবাগের কেল্লা উল্লেখ্য ১। গানস অফ বরিশালঃ ব্রিটিশরা বরিশালে আসার সময় নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জের ততকালীন ব্রিটিশ সিভিল সার্জন প্রথম ঘটনাটা লেখেন। বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগরের দিক থেকে রহস্যময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। রহস্যময় ২। বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। ৩। চিকনকালা (নিফিউ পাড়া): কাছের মুরং গ্রাম চিকনকালার লোকেরা বলে প্রতিবছর নাকি (দিনটা নির্দিষ্ট না) হঠাত কোন জানান না দিয়ে বনের ভিতর রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে। শিকারীরা আওয়াজটা শুনলেই সবাই দৌড়ে বন থেকে পালিয়ে আসে। অজানা তথ্য ও রহস্য। ৪। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড: অফ নো গ্রাউন্ড বা অতল স্পর্ষী। রহস্যময় বহু আগে ব্রিটিশরা সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড নামটি দেয়। এর কারণ হলো সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড যেখানে শুরু সেখানে হঠাৎ করেই পানির গভীরতা বেড়ে গেছে ,সাগরের তলদেশের রহস্য, ৫. লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ। শোনা যায় লালবাগ কেল্লার মাটির নিচে সুরঙ্গ উদঘাটনে অনেকবারই নাকি অনেকে সুরঙ্গ দিয়ে নেমেছেন কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। আবশেষে পরীক্ষা করার জন্য নাকি দড়ি দিয়ে বেঁধে মানুষ এবং শিকল দিয়ে বেঁধে ঘোড়া পাঠানো হয়েছে ঘন্টার পার ঘন্টা ফিরে না আসায় দড়ি এবং শিকল টেনে এনে নাকি দেখা গেছে শুধু হাড়-গোড়। ভুতের মুভির মত। ভিডিও টি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এখনি সাবস্ক্রাইব করুন, লাইক করুন আর অজানা তথ্য,অজানা রহস্য , সেরা রহস্য , নতুন রহস্য

ღღღღღღআমাদের অন্য ভিডিও গুলো দেখুন নিচ থেকেღღღღღ ☣পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভূত ও অমীমাংসিত সাগরের রহস্য| ড্রাগন ,বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল ও আর্কটিক সাগরের রহস্য HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=FmuMJ... ☣রহস্যময় রংধনুর পাহার| মুগ্ধ আপনাকে হতেই হবে| সৃষ্টির অপার বিস্ময় নিজ চোখে দেখে নিন।HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=FGE3c... ☣মেয়েদেরকে মুসলমানি করানো হয় যে সমাজে | উন্মোচিত হল ভয়ংকর তথ্য। HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=yLZ0e... ☣যৌন উত্তেজনা যখন মৃত্যু দূত। সময় থাকতে সতর্ক হোন। শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=HuVNL... ☣আঙ্গুল কেটে ফেলা হয় যে মেয়েদের (রহস্য উন্মোচন)| Ajob O Rohossomoy Dani Upojati|Mysterious dani tribe HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=kfFjq... ☣রহস্যময় ড্রাগন ফুল- আজব ও ভয়ংকর ফুল।Dragon Flower- Most mysterious flower in the Earth HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=jTeSc... ☣রহস্যে ঘেরা অমিমাংসিত কয়েকটি ছবি,যা আপনাকে আতংকিত করবেই পর্ব-২ | বিশ্বের রহস্যময় ঘটনা,অজানা যত রহস্য HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=b1tbl... ☣পৃথিবী কাপানো অমিমাংসিত কয়েকটি রহস্যময় ছবি- পর্ব ১।Unsolved Mystries Bangla| রহস্য উদ্দার হয়নি এখনো HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=wghRV... ☣Black Magic| ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক ম্যাজিক|জানুন অজানা রহস্য যা আজো জানা জায়নি। HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=OBkq2... ☣ভয়ংকর এক ভুতের আতংকে সুন্দরবন।আলো যখন মৃত্যুর দুত | Aleya ghost lights in Sundarban| রাতের সুন্দরবন HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=OZNjT... ☣রহস্যময় গ্রেভিটি | পৃথিবী যেখানে উল্টো নিয়মে চলে | পৃথিবীর ভেতর অন্য পৃথিবী HD ➳➳➳https://www.youtube.com/watch?v=ABPfQ...
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 126
Blog Title: বাংলাদেশের অর্জন
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Real Estate/Development
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদন্ডেই উন্নীত হয়েছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদন্ড অনুযায়ী এক্ষেত্রে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দমমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ।

‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ - যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস’ সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উঠে আসে জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে যাচ্ছে। উঠে আসে জাতির পিতা কীভাবে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য একতাবদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে কীভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমূখী শিল্পায়ন, ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ। এতে প্রদর্শন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান, ‘আসুন দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

সূত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

নারীর ক্ষমতায়নে অর্জন

নারী বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেকদূর এগিয়েছে। পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। আর এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী হচ্ছে নারী। ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। আর ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ৮০% এর উপর নারী। বাংলাদেশ সরকার নানাভাবে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫০০০। দেশের সবক’টি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ(১) এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষে(২) উন্নীত হয়েছে। সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 125
Blog Title: বাংলাদেশের স্থাপত্য
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Engineer/Architect
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: বাংলাদেশের স্থাপত্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনার গঠন বৈশিষ্ট্য ও শৈলীকে বোঝায়।[১] বাংলাদেশের স্থাপত্যের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যার মূল রয়েছে এদেশের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ইতিহাসের মাঝে।[২] এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিকশিত এবং সামাজিক, ধর্মীয়, বহুজাতিক সম্প্রদায়ের প্রভাবে তৈরি। বাংলাদেশের স্থাপত্য এদেশের মানুষের জীবনধারা, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আধুনিক ও উত্তর-আধুনিক স্থাপত্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে অসংখ্য স্থাপত্য নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষ রয়েছে যেগুলো হাজার বছরের পুরনো।

বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ ও যার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ভারতীয় বৌদ্ধ শাসনের প্রথম দিককার সাম্রাজ্য ছিল পাল সাম্রাজ্য যারা অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শাসন করে। পাল গণ স্থাপত্যের একটি নতুন ধারা তৈরি করে যা পাল ভাস্কর্য শিল্প বিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল। সুবিশাল বিক্রমশিলা বিহার, ওদন্তপুরু বিহার এবং জগদ্দল বিহার ছিল পালদের কিছু উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ধর্মপাল কর্তৃক পাহাড়পুরে স্থাপিত সোমপুর মহাবিহার উপমহাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার এবং একে পৃথিবীর চোখে সৌন্দর্য হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে একে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, চীন, জাপান এবং তিব্বত জুড়ে পাল স্থাপত্য অনুসরণ করা হচ্ছিল। বাংলা যথার্থই "পূর্বের কর্ত্রী" উপাধি অর্জন করে। ড. স্টেল্লা ক্রাম্রিস্ক বলেন: "বিহার এবং বাংলার স্থাপত্য নেপাল, বার্মা, শ্রীলংকা এবং জাভার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।" ধীমান এবং ভিত্তপাল ছিলেন দুইজন বিখ্যাত পাল ভাস্কর। সোমপুর মহাবিহার সম্পর্কে জনাব জে.সি. ফ্রেঞ্চ দুঃখের সাথে বলেন: "মিশরের পিরামিডের উপর গবেষণার জন্য আমরা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করি। কিন্তু আমরা যদি ঐ অর্থের শতকরা মাত্র এক ভাগ সোমপুর মহাবিহারের খননে খরচ করতাম, কে জানে কিরকম আশ্চর্যজনক আবিষ্কার সম্ভব হত।"[৩]

বাংলার সালতানাত ছিল ১৩৪২ থেকে ১৫৭৬ এর মধ্যবর্তী সেই সময় যখন মধ্য এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম নবাবেরা মুঘল সাম্রাজ্য থেকে প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে শাসন করছিলেন। এই সময়ের অধিকাংশ মুসলিম স্থাপত্য পাওয়া যায় গৌড় অঞ্চলে, যা আজকের রাজশাহী বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা জুড়ে ছিল। এই সময়ের স্থাপত্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল স্থানীয় বাঙালি স্তাহপত্য ঐতিহ্যের প্রভাব। সালতানাতের স্থাপত্যের প্রভাব বিস্তার করেছিল ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনা মসজিদ এবং কুসুম্বা মসজিদ এর মত স্থাপত্য তে।[৪]

১৫৭৬ এর দিকে মুঘল সাম্রাজ্য বাংলার বেশিরভাগ জায়গায় বিস্তার লাভ করে। ঢাকা মুঘলদের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে আবির্ভাব হয়। ১৬০৮ সালে সুবাদার প্রথম ইসলাম খান শহরটিকে বাংলা সুবাহর রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিলে নগরায়ন এবং আবাসন এর ব্যাপক উন্নতির ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, এবং এই সময়ে অসংখ্য মসজিদ এবং দুর্গ নির্মাণ হতে থাকে। বড় কাটরা নির্মাণ করা হয়েছিল ১৬৪৪ থেকে ১৬৪৬ সালের মধ্যে, সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহ সুজার দাপ্তরিক বাসভবন হিসেবে।

আজকের বাংলাদেশে ভারতীয় মুঘল স্থাপত্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছায় সুবেদার শায়েস্তা খানের শাসনামলে, যিনি আধুনিক নগরায়ন ও সরকারি স্থাপত্যকে উৎসাহ দিয়ে একটি বিশাল মাত্রার নগরায়ন ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ শুরু করেন।তিনি শিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং প্রদেশজুড়ে অসংখ্য বিশাল স্থাপত্য যেমন মসজিদ, সমাধিসৌধ এবং প্রাসাদ নির্মাণে উৎসাহ দিয়েছেন, যেগুলো কিছু সেরা মুঘল স্থাপত্য নিদর্শনের প্রতিনিধিত্ব করত। খান লালবাগ কেল্লা (আওরঙ্গবাদ কেল্লা নামেও পরিচিত), চক বাজার মসজিদ, সাত মসজিদ এবং ছোট কাটরার ব্যাপক সম্প্রসারণ করেন। তিনি তাঁর কণ্যা পরীবিবির সমাধিসৌধের নির্মাণ কাজ তদারকি করেন।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 124
Blog Title: বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Electrical and Electronic/Mechanical Engineering
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে থাকার জন্য বর্তমান বিশ্ব এখন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে সহজ থেকে সহজতর। দূরে প্রিয়জনের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল হোক বা কম্পিউটার, কাপড় ধোয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন হোক বা গরমে শীতলতার অনুভুতি দেয়া এয়ার কন্ডিশনার এর সবই এখন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সঙ্গী। এই সকল প্রোডাক্ট সহ অন্যান্য সকল ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর সবচাইতে বড় লেটেস্ট কালেকশন রয়েছে অনলাইন শপিং মল আজকেরডিল-এ।
আজকেরডিল-এ ক্রেতাদের সুবিধার জন্য “ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য” নামে একটি আলাদা শপিং ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার থেকে শুরু করে আপনার ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী। বাংলাদেশের অনলাইনে সর্বাধিক বিক্রিত জনপ্রিয় কিছু গৃহস্থালী সামগ্রী হল – টেলিভিশন, টেলিফোন সেট, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, কম্পিউটার, ইস্ত্রী, ওয়াশিং মেশিন/ ড্রায়ার, স্পিকার, অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স সহ সকল পার্টস অ্যান্ড কম্পোনেন্টস এবং ইউনিক কালেকশন আইটেম, এক্সেসরিজ ইত্যাদি। অনলাইনে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের যেসকল পণ্য আজকেরডিল-এ আপনি পাচ্ছেন তার সবই আজকেরডিল দ্বারা গুন ও মান যাচাইকৃত। এছাড়াও দেশী বিদেশী নামকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন- LG, Philips, Walton, Whirlpool, Toshiba, General, Sony, Huawei, Panasonic, Miyako, Samsung, Walton এর পণ্যতো থাকছেই। ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর মধ্যে - টিভি, রেফ্রিজারেটর/ ফ্রিজার, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন/ ড্রায়ার, বাল্ব, সুইচ ও ল্যাম্প, ইস্ত্রী, টেলিফোন সেট, সিম সাপোর্টেড ডেস্ক ফোন, ইলেক্ট্রিক সেলাই মেশিন, ব্লু টুথ স্পিকার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার/ IPS ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, যার সবই আপনি পাবেন আকর্ষণীয় অফারে এবং সবচাইতে সাশ্রয়ী মূল্যে অনলাইন শপিং মল আজকেরডিল-এ।
অনলাইন শপিং-এ বাংলাদেশী ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ, তাদের ভালোবাসা ও নিজেদের ভালো সার্ভিসের সুবাদে অনলাইন শপিং মল আজকেরডিল রয়েছে শীর্ষ স্থানে। লাইফ স্টাইল পণ্য হোক কিংবা ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, যেকোনো অনলাইন কেনাকাটায় আজকেরডিল সর্বদা রয়েছে আপনার সাথে, সবচাইতে আধুনিক ও বিশ্বমানের পণ্য নিয়ে!
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 123
Blog Title: Local Banks in Bangladesh
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Bank/Non-Bank Fin. Institution
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: AB Bank Limited

Private • Commercial • Local **AB Bank Limited** is the pioneer in commercial banking under private ownership in Bangladesh. It started functioning as **Arab Bangladesh Bank Ltd**. on 12 April, 1982. ‘To be the trendsetter for innovative banking with excellence and perfection... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Agrani Bank

Agrani Bank Limited Public • Commercial • Local **Agrani Bank** was nationalized after liberation of Bangladesh. It started functioning as a commercial bank in 1972 and continued as a public sector bank till 16 May, 2007. On 17 May the bank started the third chapter of its life as a limited com... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Al-Arafah Bank

Al-Arafah Islami Bank Limited Private • Commercial • Local With a vision to emerge as the leading Islami bank in Bangladesh, **Al-Arafa Islami Bank** was established by some religious personalities from commerce and industries of the country. To make significant contribution to the national economy for su... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Bangladesh Commerce Bank

Bangladesh Commerce Bank Limited Private • Commercial • Local **Bangladesh Commerce Bank Ltd (BCBL)**. was formed following the National Parliament Act no. 12, 1997. An eleven member Board of Directors was constituted by the Government to steer the new banking organization of the country. The bank started it... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Bangladesh Development Bank

Bangladesh Development Bank Limited Public • Specialized • Local Bangladesh Development Bank Limited (BDBL) is fully state owned Commercial Bank of Bangladesh. In addition commercial banking, BDBL provides financial and technical assistance to broaden the private as well as public sector industrial base of the ... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Bank Asia

Bank Asia Limited Private • Commercial • Local With a vision to make a poverty free Bangladesh, some distinguished entrepreneurs of the country decided to establish a commercial bank. The result was **Bank Asia Limited**. It was the 27th day of November, 1999 when the bank started to function.... Info Loans DPS Cards Accounts Services
BASIC Bank

Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited Private • Commercial • Local **Basic Bank Limited** (**Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited**) came into operation on 21 January, 1989. **Basic Bank** was established with a vision to extend financial support for the hundreds of thousands of small and cottage... Info Loans DPS Cards Accounts Services
BRAC Bank

BRAC Bank Limited Private • Commercial • Local With the vision of "Building profitable and socially responsible financial institution focused on Market and Business with Growth potential, thereby assisting [BRAC](http://www.brac.net/ "BRAC") and stakeholders to build a just, enlightened, healt... Info Loans DPS Cards Accounts Services
City Bank

City Bank Private • Commercial • Local City Bank is one of the oldest private Commercial Banks operating in Bangladesh. It is a top bank among the oldest five Commercial Banks in the country which started their operations in 1983. The Bank started its journey on 27th March 1983 through... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Dhaka Bank

Dhaka Bank Limited Private • Commercial • Local **Dhaka Bank Ltd**. was registered as a public limited company in the year 1995 and it started functioning as a commercial bank on 5 July, 1995. The bank opened its business with an authorized capital of Tk. 1000 million and a paid up capital of T... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Dutch-Bangla Bank

Dutch-Bangla Bank Limited Private • Commercial • Local **Dutch-Bangla Bank Limited (DBBL)** is a scheduled join venture private commercial bank in Bangladesh. The bank is established jointly by local Bangladeshi parties spearheaded by M Sahabuddin Ahmed (Founder & Chairman) and the Dutch company FMO. ... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Eastern Bank

Eastern Bank Limited Private • Commercial • Local **Eastern Bank Ltd**. came into reality in the new democratic environment of Bangladesh with a vision to create a brand in financial arena of the country. Being established in 1992 **EBL** has proved itself as one of the most valuable financial in... Info Loans DPS Cards Accounts Services
EXIM Bank

Export Import Bank Of Bangladesh Ltd Private • Commercial • Local **Export Import Bank of Bangladesh Limited** got in the financial market of the country in the year 1999. It started functioning as **Bengal Export Import Bank limited** on 3 August, 1999 and was renamed as present on 16 November of the same year.... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Farmers Bank

Farmers Bank Limited Private • Commercial • Local *Founded in 2012 By Dr. Muhiuddin Khan Alamgir [Ph.D. in Economics]; Senior Leader, Presidium Member of Bangladesh Awami League and Minister of Govt. Founder Chairman's nternet/ Website & Social Network: *Facebook: http://goo.gl/C4shH *Wikipedia... Info Loans DPS Cards Accounts Services
First Security Bank

First Security Islami Bank Limited Private • Commercial • Local **First Security Islami Bank Ltd**. was incorporated as a limited company on 29 August, 1999 and received clearance from Bangladesh Bank (The Central Bank) on 22 September, 1999. The bank started functioning as a commercial bank from its first bra... Info Loans DPS Cards Accounts Services
ICB Islamic Bank

ICB Islamic Bank Ltd Private • Commercial • Local ICB Islamic bank Ltd. was registered as a public limited company on April, 1987 under the Companies Act, 1913. Through the incorporation it was allowed to perform all kinds of banking, financial and business activities of a commercial bank. The ba... Info Loans DPS Cards Accounts Services
IFIC Bank

International Finance Invest and Commerce Bank Ltd Private • Commercial • Local IFIC Bank started functioning as a finance company in 1976. It was formed as a joint venture between the Government of Bangladesh and several farsighted sponsors from private sector. As GOB relaxed rules and allowed private sector to establish ban... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Islami Bank

Islami Bank Bangladesh Ltd Private • Commercial • Local Bangladesh is one of the largest Muslim countries in the world. The people of this country are deeply committed to Islamic way of life as enshrined in the Holy Qur'an and the Sunnah. Naturally, it remains a deep cry in their hearts to fashion and ... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Jamuna Bank

Jamuna Bank Ltd Private • Commercial • Local Jamuna Bank Limited came out in reality through the initiatives of some dynamic people, who were from different sectors of commerce, trade and industries. It was registered in 2001 as a commercial bank under the Companies Act, 1994. The bank start... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Janata Bank

Janata Bank Limited Public • Commercial • Local **Janata Bank Limited** is one of the biggest commercial banks of the country. It’s a state owned bank that was formed just after liberation of Bangladesh. In fact it was a combination of two smaller banks namely United Bank Limited and Union Ba...
Bangladesh Krishi Bank

Public • Specialized • Local Bangladesh is an agro based country. Till now 85% of our population depends on agriculture for their livelihood, either directly or indirectly. At the same time agriculture contributes the lion share of GDP. So we can’t under-value it any way. Nat... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Meghna Bank

Meghna Bank Limited Private • Commercial • Local *Meghna Bank Limited is the schedule commercial bank in Bangladesh. Info Loans DPS Cards Accounts Services
Mercantile Bank

Mercantile Bank Limited Private • Commercial • Local Mercantile Bank Limited was established by a few dynamic people from industrial and commercial sectors of the country. The bank started its journey as a commercial bank on 02 June, 1999. It expressed its vision to be development of corporate citiz... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Midland Bank

Midland Bank Limited Private • Commercial • Local *Midland Bank Ltd is the 4th generation Scheduled Bank licensed from Bangladesh Bank. *Midland Bank has paid-up capital worth BDT 400 crore that demonstrates it's strong base on which the operation will commence. *It our priority to bond ourselv... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Mutual Trust Bank

Mutual Trust Bank Limited Private • Commercial • Local **Mutual Trust Bank Limited** started its banking activities on 24 October, 1999 following the issuance of license by Bangladesh Bank on 05 October of the same year. The vision of **Mutual Trust Bank**, as expressed by the initiators was to bui...
Info Loans DPS Cards Accounts Services National Bank

National Bank Limited Private • Commercial • Local Emergence of **National Bank** in the banking arena of Bangladesh was a remarkable event. While the national economy was sunken in severe recession some dynamic people with a vision came forward to establish a commercial bank. Their attempt was to... Info Loans DPS Cards Accounts Services
NCC Bank

National Credit & Commerce Bank Ltd Private • Commercial • Local Starting its journey as an investment company in 1985 **National Credit and Commerce Bank ltd**. came out as a private commercial bank in 1993. As an investment company it operated through its 16 branches with commendable reputation up to 1992 and... Info Loans DPS Cards Accounts Services
NRB Bank

NRB Bank Limited Private • Commercial • Local **NRB Bank** NRB Bank is one of the fourth generation private sector banks to have begun operations in 2013, where local meet global. Bringing together a passionate and entrepreneurial group of NRB investors from all over the world, NRB Bank ai... Info Loans DPS Cards Accounts Services
One Bank

One Bank Limited Private • Commercial • Local **One Bank Limited** came into existence as a commercial bank following its incorporation in May, 1999. It’s a third generation private sector bank of Bangladesh. The bank announced as its vision to be a role model bank of Bangladesh through meeti... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Premier Bank

The Premier Bank Limited Private • Commercial • Local **Premier Bank** is one of the latest generation commercial banks of Bangladesh. The bank started functioning in 1999 after being established under the Banking Companies Act, 1991. ####Products & Services **Premier Bank** provides all genera... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Prime Bank

Prime Bank Ltd Private • Commercial • Local In the backdrop of economic liberalization and financial sector reforms, a group of highly successful local entrepreneurs conceived an idea of floating a commercial bank with different outlook. For them, it was competence, excellence and consisten... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Pubali Bank

Pubali Bank Limited Public • Commercial • Local ###History **Pubali Bank limited** was the outcome of some visionary peoples’ endeavor to rise even under the autocratic rule of Pakistan. In 1959 some courageous men decided to establish a commercial bank owned by Bengali persons alone and a... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Rajshahi Krishi Unnayan Bank

Rajshahi Krishi Unnayan Bank Public • Specialized • Local All the assets and liabilities of **Bangladesh Krishi Bank**, Rajshahi Division was handed over to **Rajshahi Krishi Unnayan Bank** by the Presidential Ordinance No. 58, 1986. Thus the bank RAKUB came into reality. It’s a government owned bank a... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Rupali Bank

Rupali Bank Limited Public • Commercial • Local **Rupali Bank Limited** was established in a newly independent country of Bangladesh as a Nationalized Commercial Bank in the year 1972. **RBL** emerged through merger of three comparatively smaller private banks of the then East Pakistan. The thr... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Shahjalal Islami Bank

Shahjalal Islami Bank Ltd Private • Commercial • Local **Shahjalal Islami Bank** commenced its operation as a commercial bank on 10 May, 2001 under the Bank Companies Act, 1991. This bank follows Islamic Shariah strictly. **SJIBL** started functioning with a vision to develop itself as a unique Islami... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Social Islami Bank

Social Islami Bank Ltd. Private • Commercial • Local **Social Islami Bank** was founded in 1995 as **Social Investment Bank Limited** and changed its name to the present one on August 2009. **SIBL** has been running its activities through its 72 branches all over the country. It provides Islami b... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Sonali Bank

Sonali Bank Limited Public • Commercial • Local National Bank of Pakistan was the largest commercial bank in the then East Pakistan. After liberation of Bangladesh in 1971, this bank along with two smaller banks, Premier Bank and Bank of Bahawalpur were merged into **Sonali Bank**. The bank w... Info Loans DPS Cards Accounts Services South Bangla Agriculture and Commerce Bank South Bangla Agriculture and Commerce Bank Ltd. Private • Commercial • Local -Mission: *It is our mission to provide a customer friendly environment by service excellence for all of corporate, agro based SME and retail segments by twisting agriculture, industrialization, trade & commerce and mobilization of foreign invest... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Southeast Bank

Southeast Bank Limited Private • Commercial • Local **Southeast Bank Limited** was established as a third generation private sector bank of Bangladesh. Till now it has developed itself and contributed quite a lot to the national economy. In the year 2001 its authorized capital was BDT 500 million a... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Standard Bank

Standard Bank Limited Private • Commercial • Local **Standard Bank Limited** was established as a Public Limited Company in 1999 under the Companies Act, 1994. Since inception **SBL** is providing almost all banking services and products to its clients. During last 12 years it has developed a good...
Trust Bank Limited

Private • Commercial • Local In the year 1999 **Trust Bank Limited** emerged as a private commercial bank in the banking arena of Bangladesh with a vision to meet customers’ expectations to a bank. At the same time it would develop itself as the bank of choice through service... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Union Bank

Union Bank Limited Private • Commercial • Local *Union Bank Ltd a new shariah Based commercial bank in Bangladesh. Info Loans DPS Cards Accounts Services
United Commercial Bank

United Commercial Bank Limited Private • Commercial • Local Some leading personalities from industry and business of the country got together in early eighties of the last century to build up a commercial bank. The result was one of the first generation private sector banks of the country. Thus **United co... Info Loans DPS Cards Accounts Services
Uttara Bank

Uttara Bank Limited Private • Commercial • Local In the year 1965 a commercial bank was established in private sector at Dhaka. It was named as Eastern Banking Corporation. After liberation of the country in 1971 the bank was nationalized as **Uttara Bank** by the Government against order P.O. ...
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 122
Blog Title: Square Pharmaceuticals Ltd.
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Health/Medical/Pharma
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: Mr. Samson H Chowdhury was born on 25 September, 1925. After completing education in India he returned to the then East Pakistan and settled at Ataikula village in Pabna district where his father was working as a Medical Officer in an outdoor dispensary. In 1952, he started a small pharmacy in Ataikula village which is about 160 km off capital Dhaka in the north-west part of Bangladesh. Mr. Samson H Chowdhury then ventured into a partnership pharmaceutical company with three of his friends in 1958. When asked why the name SQUARE was chosen he remembers - "We named it SQUARE because it was started by four friends and also because it signifies accuracy and perfection meaning quality" as they committed in manufacturing quality products. Now that small company of 1958 is a publicly listed diversified group of companies employing more than 28,000 people. The current yearly group turnover is 616 million USD. SQUARE today is a name not only known in the Pharmaceutical world, it is today a synonym of quality- be it consumer product, toiletries, health products, textiles, agro vet products, information technology and few more. All these were possible due to his innovative ideas, tireless efforts, perseverance and dedication with self confidence which contributed to his successful achievements. Now the name "SQUARE" inspires trust. Under his dynamic leadership, SQUARE is set to continue its progress globally.
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 121
Blog Title: কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সিইওদের পরামর্শ
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Production/Operation
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ব্যবসায় উৎপাদনশীলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ততা এবং উৎপাদনশীলতার সুতো এক সাথে বাঁধা খুব কঠিন। এমন অনেক দিনই হয়, খুব ব্যস্ততায় কেটে যায় কিন্তু দিন শেষে ফলাফল দেখা যায় শূন্য। এই উৎপাদনশীলতা বিভিন্ন সিইও বাড়ান বিভিন্নভাবে।
সকালবেলাই ঠিক করুন কি কি করবেন

হ্যালো ডিজাইনের সিইও ডেভিড লাই বলেছেন, দিনটা কীভাবে শুরু করব এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রতিদিন খুব কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠি। সকালে ঘুম ভাঙ্গাতে আমার খুব কষ্ট হয়। এজন্য আমি সাইকেল চালাই। এতে আমার অবসাদ কেটে যায়। আর একটা ভীষণ উপকার হয় এই সাইকেল চালনায়। দিনের চ্যালেঞ্জগুলো নিতে আমাকে কঠোর করে তোলে মানসিকভাবে। দিনে প্রোডাক্টিভ হতে তাই সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এরপর অফিসে যেয়ে আমি প্যাডে কাজগুলো লিখে ফেলি। এবং সে অনুযায়ী কাজে নেমে পড়ি। এই লিস্ট করার জন্য আমি সহজেই জেনে যাই, কাজগুলো কেমন অগ্রসর হচ্ছে এবং ভালো একটা অনুভুতিও আসে যখন দেখি কাজগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে।

অন্তত বাড়িতে থেকে সপ্তাহে একদিন কাজগুলো করুন

হাব স্পট সিইও ব্রিয়ান হালিগান বলেছেন, আমি দেখি মানুষ শুধু কাজ আর কাজ করে যায়। কিন্তু চিন্তা করে না, ভাবে না। আমি বুধবারে অফিসে যাই না। এই দিনটি আমি চিন্তার জন্য রেখে দিয়েছি। আমি এই দিনে কাজগুলো দেখি। চিন্তা করা বনাম কাজ করার অনুপাতটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
সপ্তাহে অন্তত একদিন একাকীত্বের প্রয়োজন

গুড ডেটা সিইও রমান স্টানেক বলেন, মাসে ২ দিন যদি নাও হয় অন্তত একদিন একা থাকা দরকার। একজন সিইওর মূল কাজ হল, ব্যবসায়িক কর্মকৌশল নির্ধারণ। তাই, আমাকে চিন্তা করতে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে কী হচ্ছে, আমার কোম্পানি কী করছে। চলতি ট্রেন্ডগুলো আমরা ভিন্নভাবে কীভাবে করতে পারছি বা করছি। আমি প্রতিদিন ৭ টায় অফিসে যাই। দৈনন্দিন এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে এসব চিন্তাভাবনার আসলে সময় হয় না। এক্ষেত্রে বাইক অনেক উপকারী। এমন যদি জায়গায় যাওয়া যায় যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তবে আরও ভালো হয়।

করতে হবে ৮০/২০ বিশ্লেষণ

উদ্যোক্তা ট্রেইনার টিম ফেরিস জোর দিয়েছেন, ৮০/২০ বিশ্লেষণের উপর। তিনি বলেছেন, মাসে অন্তত একবার আমাদের কাজগুলোর ৮০/২০ বিশ্লেষণ করা উচিৎ। অর্থাৎ, আমাদের এটা দেখা দরকার, আমাদের কাজকর্মের ২০%- যেগুলো মোট ফলাফলের ৮০% দেয় সেগুলো কেমন হচ্ছে আবার কাজকর্মের ২০% যেগুলো আমাদের সময়ের ৮০% নিয়ে নেয় সেগুলো ফলাফল কেমন হচ্ছে। এতে কাজের ঘাটতি এবং পুনরাবৃত্তিগুলো সহজেই পাওয়া যায়। ফলে সহজেই আপনি আপনার কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারবেন। কোন ব্যবসার আপনি মালিক, এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনি ব্যস্ত। আর ব্যস্ত অর্থ এই নয় যে আপনি অনেক বেশী উৎপাদনশীল। তাই, ব্যস্ততা ও কাজের ফলাফলের অনুপাত জানতে ৮০/২০ বিশ্লেষণ করতে হবে।

গতকালের ইমেইল নির্ধারণ করবে আজকের করনীয়
জ্যাপসের সিইও টনি হসি বলেছেন, আমি গতকালের ইমেলগুলো দিয়ে আজকের করনীয় লিস্ট তৈরি করি। আগে আমার এমন হতো যে, আমি মেইলের উত্তর দিতে পারতাম না। মেইলের পর মেইল জমে যেতো। মনে হতো এগুলো শেষ হবার নয়। এই অবস্থা থেকে টনি হসি বেরিয়ে এসেছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনে তিনি বলেছিলেন yesterbox- এর কথা। yesterbox- এর মূল কথাগুলো হল,

গতকালের ইনবক্সে জমে থাকা ইমেল দিয়ে আজকের করনীয় লিস্ট তৈরি করুন ইমেইল পড়ে যদি মনে হয় অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে, সেই ইমেলের উত্তর দেবার দরকার নেই, একটি শব্দ দিয়েও যদি উত্তর দেয়া যায় গতকালের ১০ টি ইমেইল দেখার পর আজকের ১ টি মেইল দেখুন
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 120
Blog Title: পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Collection
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: 98 সাহিত্য পরিষদ-পত্রিকা । কাৰ্ত্তিক হইতে দুগ্ৰাপ্য প্রাচীন গ্ৰন্থ লকল যেমন খণ্ডশ্য প্রকাশিত হয়, দুঙ্গাপ্য প্রাচীন বাঙ্গালা কাব্য সকলও পরিষদ হইতে সেইরূপ খণ্ডশঃ প্ৰকাশিত হইবে। পরিষদের মত হইলে “এইরূপ প্ৰাচীন পুখি সকল সংগৃহীত হইতে পারে। অনুগ্রহ পূর্বক পত্ৰখানি পরিষদের বিবেচনার্থ উপস্থিত করিলে বাধিত হইব । ইভি क si, ya -་་་་་་་་་་་་་་་ - , ་་་་་་་་་་་་་ ༡ ༣་ ቐማSቕዛ ৭ই আশ্বিন, ১৩০১ لمہ۔ kr শ্ৰী রজনীকান্ত গুপ্ত । পত্র পাঠান্তে সভ্যগণ কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন,-প্ৰস্তাব দুইটি দুইজন ভিন্ন ব্যক্তির হইলেও প্ৰস্তাব দুইটি কিন্তু বিষয়েতে একই। সুতরাং প্ৰস্তাব দুইটিকে একটি প্ৰস্তাব বলিয়াই গ্ৰহণ করা হইল। তৎপরে পরিষদের আয় ও আর্থিক অবস্থার কথা লইয়া অনেকক্ষণ আলোচনা হইল। অর্থাৎ পরিষদের বাৰ্ত্তমান অবস্থায় প্রাচীন পুথি ও পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের নিমিত্ত একজন উপযুক্ত লোককে বেতন দিয়া নিযুক্ত করা ও তাহার পাথেয়াদি ব্যয়ভার বহন করা। আপাততঃ পরিষদের পক্ষে সম্ভব কি না,-ইহা DBBDB BBS DBDBDDDBD DBDSS DBDDB S sBBBDB DD DDBDuDuDD BDD মহাশয় বলিলেন,-পরিষদ। যদি প্ৰকৃত পক্ষে কাজ দেখাইতে পারেন, তাহা হইলে অর্থ সম্বন্ধে কোনরূপ অভাব ঘটবে না বলিয়াই বোধ হয়। এইরূপ অনেকে অনেক প্ৰকার মতামত ব্যক্ত করিলে পর স্থিরীকৃত হইল যে,-এই বিষয়ের ভার কাৰ্য্য-নিৰ্বাহক সভার উপর অৰ্পিত হউক। প্রাচীন পুথি ও পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের নিমিত্ত একজন উপযুক্ত লোক অন্ততঃ এক বৎসর কাল পরিশ্রম করিলে কি পরিমাণ ব্যয় হইতে পারে, কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সমিতি তাহা বিবেচনা পূর্বক সেই পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করিবেন। তার পর অর্থ সংগৃহীত হইলে পরিষদকে তাহা জানাইবেন। পরিষদ কাৰ্য্য-নিৰ্বাহক । সমিতির নিকট আশানুরূপ সংবাদ প্রাপ্ত হইলে পর, লোকনিয়োগাদি যাহা করিতে হয় তাহা করিতে যত্নপর হইবেন। তবে বিনা ব্যয়ে কাহার নিকট হইতে কোন পুথি বা পাণ্ডুলিপি প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকিলে পরিষদের সভ্যগণ তাহা সংগৃহীত করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন। আর বাঙ্গালার প্রসিদ্ধ বক্তা ও লেখকদিগকে পারিতোষিক প্ৰদান বিষয়ে পরিষদ ভবিষ্যতে বিবেচনা করিবেন। ' ' : ' ' ' ** ** ৫। শ্ৰীযুক্ত উমেশচন্দ্র বটব্যাল মহাশয়ের প্রস্তাব উপস্থিত হইলে স্থিরীকৃত হইল যে, S sBuD BiBSDBDD DDDD BBD DDBDDDB BDDDBDB DDDD KBKBD DBBDS ছেন, কিন্তু এই প্ৰভাৰ সম্বন্ধে কিছু করা পরিষদের শক্তি ও সামর্থ্যের অতীত বলিয়া একান্ত দুঃখপ্রকাশ করিতেছেন। ፳
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 119
Blog Title: বাংলাদেশের কৃষি
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Agro (Plant/Animal/Fisheries)
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লোকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১% লোকের কৃষিখামার রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ধান,পাট,তুলা,আখ,ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ,মাছ চাষ,সবজি, পশুসম্পদ উন্নয়ন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি,বীজ উন্নয়ন ও বিতরণ ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ দেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।

এদেশের কৃষকরা সাধারণত সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকে। বেশিরভাগ কৃষক এখনও ফসল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে লাঙ্গল,মই এবং গরু ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। তবে কৃষকদের অনেকেই এখন বিভিন্ন আধুনিক কৃষি-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্বের তুলনায় ফলন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রধান ফসল হলেও গম,চা,আখ,আলু এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি এদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উৎপাদিত হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় যা বিভিন্ন প্রকল্প ও সংস্থার মাধ্যমে কৃষিখাত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি কৃষিপণ্যের উন্নয়ন থেকে শুরু করে কৃষি, কৃষি প্রকৌশল ও কৃষি অর্থনীতির ওপর গবেষণাসহ কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর -এর কার্যকর সেবা কৃষিখাতে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ করার কাজে নিয়োজিত। বিএডিসির ২১টি বীজ বহুমুখীকরণ খামার এবং ১৫টি কনট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন রয়েছে। ১২টি বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কৃষিজাত পণ্যের বীজ যান্ত্রিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি উদ্যোগ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থা কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) সরকারি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কৃষিখাত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। মন্ত্রণালয়গুলো হচ্ছে কৃষি, বন ও পরিবেশ, মৎস্য ও পশুসম্পদ, পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

খাদ্য নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে চাল উৎপাদনের গুরুত্ব অনুধাবন করে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতি, কম উৎপাদনশীল ধানের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের চাষ এবং দীর্ঘ দিনের প্রচলিত পুরনো উৎপাদন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার প্রবর্তনের জন্য কাজ করছে। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্র ও এ বিষয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র দেশের সবচেয়ে বড় বহুমুখী শস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গম, আলু, ডাল, তৈলবীজ, সবজি, ফল, মশলা, ফুল ইত্যাদি বিভিন্ন শস্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে থাকে। প্রকরণ উন্নয়নের পাশাপাশি মৃত্তিকা ও শস্য ব্যবস্থাপনা,রোগ-বালাই ও ক্ষতিকর পতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উপকরণ উন্নয়ন, শস্যকর্তন পরবর্তী খামার ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত আর্থ সামাজিক অভিঘাত এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ক্ষেত্র।

পারমাণবিক কৃষি বাংলাদেশের কৃষিখাতে একটি নতুন মাত্রা এনেছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) বিকিরণ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন শস্যের ৩৭টি উন্নত জাত তৈরি করেছে। জাতীয় বীজ প্রত্যয়ন সংস্থা এগুলোকে কৃষক পর্যায়ে বিতরণের জন্য অবমুক্ত করেছে।

বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর,রংপুর এবং বগুড়া জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত। এখানে মাটি শক্ত, লাল ও অনুর্বর। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর অধীনে এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত তুলা উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশে তুলাচাষ প্রসারে ও উৎসাহ দানে কাজ করে থাকে। বীজ প্রত্যয়ন সংস্থা চাল, গম, পাট এবং আলু বীজের মান নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে চলেছে।

কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে র কাজ হল মৃত্তিকা সমীক্ষা, সেচ প্রকল্প সমীক্ষা ও এবং মৃত্তিকা নির্দেশিকা ও সহায়িকা তৈরি করা যাতে মৃত্তিকা সম্পদ যৌক্তিক ভাবে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বাজারজাতকরণ বিভাগ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি বাজার সংক্রান্ত জরুরি তথ্য যেন সহজে কৃষক, ব্যবসায়ী, সরকার, নীতি নির্ধারক, উন্নয়ন সংস্থা ইত্যাদির মাঝে সরবরাহ করা যায় তার জন্য একটি ই-গর্ভনেন্স প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ১৯৬১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি তথ্য সেবা শুরু করে। গণমাধ্যম বিশেষ করে রেডিও, টেলিভিশন, প্রামাণ্যচিত্র, পোস্টার, লিফলেট, পুস্তিকা, খবরপত্র, সাময়িকী, ব্যানার, ফেস্টুন এসবের মাধ্যমে এই সেবা কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টিবিদ্যা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বোর্ড প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, প্রচারণা বৈঠক, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুষ্টিবিদ্যায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজ করে থাকে।

সূত্র: (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 118
Blog Title: অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Economics/Accounting/Finance
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি শাখা যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷[১] সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি `Economics` শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Oikonomia' থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। [এল.রবিন্স] এর প্রদত্ত সংজ্ঞাটি বেশিরভাগ আধুনিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, "অর্থনীতি মানুষের অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।" এল.রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমনঃ

ব্যাস্টিক অর্থনীতি ও সামস্টিক অর্থনীতি নীতিবাচক অর্থনীতি ও ইতিবাচক অর্থনীতি মেইনস্ট্রীম ও হেটারোডক্স অর্থনীতি

আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, (১)ব্যাস্টিক অর্থনীতি ও (২)সামস্টিক অর্থনীতি৷ ব্যাস্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷ অন্যদিকে সামস্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি, ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে৷ অন্য ভাবে বলা যায়যে, Micro Economics বা ব্যাষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃস্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 117
Blog Title: পিএইচডি কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Research/Consultancy
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: অনেক সময় আমরা হুট হাট পিএইচডি করব, হেন করব, তেন করব বলি…আপনি যে এই কথা বলেন-জানেনতো পিএইচডি কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?3

বর্তমান ধারনা থেকে লেখা তাই বছরখানেকের মাঝে এই মত বদলাতেও পারো। PhD মানে ডক্টর অফ ফিলোসফি যার মাঝে অনেক লুকানো বিষয় আছে যা বোঝা বা শেখার দরকার আছে। সাধারনত নতুন গবেষনা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যা আগে কখনো করা হয়নি, পিএইচডি অন্যতম চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ না করতে পারলে সাধারনত ডিগ্রী অর্জন করা যায় না।

এখন কথা হলো তাদের নিয়ে যারা মিনিটে মিনিটে প্রশ্ন করে, মাস্টার এবং পিএইচডি করা যাবে তো? আগে জানতে হবে….

আপনি পিএইচডি করে করবেন কি?
উত্তর: জানি না (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)
আপনি কি আপনার প্রফেসর এর ৫% টপ জন (জীবনদশার) শিক্ষার্থীর মাঝে একজন কি?
উত্তর: জি না (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)
আপনার নিজের যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরা হবার যোগ্যতা রাখেনতো?
উত্তর: চিরকুটের জোর আছে না! (তাহলে দরকার নাই চেষ্টা করার)2
এইসব কথা আমাদের অহরহ শুনতে হয় বলেই বলা…অর্ধেক পথে গিয়ে আটকে থাকার চেয়ে আগে বুঝে নেয়াই ভালো। এখন কথা হলো কোন ধরনের ডক্টরেট আপনি পাবেন তা নির্ভর করে আপনার পড়াশোনার বিষয়ের ওপর… Dr-ing (ইঞ্জিনিয়ার), Dr-Phil (ফিলোসফি) প্রভৃতি।

আপনি কি সবজান্তা শমসের? আপনাকে আপনার বিষয়ে আপনার প্রফেসরের থেকে বেশি জানতে হবে, সবার থেকে বেশি জানতে হবে। আন্দাজে মিনিটে মিনিটে এইটা নেই অমুক গবেষনা কখনো হয়নি, তমুক বিষয়ে কাজ আছে কিনা আমার জানা নেই এই সব কথা দিয়ে কাজ হবে না। আন্দাজের ওপর কাজ আর পিএইচডিতে বাশ একই কথা-তা আপনি বাশ খাবেন নাকি আগেই তল্পিতল্পা গোছাবেন, কোনটা?
2

পিএইচডি করার কিছু পেরার কথা এখন না বললেই না…ইউরোপে পিএইচডির ফান্ড বা স্কলারশিপ খুজতে জীবন তামা তামা হয়ে যাবে তারপরেও লক্ষীর দেখা মিলবে না। সেই সাথে আরো ভেজাল হলো পিএইচডি চলাকালীন আপনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারন কাজ করতে পারবেন না। কারনটা খুবই সাধারন, আপনাকে ব্যাচেলর আর মাস্টার চলাকালীন ধরা হবে সাধারন ছাত্র যা কিনা পিএইচডি র সময় ধরা হয় না। এরমানে সাধারন নেবেন জব দিয়ে টেকা যাবে না যদি না ডিপার্টমেন্ট এ hiwi জোটে।2

এইসব পেরা এবং পুলসিরাত পার হতে পারলে তিন থেকে ৭ বছরে আপনি ডকটরেট ডিগ্রী লাভ করবেন এবং নতুন করে চাকরি খোজার পেরায় পরবেন। এর পরেও যদি চান এই রাস্তায় যেতে,রইলো সমবেদনা। একটা কথা খুব জরুরি বলে রাখা ফান্ড পেলেই যে পিএইচডি করতে হবে তাও কিন্তু ঠিক নয় কেননা আপনাকে বুঝে নিতে হবে আসলে আপনি কতটা আগাতে পারবেন। যদি মাঝপথে আটকে যান-আপনি শেষ আর যদি আগে থেকে চাকরি খোজা শুরু না করেন তবে পিএইচডির পরেও আপনি শেষ।….আপাতত এখানেই শেষ করলাম…2বি.দ্র. লেখাটি বিশেষ করে আজকালকার বাংলাদেশী বিশেষ ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের জন্যে লেখা যারা পিএইচডি র মানে বোঝেন না কিন্তু হুটহাট প্রশ্ন ছুড়ে বসেন-আচ্ছা পিএইচডি করা যাবেতো? আপনার সাধারন পরীক্ষাতে পাশ করতে যান যায়, পরীক্ষার হলে ঘাড় ফেরাতে ফেরাতে সময় শেষ আপনি করবেন পিএইচডি? সার্কাসের রিং মাস্টার হয়ে যান কাজে দিবে। অনেক অনেক প্রশ্ন আসে এই ব্যাপারটি নিয়ে তাই বিশেষ যত্ন নিয়ে সত্যি কথা লেখার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 116
Blog Title: কোন দেশে কোন খেলার জন্ম
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Sports
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ১। ক্রিকেট খেলার জন্ম = ইংল্যান্ডে/ত্রয়োদশ শতাব্দীতে. ২। ফুটবল খেলার জন্ম = চীনে (প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে) ৩। কাবাডি খেলার উৎপত্তি = ভারতে ৪। হকি খেলার উৎপত্তি = গ্রিসে/১৮৯৫ সালে ৫। ব্যাডমিন্টন খেলার উৎপত্তি = ইংল্যান্ডে/১৮৬০ সালে ৬। ভলিবল খেলার উৎপত্তি = আমেরিকায় ৭। বাস্কেটবল খেলার উৎপত্তি = যুক্তরাষ্ট্রে/১৮৯১সালে

বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে ফুটবল খেলার আবিষ্কারক চীন দেশ হলেও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দেখা যায়, গ্রিক সভ্যতা এবং রোমান সভ্যতায় ফুটবল খেলার চল ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ সালের দিকে গ্রিক ও রোমানরা বল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলত। গ্রিক ও রোমানদের বল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলার মধ্যে কিছু কিছু খেলা তারা পা দিয়ে খেলত। গ্রিক খেলা Episkyros এর উৎপত্তি হয়েছে রোমান খেলা Harpastum থেকে। বিশ্ব ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা প্রথমে প্রাচীন গ্রিক খেলা Episkyros কে ফুটবলের সর্বপ্রথম রূপ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। পরে ফিফা মত পরিবর্তন করে ‘cuju’ কে ফুটবল খেলার প্রথম রূপ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ‘cuju’ ছিল চীনের একটি খেলার নাম। চীনা ভাষায় এর অর্থ ‘kick ball’।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 115
Blog Title: কেন আপনি চাকুরি পাচ্ছেন না ?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Career
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: কেন আপনি চাকুরি পাচ্ছেন না ?

১.প্রথমত, সিভি ড্রপ করার পরও প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানি হতে আপনাকে ডাকা হচ্ছে না ।

২.বহু নির্বাচনী, লিখিত, ভাইবা ইত্যাদি পরীক্ষায় ভাল পারফর্ম করার পরও আপনি বার বার বাদ পরছেন ।

৩.ফটকা প্রতিষ্ঠান হতে চাকুরির ব্যাপারে প্রতারিত হয়ে চাকুরির আশা ত্যাগ করে হতাশায় ভোগছেন ।

৪.প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির মালিক/ পরিচালক মূলত পদ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যাকে খুঁজছেন, আসলে আপনি নিজে সেরকম নন ।

৫.আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির অনুপাতে প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির নিকট আপনার প্রত্যাশা/ প্রাপ্তির পরিধি সামাঞ্জস্যহীন ও অসংগতিপূর্ণ ।

৬.কোটা, তদবির, পরিচিতি, রেফারেন্স কিংবা অন্যান্য কোন বিশেষ কারনে যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আপনার চাকুরি নাও হতে পারে ।

৭.কর্মদাতা/ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্তাদি আরোপ করে দেন এবং এই সমস্ত শর্তাদির কোন একটি লঙ্গন করার জন্যও আপনার চাকুরি নাও হতে পারে ।

৮.ভিন্ন ভিন্ন পেশার ভিন্ন ভিন্ন পদের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে আপনার সিভি আপডেট করা হয় না ।

একই সিভি একাধিক পদে ব্যবহার করার কারনে তা চাকুরি অনুসারে প্রাসঙ্গিক হয় না ।ফলে নিয়োগদাতার নিকট থেকে কোন রেসপন্স আসে না ।

৯.বহু নির্বাচনী কিংবা লিখিত পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে সঠিকভাবে উত্তর দেওয়া হয় না ।

১০.ঐচ্ছিক/ বাধ্যতামূলক/ পাঠ্য সম্পর্কিত বিষয়সমূহে মৌলিক/ বাস্তবিক ও চর্চাগত দূর্বলতা ।

১১.এছাড়াও উক্ত বিষয়সমূহে ভাল কমান্ড ও প্রাকটিস থাকা সত্ত্বেও আপনার চেয়ে দক্ষ ও মেধাবী চাকুরি প্রার্থীদের সাথে প্রতিযোগীতা করা ।

১২.নিজের প্রতি অনাস্থা এবং নার্ভাস জনিত কারনে বারবার ভাইবা পরীক্ষাতে বাদ পরা ।

১৩.ভাইবা বোর্ড আপনার কাছ থেকে সকল বিষয়ে যা কিছু আশা করেন তা দিতে না পারা ।

১৪.অনেক ক্ষেত্রে, বিভিন্ন অসাধু প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির প্রতিযোগীতামূলক পাবলিসিটি/ প্রচার প্রচারনা/ দৃষ্টি আকর্ষণ/ সুনাম বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়সমূহও চাকুরি প্রার্থীদের বিব্রত করে থাকে ।

১৫.সর্বোপরি, আপনি মূলত যে কাজের জন্য চাকুরি খুঁজছেন ঐ কাজ সম্পর্কে আপনার দূর্বলতা, অসাবলীলতা ও চার্চার অভাব এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার অভাবে আপনার প্রত্যাশিত চাকুরি নাও হতে পারে ।

যেভাবে চাকুরি পেতে পারেন:


১.প্রথমত, প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানিতে সিভি ড্রপ করার পরও কেন আপনাকে ডাকা হয় না তার মূল কারন খুঁজে বের করে এর দ্রুত সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ।

২.সাধারনত কুয়ালিফাইড প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানিগুলো কুয়ালিফাইড কর্মী প্রত্যাশা করে থাকে ।

অতএব, তাদের চাওয়ার সাথে মিল রেখে আপনার কাঙ্খিত পদ অনুসারে সেই কুয়ালিটি নিজের মধ্যে সৃষ্টি করুন ।

৩.আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতার সাথে মিল রেখে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক পদের জন্য আবেদন করুন ।

৪.নিয়োগদাতা/ মানবসম্পদ বিভাগ যে প্রক্রিয়ায় আপনাকে আবেদন করতে বলেন ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় আবেদন করুন ।

৫.একটি কথা মনে রাখার চেষ্টা করবেন, ‘চোখ যেমন আপনার মনের আয়না’; ঠিক তেমনি ‘সিভি হল আপনার নিজের আয়না’ ।

তাই এই সিভিতে গরমিল থাকলে আপনাকে ঘোলাটে, ঝাপসা কিংবা ফ্যাকাশে দেখাবে ।

৬.প্রতিটি ভিন্ন ধরনের চাকুরির ভিন্ন ধরনের পেশা/ কাজের জন্য ভিন্ন ধরনের সিভি তৈরী করুন ।

৭.৫টি মাধ্যমে আপনার সিভি ও আবেদনপত্র প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানি/ হেড অফিসে পৌঁছানো নিশ্চিত করুন ।

(যেমন: সরাসরি হাতে দিয়ে আসা, ডাক বা কুরিয়ারের মাধ্যমে, ইমেইলের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং অনলাইন জব পোর্টালগুলোর মাধ্যমে ।)

৮.মনে রাখবেন, ‘সব ধরনের কাঠ দিয়ে যেমন ঘড়ের সাথির যেওয়া যায়না, ঠিক তেমনি অদক্ষ ও অকেজো কর্মী দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আশা করা যায় না’ ।

সুতরাং, অর্জিত দক্ষতাই আপনাকে সাফল্যের পথ দেখাবে ।

৯.প্রতিটি লিখিত/ ভাইবা পরীক্ষা থেকে ব্যর্থতাই একমাত্র পারে আপনাকে সাফল্যের পথ চিনিয়ে দিতে ।

তাই এই ব্যর্থতাকে আপনার সর্বোচ্চ শিক্ষাগুরু হিসেবে বরন করে নিন এবং এখান থেকে আপনার ত্রুটি ও ক্যারিয়ার ঘাটতি সমূহ কমিয়ে আনুন ।

১০.সর্বোপরি, লক্ষ্যটাকে গন্তব্য বানিয়ে বিশাল সম্ভামনাময় সাফল্যের সমূদ্রে ধীর-স্থির কঠোর পরিশ্রমকে বৈঠা হিসেবে তীব্র আকাঙ্খা বুকে ধারন করে স্বপ্নের তরী ভাসিয়ে দিন ।এই স্বপ্নের তরী গন্তব্যে পৌঁছাবেই একদিন, ইন্‌শাল্লাহ্ ।

ধন্যবাদান্তে——–হেমাস কর্তৃপক্ষ এবং এক্সিকিউটিভ, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট, বিডি জবস্.কম Developer & Producer.
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 114
Blog Title: কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Entertainment/Recreation
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: 8.

সামান্য কৈফিয়ত : কথা ছিল, বইটি বেরুবে এই বছরের বই মেলায়। কিন্তু আয়োজনটা বড় বলেই নানা কাজের ফাঁকে আর লেখাটা শেষ হয়েও শেষ করা হয়ে ওঠেনি। এত বেশি সম্পাদনা করতে হচ্ছে যে, নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক, ব্লগে আবারও লেখাটা দেয়া শুরু করলাম। তবে এবার মাঝখানে অনেক অনেক অংশ বাদ দিয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি ফ্রেম কম্পোজিশনে। আরেকটা কথা, লেখার কোথাও ভুল থেকে গেলে দয়া করে ধরিয়ে দেবেন। ভীষণ কৃতজ্ঞ হব। শুরুর আগে : শুটিং শুরুর আগে ক্যামেরায় গৃহীত শট সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান অর্জন করে নেই। বিশেষত কম্পোজিশন সম্পর্কে মৌলিক ধারণা না থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক, কম্পোজিশনের মৌলিক নিয়মগুলো। তার আগে জেনে নেই কম্পোজিশন কী ? কম্পোজিশন : একটা ফ্রেমের মধ্যে কোথায় কোন জিনিসটা রাখবেন, কিভাবে রাখবেন, কোনটাকে গুরুত্ব দেবেন, কোনটাকে দেবেন না, কোনটা বড় হবে, কোনটা ছোট হবে ইত্যাদি ব্যাপারগুলো সাজানোই কম্পোজিশন। কম্পোজিশনের কিছু মৌলিক নিয়ম : আপনি জীবনে কখনও না কখনও অবশ্যই আপনার পরিচিত জনের ছবি তুলেছেন। যখনই ছবি তুলেছেন, তখনই না জেনেই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে নিয়েছেন। যেমন : যার ছবি তুলেছেন, তাকে ফ্রেমের মাঝখানে রেখে ছবি তুলেছেন, তার চেহারা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাকে চেনা যাচ্ছে, তার মাথা কাটা যায় নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন নিয়ম-কানুন না জেনেই যে কেউ এই রকম ফ্রেমে ছবি তুলতে পারে। কিন্তু যেহেতু আপনি জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন, স্বভাবতই আপনি আর না জেনে কাজ করবেন না। আসুন, জেনে নেয়া যাক সাধারণ নিয়মগুলো --- ০১) হেড রুম : যখনই কারো ছবি তুলতে গেছেন, তার মাথা উপর সামান্য জায়গা ছেড়েছেন যাতে করে তার মাথা না কাটা যায়। ফ্রেমের উপরের দিকে শেষ সীমানা থেকে তার মাথা পর্যন্ত ছেড়ে দেয়া এই জায়গাটাকে বলে হেড রুম। এই ক্ষেত্রে আপনার মডেল ক্যামেরার দিকে সরাসরি তাকিয়ে আছেন। এইভাবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবি তোলাকে বলে সাবজেকটিভ স্টাইল। আমরা পাসপোর্ট সাইজ ছবি তোলার সময় সব সময় সাবজেকটিভ স্টাইলে ছবি তুলে থাকি। হেড রুম কতটুকু হবে ? হেড রুম হিসেবে ছেড়ে দেয়া জায়গাটি অনেক বেশি হলে আপনার মডেলের ছবি ভালো লাগবে না। আবার হেড রুম অনেক কম হলেও ভালো লাগবে না। মাথা কাটা গেলে তো বাজে লাগবে। সাধারণত উপর নিচে ফ্রেমে মোট জায়গার তিন ভাগের একভাগের থেকে ছোট হয় হেড রুম। এর বেশি হলে বাজে লাগে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, চলচ্চিত্রে বিশেষ উদ্দেশ্যে মাথা কাটা গেলেও সেই ছবি নিয়ম মেনে তোলা। এই রকম ছবি আমরা অহরহই চলচ্চিত্রে দেখে থাকি। সেই নিয়ম আমরা পরে শিখব। আদর্শ মাপের হেড রুম ০২) সাবজেকটিভ ও অবজেকটিভ স্টাইল : ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন, মডেল ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকলে সেটা সাবজেকটিভ স্টাইল। তাহলে ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে ছবি তুলতে সেটাকে কোন স্টাইল বলব ? বুঝে গেছেন, জানি। সেটা অবজেকটিভ স্টাইল। টিভি রিপোর্টাররা যখন সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পিটিসি দেন, তখন সেটা সাবজেটিক স্টাইল শট হয়। অন্য দিকে কোন মডেল ক্যামেরার দিকে না তাকালেই শটটি অবজেকটিভ হয়ে যায়। এবার নিচে দুটি উদাহরণ দেখুন । সাবজেকটিভ স্টাইল অবজেকটিভ স্টাইল ০৩) লুক রুম : অবজেকটিভ স্টাইলে ছবি তুললে মডেল ক্যামেরার দিকে তাকায় না। ফলে সে তাকায় ফ্রেমের কোন এক দিকে। সেটা ডান বা বায়ে হতে পারে। যেমন নিচের ছবিতে মডেল তাকিয়ে আছে ডান দিকে। লুকরুমের সাধারণ কম্পোজিশন (রুল অব থার্ড না মেনে) সে যে দিকে তাকায় সে দিকে যে ফাকা জায়গা রাখা হয় সেটাই লুক রুম। ফ্রেমের যে দিকে তাকিয়ে আছে মডেল, সেই দিকের সীমানা থেকে মডেলের নাক পর্যন্ত ফাকা জায়গাটাকে বলে লুক রুম। সাধারণত মডেলের পেছনের দিকে কম জায়গা রাখা হয়, সামনে বেশি জায়গা রাখা হয়। নিচের ছবিতে দেখুন, মডেলের ডানপাশে বেশি জায়গা রাখা হয়েছে। লুকরুমের সাধারণ কম্পোজিশন (রুল অব থার্ড মেনে) কিন্তু যদি এর উল্টোটা করা হয়, অর্থাৎ মডেলের পেছনে বেশি জায়গা রাখা হয়, তবে মডেলের পেছনের এই ছেড়ে দেয়া জায়গাটিকে অনর্থক শূন্য জায়গা বলে মনে হয়। যেমন নিচের ছবিতে দেখুন, মডেলের সামনে জায়গা না রেখে পেছনে জায়গা রাখা হয়েছে, ফলে ছবিটিতে মডেলের পেছনের জায়গাটিকে অস্বাভাবিক শূন্য মনে হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই লুক রুম না রেখে পেছনে বেশি জায়গা ছেড়ে দেয়াটা ঠিক নয়। তাতে করে পেছনে যে অস্বাভাবিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়, সেটা ফ্রেমের সৌন্দর্যহানি ঘটায়। অন্য দিকে সামনে জায়গা ছাড়তে ছাড়তে অতিরিক্ত জায়গা ছাড়লেও সেটা ভালো দেখায় না। যেমন নিচের ছবিতে মডেলের সামনে লুক রুম রাখতে হিয়ে অতিরিক্ত জায়গা ছাড়া হয়েছে। লুক রুম কতটুকু হবে ? লুক রুম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী নিয়মটি হল দ্যা রুল অব থার্ড। আসুন এবার এই নিয়মটি বুঝি। ০৪) দ্যা রুল অব থার্ড : গোটা ফ্রেমটাকে ডানে বামে এবং উপর নিচে তিন ভাগ করে ফেলার পর সেটা ধরে ছবি তোলার নিয়মকে বলে দ্যা রুল অব থার্ড। সাধারণত এই রুল অব থার্ড মেনে লুক রুম রাখা হয়। ডানে বা বায়ে যে দিকে মডেল তাকায়, সে দিকে তিন ভাগের দু’ভাগ জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী এক ভাগ জায়গা মডেলের পেছনে রাখা হয়। মডেলের মাথার উপর হেডরুম রাখার ক্ষেত্রেও অনেক সময় রুল অব থার্ড মানা হয়। নিচের ছবিটি ভালো করে দেখলেই রুল অব থার্ড বুঝে যাবেন । লুক রুম রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে এই রুল অব থার্ড প্রায় সকল ক্ষেত্রেই মেনে চলা হয়। মডেল : স্মৃতি আঁচল। ফটোগ্রাফি : এটিএম জামাল। (চলবে) আমি চেষ্টা করছি এই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যতটা সহজ করে লেখা যায়, ততটা সহজ করে লিখতে। যাতে করে যে কেউ এই ধরনের বিষয় খুব সহজে বুঝে ফেলে। আমি কি সহজ করে লিখতে পারছি ? **********************************

9.

০৫) ক্যামেরা কোণ : আনুভূমিক ক্যামেরা কোণ : সাধারণত আমরা কোন চরিত্রের সামনে থেকে ছবি তুলতে অভ্যস্ত। কিন্তু কেবল সামনে থেকে ছবি তোলা নয়, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চরিত্রের বিভিন্ন দিক থেকে ছবি তোলার দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে চরিত্রের চারপাশে ক্যামেরা ঘুরে আসতে পারে। চরিত্রের পাশে যখন ক্যামেরা থাকে, তাকে বলে প্রোফাইল এঙ্গেল বা কোণ। এই কোণে ক্যামেরা রেখে যে শট নেয়া হয়, তাকে প্রোফাইল শট বলে। চরিত্রের পেছনের যখন ক্যামেরা থাকে, তাকে বলে ব্যাক এঙ্গেল বা কোণ । এই কোণে ক্যামেরা রেখে যে শট নেয়া হয়, তাকে ব্যাক শট বলে। আনুভূমিকভাবে ক্যামেরা বিভিন্ন কোণে রেখে কিভাবে শট গ্রহণ করা যায়, সেটা নিচের ছবিতে দেখুন। আনুভূমিকভাবে ক্যামেরার বিভিন্ন কোণ আনুভূমিক ক্যামেরা কোণ ব্যবহার করে বিভিন্ন দিক থেকে ছবি তুলতে পারা যায়। ক্যামেরা ক্রমশ ডান দিকে কোণ করে সরতে শুরু করলে নিচের ছবিগুলোর মতো ছবি তোলা যাবে। এই ভঙ্গিতে ডান দিকে ক্যামেরা সরে যাওয়াকে বলা হয় পজিটিভ এঙ্গেল। যেমন : অন্য দিকে ক্যামেরা ক্রমশ বাম দিকে কোণ করে সরতে শুরু করলে নিচের মতো করে ছবি তোলা যাবে। এইভাবে ক্যামেরা বাম দিকে ক্যামেরা সরে যাওয়াকে বলে নেগেটিভ এঙ্গেল। যেমন : আনুভূমিক এই কোণগুলিতে কতগুলি নামে ডাকা হয়। নামগুলো জেনে নিলে কাজ করতে সুবিধা হবে। আসুন উদাহরণসহ নামগুলো জানি। নিচের ছবিটি দেখুন। সামনে থেকে মডেলের ছবি তোলা হয়েছে। একে বলে ফ্রন্টাল ক্যামেরা এঙ্গেল বা সামনের ক্যামেরা কোণ। ফ্রন্টাল ক্যামেরা এঙ্গেল বা সামনের ক্যামেরা কোণ চারভাগের তিনভাগ কোণে ক্যামেরা ডানে বা বামে সরালে দুটি বিশেষ কোণ পাওয়া যায়। ক্যামেরা ডানে সরালে তাকে বলে ত্রি ফোর্থ ফ্রন্ট রাইট ক্যামেরা এঙ্গেল বা ৩/৪ ডান কোণের সামনের শট। অন্য দিকে চারভাগের তিনভাগ কোণে ক্যামেরা বামে সরালে তাকে বলে ত্রি ফোর্থ ফ্রন্ট লেফট ক্যামেরা এঙ্গেল বা ৩/৪ বাম কোণের সামনের শট। আবার এই দুই প্রকার শটকেই সংক্ষেপে ৩/৪ প্রোফাইল নামেও ডাকা হয়। এই শটের ক্ষেত্রে রুল অব থার্ড মেনে লুক রুম রাখা ভালো । সাধারণত চলচ্চিত্রে যে কোন চরিত্রের কোজ আপ শট নিতে গেলে এই কোণ বেছে নেয়া হয়। এই কোণের ক্ষেত্রে বিশেষ কতগুলো সুবিধা আছে। এই কোণে ছবি তুললে ছবিটি ত্রিমাত্রিক দেখা যায়। নাক, চোখ, মুখ, ঠোঁট ইত্যাদিতে আলোর খেলা ও অভিব্যক্তি পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। নিচে পাশাপাশি দুটি শট আমরা দেখি। ৩/৪ ফ্রন্ট লেফট ক্যামেরা এঙ্গেল ৩/৪ ফ্রন্ট রাইট ক্যামেরা এঙ্গেল ক্যামেরা আরও ডানে বা বামে সরিয়ে ৯০ ডিগ্রি কোণে নিয়ে গেলে যে কোণের শট পাওয়া যায়, তাকে বলে প্রোফাইল শট। নিচে দুটি প্রোফাইল শট দেখুন। প্রথমটি বাম দিকে ক্যামেরা সরিয়ে তোলা এবং দ্বিতীয়টি ডান দিকে ক্যামেরা সরিয়ে তোলা। লেফট প্রোফাইল শট রাইট প্রোফাইল শট এ ছাড়াও ৩/৪ প্রোফাইল শট পেছন দিক থেকেও হতে পারে। এটাকে বলা হয় থ্রি ফোর্থ ব্যাক প্রোফাইল শট। যেমন : ৩/৪ লেফট ব্যাক প্রোফাইল শট ৩/৪ রাইট ব্যাক প্রোফাইল শট ৩/৪ ব্যাক প্রোফাইল শটের সাহায্যে মডেল বা চরিত্র কী দেখছে সেটা একটা শটের মাধ্যমে খুব সহজে ফুটিয়ে তোলা যায়। তাছাড়া অন্য কেউ তাকে পেছন থেকে দেখছে এই ধরনের শটের েেত্র এই শট দুর্দান্তভাবে ব্যবহার করা যায়। পরিপূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ক্যামেরা ঘুরে গেলে দেখা যায় ফুল ব্যাক শট। এই ধরনের শটে মডেলের মুখ পুরোপুরি দেখা যায় না। বরং মডেলের পিঠ বা পিছন দিক দেখা যায়। ফুল ব্যাক শট উল্লম্ব ক্যামেরা কোণ : উপর নিচে ক্যামেরা উঠানোর েেত্র বিবেচনা করা মানুষের চোখ । মানুষের চোখ আনুভূমিকভাবে তাকায়। আমরা সাধারণভাবে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সময় ক্যামেরা আনুভূমিক কোণে রাখি। মডেলের দিকে আনুভূমিকভাবে তাক করি। কিন্তু ক্যামেরাকে উল্লম্বভাবে মডেলের চারপাশে ঘুরিয়ে আনা সম্ভব। ক্যামেরা উপরে এবং মডেল নিচে থাকলে তাকে বলে হাই এঙ্গেল শট। ক্যামেরা ও মডেল আনুভূমিক থাকলে তাকে বলে ন্যাচারাল এঙ্গেল শট। ক্যামেরা নিচে এবং মডেল উপরে থাকলে তাকে বলে লো এঙ্গেল শট। যেমন : ক্যামেরার বিভিন্ন উল্লম্ব কোণ : এবার বিভিন্ন উল্লম্ব ক্যামেরা কোণ সম্পর্কে জানা যাক। আগেই বলেছি, ক্যামেরা উপরে এবং মডেল নিচে থাকলে তাকে বলে হাই এঙ্গেল শট। হাই এঙ্গেল শটে মডেল বা অভিনেতা সরাসরি সামনের দিকে তাকিয়ে থাকলে সেেেত্র লুক রুম দরকার নাই। তবে হেড রুম থাকবে। তবে মডেল ডান বা বামে তাকালে সেেেত্র লুক রুম রাখার দরকার আছে। হাই এঙ্গেল থেকে গৃহীত শট নিচের ছবির মতো দেখায়। হাই এঙ্গেল শট চলচ্চিত্রে হাই এঙ্গেল শট দ্বারা কোন চরিত্রকে ছোট, তুচ্ছ, শোকগ্রস্ত, অসহায় ইত্যাদি মনে হয়। ফলে ওই রকম কোন পরিস্থিতিতে হাই এঙ্গেল শট ব্যবহার করা হয়। ক্যামেরা নিচে এবং মডেল উপরে থাকলে তাকে বলে লো এঙ্গেল শট। লো এঙ্গেল শটে চলচ্চিত্রের চরিত্রকে বড়, অহংকারী, প্রতাপশালী, প্রভাবশালী ইত্যাদি বলে মনে হয়। ফলে ওই ধরনের পরিস্থিতি বা চরিত্রকে উপস্থাপন করতে লো এঙ্গেল শট ব্যবহৃত হয়। লো এঙ্গেল শট এই ধরনের শট ছাড়াও সরাসরি মাথার উপর ক্যামেরা বসিয়ে যেই শট নেয়া হয়, তাকে বলা হয় টপ শট। টপ শটে কেবল মাথা দেখা যায় এবং চারপাশের পরিবেশ বড় হয়ে দেখা দেয়। টপ শটের আরেকটি ধরণ হল এরিয়াল শট। হেলিকপ্টার বা বিমান থেকে এই শট নেয়া হয়। টপ শটের ক্ষেত্রে ক্যামেরা একটা স্থানে স্থির রাখা হয়। কিন্তু এরিয়াল শটের ক্ষেত্রে ক্যামেরাসহ হেলিকপ্টার বা বিমান চলমান থাকে। মডেল : স্মৃতি আঁচল। ফটোগ্রাফি : এটিএম জামাল। (চলবে) আমি চেষ্টা করছি এই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যতটা সহজ করে লেখা যায়, ততটা সহজ করে লিখতে। যাতে করে যে কেউ এই ধরনের বিষয় খুব সহজে বুঝে ফেলে। আমি কি সহজ করে লিখতে পারছি ? আরেকটা কথা, অনেকে এই বিষয়গুলো অনেক ভালো জানেন, তারা যদি মন্তব্যের আকারে আমাকে পরামর্শ দেন, খুবই খুশি হব। ********************************** 10. এর আগের পর্বে আমরা ফ্রেমের ভেতর কেবল একজন অভিনেতাকে রেখে ফ্রেম কম্পোজিশন বিবেচনা করেছি। এবার একের অধিক অভিনেতাকে রেখে কিভাবে ফ্রেম কম্পোজিশন করতে হয় সেটা শিখি। টু শট : যদি ফ্রেমের ভেতর একের অধিক ২ ব্যক্তি থাকে, তবে সেটাকে টু শট বলে। দু’ব্যক্তিকে রেখে ফ্রেম কম্পোজিশনের সাধারণ কিছু নিয়ম আছে। টু শট সাধারণত ৩ ধরনের : ০১। ডাইরেক্ট টু ক্যামেরা টু শট ০২। প্রোফাইল টু শট ০৩। ওভার দ্যা শোল্ডার টু শট এবার বিস্তারিত আলোচনা করা যাক : ০১) ডাইরেক্ট টু ক্যামেরা টু শট : দুজন মডেল পাশাপাশি থাকে এবং ক্যামেরা তাদের সামনে থেকে ধরা হয়। এই শটকে ডাইরেক্ট টু ক্যামেরা টু শট বলে। ক্যামেরা দুরত্ব অনুসারে এই শট নানা রকম হতে পারে। হতে পারে মিড শট। যেমন : ডাইরেক্ট টু ক্যামেরা টু শট (মিড শট) আবার হতে পারে ক্লোজ শট। যেমন : ডাইরেক্ট টু ক্যামেরা টু শট (ক্লোজ শট) ০২) প্রোফাইল টু শট : দু জন মডেল মুখোমুখি থাকলে এবং ১৮০ ডিগ্রি কোণে ক্যামেরা বসিয়ে পাশে থেকে ছবি তুললে তাকে বলা হয় প্রোফাইল টু শট। প্রোফাইল টু শটও ক্যামেরা দূরত্ব অনুসারে নানা রকম হয়। হতে পারে লং শট। যেমন : প্রোফাইল টু শট (লং শট) আবার শট হতে পারে মিডিয়াম শট। যেমন : প্রোফাইল টু শট (মিডিয়াম শট) শটটি হতে পারে ক্লোজ আপ। যেমন : প্রোফাইল টু শট (ক্লোজ আপ শট) ০৩) ওভার দ্যা শোল্ডার টু শট : এই শটেও দু জন মডেল মুখোমুখি থাকে। একজনের কাঁধের উপর দিয়ে অপরজনের মুখের উপর ক্যামেরা তাক করা হয়। এ ই শটকে বলা হয় ওভার দ্যা শোল্ডার টু শট। ওভার দ্যা শোল্ডার শট বা ওএস শট বা ওটিএস শট মডেল : স্মৃতি আঁচল ও পারভেজ শরীফ ফটোগ্রাফি : এটিএম জামাল। আমি চেষ্টা করছি এই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যতটা সহজ করে লেখা যায়, ততটা সহজ করে লিখতে। যাতে করে যে কেউ এই ধরনের বিষয় খুব সহজে বুঝে ফেলে। আমি কি সহজ করে লিখতে পারছি ? আরেকটা কথা, অনেকে এই বিষয়গুলো অনেক ভালো জানেন, তারা যদি মন্তব্যের আকারে আমাকে পরামর্শ দেন, খুবই খুশি হব।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 113
Blog Title: কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Entertainment/Recreation
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: 5.

আরও কিছু ব্যবহারিক শট : এস্টাবলিশিং শট : কোন ঘটনা কোথায় ঘটছে সেটা বোঝানোর জন্য যে শট বা শটগুলো নেয়া হয় সেটা এস্টাবলিশিং শট। এই শট বা শটগুলো সাধারণত আউটডোর হয়। এক্সট্রিম লং শট বা লংশট ব্যবহার করে এক বা একাধিক শট গ্রহণ করা হয়। সাধারণত কোন গল্পের শুরুতে বা দৃশ্যের শুরুতে এস্টাবলিশিং শট নেয়া হয়। রি-এস্টাবলিশিং শট : কোথায় ঘটনাটি ঘটছে সেটা দৃশ্য শেষে আবারও দর্শককে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য রি-এস্টাবলিশিং শট ব্যবহৃত হয়। মূলত এস্টাবলিশিং শট ও রি-এস্টাবলিশিং শট একই রকম ও একই উদ্দেশ্যে গৃহীত। সাধারণত বড় কোন ঘটনার ক্ষেত্রে দর্শক ঘটনাটি কোথায় ঘটছে সেটা ভুলে যেতে পারে বা ভুলে যায়। সে ক্ষেত্রে দৃশ্যের শেষে রি-এস্টাবলিশিং শট ব্যবহৃত হয়। ছোট দৃশ্যের ক্ষেত্রে রি-এস্টাবলিশিং শট ব্যবহার করা দরকার নাই। মাস্টার শট : ইনডোর দৃশ্যের শুরুতে বা শেষে পুরো সেটের একটি শট নেয়া হয়, এটি মাস্টার শট। এই শটে ওই দৃশ্যের সকল চরিত্রকে দেখা যায়। মাস্টার শট কেবল একটি শট হয়। ধারাবাহিকতায় কোন সমস্যা এড়ানোর জন্য মাস্টার শট নেয়া হয়। মাস্টার শট কখনও এক্সট্রিম লং শট হয় না, লং শট বা মিড শট হয়। ওভার দ্যা শোল্ডার শট বা ও.এস শট : দু’জন ব্যক্তির কথোপকথনের সময় একজনের ঘাড়ের উপর দিয়ে অপর জনের মুখের উপর যে শট নেয়া হয় সেটাই ওভার দ্যা শোল্ডার শট বা ও.এস শট। সাধারণ দু’জন মানুষ মুখোমুখি কথা বলতে এই শট ব্যবহৃত হয়। কথোপকথনের দৃশ্য ধারণের জন্য বহুল ব্যবহৃত শট এটি। রি-একশন শট : সাধারণত কোন সংলাপ দৃশ্যে কোন সংলাপের প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য যে শট নেয়া হয়, তাকে রি-একশট শট বলে। যে ব্যক্তিটি কথা শুনছে এবং প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার উপরে ক্যামেরা ধরে এই শট নেয়া হয়। পয়েন্ট অফ ভিউ শট বা পিওভি শট : কোন চরিত্র কী দেখছে সেটা বোঝানোর জন্য যে শট নেয়া হয় সেটাই পয়েন্ট অফ ভিউ শট বা পিওভি শট। সাধারণ কোন চরিত্র কোন দিনে তাকানোর পর এই শট ব্যবহার করা হয়। এতে করে বোঝা যায় ওই চরিত্রটি কী কী দেখছে বা কাকে দেখছে। ইনসার্ট : দুটি ভিন্নধর্মী শটের মধ্যে একটি বিশেষ শট ব্যবহার করলে তাকে ইনসার্ট বলে। যেমন : কোন ব্যক্তি ঘুমাচ্ছে এবং তার পাশে কোন ব্যক্তি বসে আছে। এই দুটি শটের মাঝখানে দেয়ালে ঝোলানো একটি ঘড়ির শট। জুম শট : জুম শব্দের অর্থ পরিবর্তন করা। ক্যামেরাকে না সরিয়ে লেন্সের মাধ্যমে বস্তুর দূরত্বকে বাড়ানো বা কমানোর মাধ্যমে যেই শট গৃহীত হয়, তাকে জুম শট বলে। যে লেন্সের মাধ্যমে এই শট নেয়া হয়, তাকে জুম লেন্স বলে। কোন বস্তুকে কাছে টেনে আনা বা বড় করে ফেলাকে বলা হয় জুম ইন। কোন বস্তুকে দূরে সরিয়ে ফেলা বা ছোট করে ফেলাকে বলে জুম আউট। ক্রাব শট : কাকড়ার মতো ঘুরে ঘুরে শট নেয়াকে বলে ক্রাব শট। সাধারণত নাচের দৃশ্যে এই শট ব্যবহৃত হয়। দৃশ্যান্তর বা ট্রান্সিশন : একটা শট থেকে অন্য শটে যাওয়ার নানা প্রক্রিয়া আছে। এক শট শেষ হওয়ার পর অন্য শটে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলে দৃশ্যান্তর বা ট্রান্সিশন। চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য সফটওয়্যার তৈরি হওয়ার ফলে শত শত ট্রান্সিশন প্রক্রিয়া বের হয়েছে। এডোবি প্রিমিয়ার প্রো, এডিয়াস, এভিড এক্সপ্রেস বা ফাইনাল কাট প্রো ইত্যাদি এডিটিং সফটওয়্যারের সঙ্গে ট্রান্সিশনের নানা এফেক্ট দেয়া থাকে। এছাড়া এফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য আলাদা সফটওয়্যারও আছে। যেমন : হলিউড এফএক্স। তাছাড়া ট্রান্সিশন এফেক্ট যোগ করার জন্য অহরহ তৈরি হচ্ছে নিত্য-নতুন প্লাগইন। ট্রান্সিশনের নানা প্রক্রিয়া আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ, বহুল ব্যবহৃত ও সাধারণ প্রক্রিয়া হল কাট। কয়েকটা ট্রান্সিশন প্রক্রিয়া আলোচনা করা যাক : কাট : ট্রান্সিশনের প্রাচীন ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। একটা শট শেষে আরেকটি শট লাগানো হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই একটা কাট পাওয়া যায়। কাট সাধারণত ২ প্রকার (ক) ম্যাচ কাট, (খ) জাম্প কাট। সাধারণত প্রতিটি কাটের পর পরবর্তী শটে ক্যামেরা ডিসটেন্স বদলে যায়। এবার ম্যাচ কাট ও জাম্প কাট সম্পর্কে জানি। ম্যাচ কাট : প্রথম শটের একশনের ধারাবাহিকতা মিলিয়ে দ্বিতীয় শট জোড়া দিলে সেটাকে বলে ম্যাচ কাট। প্রথম শটের শেষ একশন ও পরবর্তী শটের শুরুর একশন যদি সম্পূর্ণ মিলে যায়, যদি দুটি শটে গতি ও সময় একই হয়, তবে শট দুটি জোড়া দিয়ে একশনটি সম্পূর্ণ করতে কোন অসুবিধা হয় না। জাম্প কাট : পাশাপাশি দুটি শটের একশন না মিললে তাকে জাম্প কাট বলা হয়। ডিজলভ : একটা শট মিলিয়ে গিয়ে ধীরে আরেকটি শটে গেলে সেটাকে বলে ডিজলভ। একটি শট মিলিয়ে যেতে যেতে মসৃণভাবে পরের শট এসে পড়ে । এতে করে কয়েক মুহূর্তের জন্য কয়েকটি শটের ওভারল্যাপিং হয়। কাটের ক্ষেত্রে যেমন তীèতা পাওয়া যায়, ডিজলভের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় মসৃণতা। সময় ও স্থানের বিশেষ পরিবর্তন বোঝাতে ডিজলভ ব্যবহৃত হয়। সাধারণত স্বল্প সময়ের পার্থক্য বোঝাতে ডিজলভ ব্যবহৃত হয়। ওয়াইপ : কোন একটি শট এক পাশ থেকে মুছতে মুছতে আরেকটি শট এলে তাকে ওয়াইপ বলে। পর্দার উপর আড়াআড়াভাবে একটি রেখা চলে যাওয়ার মাধ্যমে আগের শট মুছে গিয়ে নতুন শট ফুটে ওঠে। আগে ওয়েস্টার্ন মুভিতে এই ট্রান্সিশন বহুল ব্যবহার হতো। বর্তমানে এই ট্রান্সিশনের ব্যবহার কম। তবে কমেডি ছবিতে এর ব্যবহার এখনও চোখে পড়ে। ফেড আউট ও ফেড ইন : একটা শট শেষ হওয়ার পর পর্দা কালো হয়ে যাওয়াকে বলে ফেড আউট এবং কালো পর্দা থেকে ধীরে ধীরে শটে ফিরে আসাকে বলে ফেড ইন। ফলে একটি শট শেষ হয়ে যাওয়ার পর পর্দা কালো করে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে তারপর অন্য শট শুরু হলে তাকে বলে ফেড আউট ও ফেড ইন। একটি দৃশ্য শেষ হয়ে অন্য জায়গায় অন্য কোন দৃশ্য শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে ফেড ইন ও ফেড আউট ব্যবহৃত হয়। এতে স্থান ও সময় পরিবর্তন করে গল্পে নতুন মাত্রা যোগ করা যায়। স্পেশাল এফেক্ট : একটি ফিল্ম বা ভিডিওচিত্র ক্যামেরার সাহায্য ধারণ করার পর বিভিন্ন দৃষ্টিবিভ্রম, কৌশল বা ট্রানজিশনাল কৌশলকে এক কথায় স্পেশাল এফেক্ট বলে। এর মধ্যে শব্দগ্রহণের যে কৌশল প্রয়োগ করা হয়, তাকে বলে সাউন্ড এফেক্ট। ক্যামেরার স্বাভাবিক চিত্রগ্রহণের বাইরে যে কোন কৌশল স্পেশাল এফেক্টের মধ্যে পড়ে। যেমন : সুপার ইম্পোজ, ক্রোমা, মাস্ক শট, মাল্টিপল স্ক্রিন ইত্যাদি। যে সব দৃশ্য অভিনয়ের আয়ত্বের বাইরে, সে সব দৃশ্য চলচ্চিত্রে দেখানোর জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করা হয়। এই সব কৌশলকেও আমরা স্পেশাল এফেক্ট বলি। স্পেশাল এফেক্ট মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত। যেমন : আলোকচিত্রের কৌশল ও যান্ত্রিক কৌশল। ক্যামেরা ব্যবহারের কৌশল এবং সম্পাদনাকালে আলোকচিত্র বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে আলোকচিত্রের কৌশল প্রয়োগ করা হয়। আলোকচিত্রের কৌশলের বাইরে যা কিছু কৌশল আছে, সবই যান্ত্রিক কৌশল। যেমন : ইমেজ রিপ্লেসমেন্ট, খেলনা বা মিনিয়েচার, ব্যাক বা ফ্রন্ট প্রজেকশন ইত্যাদি। স্পেশাল এফেক্টের সাধারণ কিছু বিষয় আলোচনা করা যাক : সুপার ইম্পোজ : একটা শটের উপর আরেকটা শট মিলিয়ে দুটি চিত্র এক করে ফেলাকে বলা হয় সুপার ইম্পোজ। একটা লোক একটা দৈত্যের হাতের উপর দাঁড়িয়ে আছে - এই রকম দৃশ্য দেখাতে সুপার ইম্পোজ কৌশল ব্যবহৃত হয়। সফটওয়্যার দিয়ে খুবই সহজেই সুপার ইম্পোজ করা যায়। ক্রোমা : একটি নীল পর্দার সামনে চরিত্রগুলোকে অভিনয় করিয়ে পরে পেছনের পর্দাটি সরিয়ে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড জুড়ে দেয়াকে বলে ক্রোমা। ভিডিও ক্যামেরায় ধারণকৃত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সম্পাদনার সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই ক্রোমা করা যায়। যেমন : এক দু’জন মানুষ নীল পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলল। পরে এডিটিং করে পেছনের নীল পর্দা ফেলে দেয়া হল। নীল পর্দার জায়গায় জুড়ে দেয়া হল একটি রাস্তা। মাস্ক শট : বাইনোকুলার বা ফুটো দিয়ে কিছু দেখা হচ্ছে এই বিভ্রম তৈরির জন্য এই কৌশল প্রয়োগ করা হয়। সাধারণত ক্যামেরা লেন্সের সামনে প্রয়োজনীয় আকারের ঢাকনা পরিয়ে বা এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ম্যাট লাগিয়ে এই এফেক্ট দেয়া হয়। মাল্টিপল স্ক্রিন : দু’জন ব্যক্তি ফোনে কথা বলার সময় অনেক সময় দু’জনকে দেখাতে মাল্টিপল স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে দুটি আলাদা শটকে এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে মাল্টিপল স্ক্রিন বানানো হয়। তার মানে হল, পর্দায় একই সঙ্গে দুটি স্থানের দুটি শটকে পাশাপাশি জুড়ে দেয়াকে বলা হয় মাল্টিপল স্ক্রিন। গ্লাস শট : কোন সেটের একটি অংশ কাচের উপর এঁকে সেটাকে ক্যামেরা সামনে স্থাপন করে এমনভাবে গৃহীত শট যাতে করে পুরো সেটের একটি বিভ্রম তৈরি হয়। যেমন : কোন এক তলা বাড়ির সামনে অভিনয়ের সময় উপরের তলাগুলি কাচের মধ্যে এঁকে তারপর ক্যামেরার সামনে এমনভাবে রাখা হয়, যাতে করে বাড়িটি বহুতল মনে হয়। খেলনা বা ক্ষুদ্র মডেল : বড় কোন জিনিস ব্যবহার যখন ব্যয়সাপে ও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়, তখন তার মতো অনুরূপ ক্ষুদ্র মডেল তৈরি করে নেয়া হয়। এই ক্ষুদ্র মডেল ব্যবহার করে বিমান ধ্বংস, জাহাজ ডুবি, শহর ধ্বংস, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ইত্যাদি দেখানো হয়। যেমন : টাইটানিক ছবিতে জাহাজ দুর্ঘটনার ছবি তোলার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র মডেল ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্যাক প্রজেকশন : স্টুডিওতে কোন বিশেষ ধরনের পর্দার পেছন থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দৃশ্য চালু করা হয় এবং তার সামনে অভিনয় করা হয়। সাধারণত কোন অভিনেতাকে লোকেশনে না নিয়ে গিয়ে সেই স্থান দেখাতে এই কৌশল ব্যবহৃত হয়। যেমন : স্টুডিওতে স্থির গাড়িতে চড়া অভিনেতার পেছনে চলমান সড়কের ছবি প্রদর্শিত করে একটি চলমান গাড়ির বিভ্রম তৈরি করা সম্ভব। এই কৌশল এক সময়ে প্রচুর ব্যবহৃত হত। ফ্রিজ : চলমান দৃশ্যকে স্থির চিত্রে পরিণত করার পদ্ধতিতে ফ্রিজ বলে। ফিল্মের ক্ষেত্রে একই ফ্রেমকে বার বার এক্সপোজ করে এটা করা হয়। ভিডিও চিত্রে সফটওয়্যার ব্যবহার করে করা যায়। ********************************

6.

অনুশীলনী : মোটামুটি সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার জন্য যে সব তাত্ত্বিক বিষয় জানা দরকার, আমরা প্রায় তার সব কিছু সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে ফেলেছি। এবার আপনি দর্শক হিসেবে মগজ খাটানোর দর্শক হতে পারবেন। হীরক রাজার দেশে সিনেমার প্রথম দৃশ্য থেকে মগজ খাটিয়ে দেখা যাক। দেখে লিখুন - কী দেখছেন, কী শুনছেন। লিখার পর যা হবে তার একটা নমুনা - সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রের প্রথম থেকে । টাইটেল শেষ হওয়ার পর থেকে লেখা শুরু করা যাক। শট - ০১ একটি বালি ঘড়ি। জুম আউট করে এলে দেখা যায় বাঘা বাইন ও গোপী গায়েন খাটে শুয়ে আছে। তাদের ২ জনকে বাতাস করছে ২ জন রাজ-খানসামা। কাট। শট - ০২ ক্লোজ আপ। গোপী গায়েন খাটে শুয়ে আছে। পান মসলা মুখে দেয়। কাট। শট - ০৩ ক্লোজ আপ। বাঘা বায়েন খাটে বসে আছে। সে খানসামার দিকে তাকায়। শট - ০৪ মিড শট টু ক্লোজ আপ। বুড়ো খানসামা বাতাস করছে। শট - ০৫ ক্লোজ আপ। বাঘা বায়েন খাটে বসে আছে। সে বালি ঘড়ির দিকে তাকায়। শট - ০৬ লং টু ক্লোজ শট। জুম ইন। বালি ঘড়ি থেকে বালি পড়ছে। শট - ০৭ বাঘা বায়েন খাটে বসে আছে। সে পাশা খেলার ঘুটি ছুঁড়ে মারে। শট - ০৮ ক্লোজ শট। পাশা খেলার ঘুটি খাটে ছুঁড়ে মারে বাঘা বায়েন। শট - ০৯ লং শট। বাঘা বায়েন খাট থেকে নামে। নেমে পায়চারি করে। শট - ১০ মিড শট টু ক্লোজ আপ টু গোপী গায়েন। গোপী গায়েন খাটে শুয়ে আঙ্গুর খাচ্ছে। বাঘা গায়েন পায়চারি করেই চলেছে। জুম ইন করে গোপী গায়েনকে। এইভাবে লিখে যেতে থাকুন। এইভাবে লেখার ফলে বুঝে গেছেন যে সিনেমা অনেকগুলো শটের সমষ্টি। বিভিন্ন শট পর পর জোড়া দিয়ে গোটা সিনেমাটি গড়ে তোলা হয়। এই শটগুলো কোন একটা স্থানে গৃহীত হয়েছে। এটা গল্পের স্থান, বাস্তবের স্থান নয়। এভাবে একটি স্থানে এক বা একাধিক শট নেয়া হয়। তারপর সেই শটগুলো জুড়ে দেয়া হয়। কিন্তু একই জায়গায় সব শট নেয়া হয় না। শট নেয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত এই শটগুলো পর পর জুড়ে দিয়েই গড়ে ওঠে একটি সিনেমার শরীর। চিত্রনাট্য লেখার জন্য আরও কিছু বিষয় বুঝতে হবে। দৃশ্য বা সিন : আমরা জানি ঘটনা একই স্থানে ঘটে না। বিভিন্ন স্থানে ঘটে। এভাবে নানা স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে নিয়ে একটি গল্প গড়ে ওঠে। একই স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে একটি দৃশ্য বলে। স্থান পরিবর্তন হলেই দৃশ্য বদলে যায়। সাধারণত চিত্রনাট্য লেখা হয় দৃশ্য ধরে। দৃশ্য নাম্বার দিয়ে একের পর এক দৃশ্য লিখে যেতে হয়। একটি দৃশ্যে একাধিক শট থাকে। তবে একটি শট দিয়েও একটি দৃশ্য গড়ে উঠতে পারে। অংক/ সিকোয়েন্স বা দৃশ্য পর্যায় : সিকোয়েন্স বা দৃশ্য পর্যায়ের সম্পর্ক কাহিনীর সঙ্গে। একটি সিকোয়েন্স বা দৃশ্য পর্যায়ে একটি ঘটনা শুরু হয়ে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পর্যন্ত শেষ হয়ে যায় । একটি অংক/ সিকোয়েন্স বা দৃশ্য পর্যায় কয়েকটি দৃশ্য বা সিন নিয়ে গড়ে ওঠে। একটি দৃশ্য বা সিন নিয়েও একটি সিকোয়েন্স বা দৃশ্য পর্যায় হতে পারে। চিত্রনাট্যে অংক বা সিকোয়েন্স উল্লেখ করা হয় না, কেবল দৃশ্য উল্লেখ করা হয়। কিন্তু একটি কাহিনীকে বোঝার জন্য অংক বা সিকোয়েন্স বোঝা খুবই দরকার। একটি গল্প যেখানে গিয়ে ভিন্ন দিকে মোচড় দেয়, সেখানেই একটি সিকোয়েন্স শেষ হয় এবং আরেকটি সিকোয়েন্স শুরু হয়। গোটা সিনেমাটিকে সাদামাটাভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় - শুরু, মধ্য ও শেষ। মোট কথা হল চলচ্চিত্রের গঠনটা হয় এই রকম ফিল্ম ফ্রেম > ফিল্ম শট > ফিল্ম সিন > ফিল্ম সিকোয়েন্স ফিল্ম ফ্রেম হল বেসিক ইউনিট। ফিল্ম শট হল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিট। ফিল্ম সিন হল বড় ইউনিট। ফিল্ম সিকোয়েন্স হল সবচেয়ে বড় ইউনিট। চিত্রনাট্য লেখার পরিকল্পনা : চলচ্চিত্র তৈরির বিশদ পরিকল্পনার নাম চিত্রনাট্য। এক কথায় বলা হয় - ব্লু প্রিন্ট অব এ ফিল্ম। একটি সিনেমায় যা যা করা হবে তার প্রায় সবই উল্লেখ থাকে একটি চিত্রনাট্যে। প্রথম কাজ : একটি গল্প তৈরি করুন সাদামাটাভাবে একটি চিত্রনাট্য লেখার ধাপগুলো এ রকম : মূল বক্তব্য > বিষয়বস্তু > সিনোপসিস > ট্রিটমেন্ট > চরিত্রায়ণ > সংলাপ মূলত, গল্পটি হবে একজনের গল্প। তার জীবনের একটি খণ্ড গল্প। সেই গল্পে সে একটা আকাক্সা প্রকাশ করবে বা কিছু অর্জন করতে চাইবে। এই চাওয়াটা হতে পারে প্রেম, টাকা, সম্পদ, খ্যাতি বা আধ্যাত্মিক জীবন। তাহলে গল্প তৈরির ধাপগুলো কী পেলাম ? ধাপগুলো হল এই রকম ০১) একটি মূল বক্তব্য তৈরি করতে হবে। ০২) সেই মূল বক্তব্য প্রতিপন্ন করার জন্য একটি গল্প তৈরি করতে হবে যার শুরু শেষ ও মধ্য থাকবে। ০৩) সেই গল্পটি একজন মানুষের গল্প হবে। তাকে বলা হয় প্রধান চরিত্র বা নায়ক। এই প্রধান চরিত্রের একটি আকাঙ্ক্ষা থাকবে এবং তার আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে অনেক অনেক বাধা থাকবে। ০৪) নায়কের আকাঙ্ক্ষা পূরণের বাধা হয়ে দাঁড়াবে প্রতিনায়ক বা ভিলেন। ভিলেন হতে পারে কোন ব্যক্তি, কোন দৈব ঘটনা, কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ। ০৫) সেই বাধা অতিক্রম করে নায়ক তার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। ০৬) এই লড়াইয়ে সে হারবে বা জিতবে। পৃথিবীর তাবৎ সিনেমার এই হল সহজ গল্প। দ্বিতীয় কাজ : গল্পটি সাজান চিত্র আর শব্দে গল্পটি সাজাতে হবে চিত্রে এবং শব্দে। কেননা ওটাই চলচ্চিত্রের দাবি। প্রথমেই বলে নেয়া ভালো, আমরা আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণে ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করব। ব্যয়বহুল চলচ্চিত্রের ক্যামেরার কথা আপাতত ভুলে যাওয়াই ভালো। ক্যামেরা বলতে আমরা ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরাই বুঝব। যে কোন জায়গায় নিয়ে একটি ভিডিও ক্যামেরা চালু করলে ক্যামেরা সেই জায়গার চিত্র ও শব্দ নেয়। ক্যামেরা সেই ছবির সঙ্গে কতগুলো তথ্যও গ্রহণ করে। যেমন : ০১) দৃশ্যটি জানায় ওটা কোন জায়গা, জায়গাটা কেমন, ঘরের ভেতরে নাকি বাইরে। ০২) দৃশ্যটি জানায় ওটা কোন সময়, রাত, দিন, সকাল, বিকাল, ভোর, সন্ধ্যা। ০৩) দৃশ্যটি জানায় ওখানে কারা কারা আছে, তারা কী করছে। ০৪) দৃশ্যটি জানায় ওখানে চারপাশে কোন শব্দ আছে কিনা, পাখির শব্দ, বাতাসের শব্দ, গাড়ির শব্দ, রেডিওর শব্দ, মানুষের কথা বলার শব্দ। তাহলে সাধারণত ক্যামেরা চালু করলে যেসব তথ্য গৃহীত হয়, সেই সব তথ্যের কথাও লিখে দিতে হবে আপনার চিত্রনাট্যে। মূলত আপনাকে গল্পটি লিখতে হবে চিত্র ও শব্দ ব্যবহার করে। কেননা, সিনেমা মাধ্যমটি হচ্ছে চিত্র ও শব্দের জগৎ। তাহলে আসুন গল্প বলি চিত্র ও শব্দে। চিত্রের মাধ্যমে গল্প বলা চিত্রের মাধ্যমে গল্প বলতে গেলে প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে ঘটনাটি কোথায় ঘটছে। যেমন : খেলার মাঠে, রাস্তায়, নদীর ধারে, কোন যানবাহনে, স্টেশনে, স্কুলে, কলেজে, বাড়িতে। সেই স্থানটি উল্লেখ করতে হবে। তারপর নির্ধারণ করতে হবে ঘটনাটি কখন ঘটছে। যেমন : ভোর বেলা, সকালে, দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, রাতে বা গভীর রাতে। এই সময়টি উল্লেখ করতে হবে। তারপর নির্ধারণ করতে হবে এই ঘটনার স্থানে ওই সময়ে কত জন আছেন। তাদের সংখ্যা ও নাম লিখতে হবে। এদেরকে বলা হয় গল্পের চরিত্র । তারপর নির্ধারণ করতে হবে ঘটনাটি। পুরো ঘটনাটা সংক্ষেপে লিখতে হবে। যত সংক্ষেপে হয় ততই ভালো। কেবল ওই দৃশ্যের ঘটনাটি লিখবেন। এবার একটা উদারহণ দেয়া যাক - - যেমন : দৃশ্য - ০১ স্থান : নদীর ধার / আউট ডোর সময় : সকাল চরিত্র : সোমা ও রোমেল ঘটনা : সোমা রোমেলকে জানায় তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রোমেল পাত্তা দেয় না। শব্দের মাধ্যমে গল্প বলা যে কোন স্থানের একটি শব্দ থাকা স্বাভাবিক। আপনি যেখানে বসে এই বইটি পড়ছেন তার চারপাশে কান পাতুন। হয় তো আপনার মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে, তার ভো ভো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, পাশের ঘরে কাশছে কেউ, রাস্তায় গাড়ি যাচ্ছে, জানালার বাইরে ২টি বিড়াল ঝগড়া লেগেছে। এই সব কিছুর শব্দ পাচ্ছেন আপনি। অনেকগুলো শব্দের উৎস দেখতে পাচ্ছেন আপনি। কতগুলো শব্দের উৎস দেখতে পাচ্ছেন না। চলচ্চিত্রে দেখবেন, কতগুলো শব্দের উৎস পর্দায় দেখা যাচ্ছে, কতগুলো শব্দের উৎস দেখা যাচ্ছে না। বাস্তবে যেভাবে শব্দগুলো আমাদের জীবনে আছে, সেইভাবেই আপনার পাণ্ডুলিপিতে শব্দগুলোর কথা লিখুন। সহজ করে ও সংক্ষিপ্ত ভাষায়। চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি লেখার একটা সহজ নিয়ম আছে। সাধারণত চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপিতে চিত্র ও শব্দ আলাদা করে লেখা হয় । বা পাশে চিত্র এবং ডান পাশে শব্দ। সবাই এই নিয়ম মানেন তা নয়, তবে চলচ্চিত্রকারদের এই নিয়ম জানা আছে। আপনাকেও জানতে হবে। আপনি সৃজনশীল মানুষ, মানবেন কি মানবেন না, সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। এবার আরেকটা উদাহরণ দেখি। যেমন : স্থান : নদীর ধার / আউট ডোর সময় : সকাল চরিত্র : সোমা ও রোমেল ঘটনা : সোমা রোমেলকে জানায় তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে । রোমেল পাত্তা দেয় না। নদীর তীরে বসে আছে সোমা ও রোমেল। পাখি ডাকছে। নদীর স্রোতের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ পাওয়া যাচ্ছে সোমা : আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রোমেল কোন জবাব দেয় না। নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে। স্রোত এসে পাড়ে বাড়ি দেয়। সোমা তাড়া দেয়। সোমা : আমার কথা শুনতে পাচ্ছ তুমি ? রোমেল : আমার সামনে পরীক্ষা। সোমা রোমেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর চোখ দিয়ে গড়িয়ে নামে অশ্রু । তারপর নীরবে হাঁটা দেয়। এই দৃশ্যে কেবল চিত্র নয়, শব্দকেও লেখা হয়েছে। সহজভাবে এই হল চিত্রনাট্য লেখার নিয়ম। আপনি যা-ই লেখেন না কেন সেটাকে লিখতে হবে চিত্রে ও শব্দে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : মূলত চিত্র ও শব্দকে আলাদা টেবলে ভাগ করে লেখা হয়, ব্লগে ওভাবে টেবল করা যায় না বলে বুঝতে সমস্যা হতে পারে। **************

7.

দর্শক থেকে লেখক হওয়ার চেষ্টা : সৃজনশীল এক অনন্ত যাত্রা দর্শক ও শ্রোতা হিসেবে অনেক অনেক চলচ্চিত্র দেখেছেন। এবার আপনি চলচ্চিত্র বানাবেন। তার জন্য লিখতে হবে একটা চিত্রনাট্য। চিত্রনাট্য লিখতে হলে আপনাকে এভাবে এগুতে হবে : ০১) একটি বিষয় নিয়ে ভাবুন এবং বিষয়টিকে নির্দিষ্ট করুন। ০২) একটি বাক্যে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত বা প্রেমিজ বানান। ০৩) পুরো চলচ্চিত্রের গল্পটি খুব সংক্ষেপে লিখে ফেলুন। একে বলে গল্প সংক্ষেপ বা সিনোপসিস। ০৪) এবার চরিত্রগুলো নিয়ে ভাবুন। প্রধান চরিত্র, তার সহযোগী চরিত্র ও তার প্রতিযোগী চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করুন। একেকটা চরিত্রকে একেক রকম করে বানান যেন কারো সাথে কারো মিল না হয়। বিশেষত প্রধান চরিত্রটিকে বিশেষভাবে নির্মাণ করুন। ০৫) পুরো ঘটনাটিকে স্থান অনুযায়ী ভাগ করে ফেলুন। মোট কতগুলি স্থানে ঘটনাগুলি ঘটছে সেটা নির্ধারণ করে ফেলুন। প্রত্যেক স্থানে কতগুলি চরিত্র মিলে একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে সেটা ঠিক করুন। ঘটনার স্থান পরিবর্তন হলেই সাধারণত একটি দৃশ্য পরিবর্তন হয়। কখনও একই সময়ে দুটি বা আরও অধিক ঘটনা ঘটতে পারে। ০৬) বিশেষ কোন চরিত্রের কোন সংলাপের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করুন। বিভিন্ন চরিত্রের সংলাপ বিভিন্ন রকমের হলে শুনতে ভালো লাগে। ০৭) প্রতিটি দৃশ্যের শুরুতে একটি সাধারণ বর্ণনা থাকতে পারে। সাধারণ বর্ণনায় চরিত্রগুলোর বিভিন্ন ভঙ্গিমা, চলাচল, পোশাক, উপকরণ এবং ঘরের আসবাবপত্র উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া কোন বিশেষ পরিস্থিতিও সাধারণ বর্ণনায় উল্লেখ করা উচিত। আসুন লেখা শুরু করি : আপনারা এবার আমার সঙ্গে লিখবেন। আমি ও আপনি একই ব্যক্তি এখন। আমি যা ভাবছি, আপনিও তা ভাববেন। আমার ও আপনার ভাবনা মিলে একটা চিত্রনাট্য লেখা হবে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাব। প্রথমে ভাবতে শুরু করলাম বিষয়বস্তু নিয়ে । নানাজনের সঙ্গে আলাপ করলাম। পত্রিকা পড়লাম। বই পড়লাম। নেট ঘাটলাম। অবশেষে আমার এক বন্ধু মোশারফ হোসেনের পরামর্শে বিষয়বস্তু পেলাম। ও বলছে, সঙদের জীবন নিয়ে কিছু লিখতে। আমার এলাকায় এক সঙ থাকে, নাম সোলেমান। ও নিজেকে পরিচয় দেয় সোলেমান পাগলা হিসেবে। তাকে দেখেছি, রঙচঙে পোশাক পরে কখনো চানাচুর, কখনো পান, কখনো চকলেট বিক্রি করতে। কিন্তু তাকে নিয়ে কী গল্প লিখব ? আমি তো তার সম্পর্কে কিছু জানি না। একদিন গেলাম তার বাড়ি। পরিচয় দিলাম। জানালাম, আমার উদ্দেশ্য। সঙ খুব অবাক হল। তারপর তার একটা সাক্ষাৎকার নিলাম। লাগোস এগরির ত্রৈমাত্রিক চরিত্রের অস্থি-সংস্থান পূরণ করলাম। জানলাম তার স্বপ্নের কথা। সে চেয়েছিল সার্কাসের কাউন হবে। কিন্তু সার্কাস উঠে গেছে। তাই সে এখন পথে পথে পান বিক্রি করে। মাঝে মাঝে বিয়ে বাড়িতে পানের অর্ডার পায়। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে পানের ডালা দেয় সে। প্রথম জীবনে সে একটা ভিডিও দোকানে চাকুরি নিয়েছিল। কিন্তু সেটা মজার চাকুরি হলেও তার ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে, মানুষের সঙ্গে মজা করতে। তাই মাঝে মাঝে সে দোকান ছেড়ে উধাও হয়ে যেত। নানা জায়গায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মজা করে বেড়াত। মানুষ তার অদ্ভুত কর্মকাণ্ডে মজা পেত। এক সময় দোকানটা বন্ধ হয়ে যায়। সে বেকার হয়ে পড়ে। অভাবের তাড়নায় সে বেশ কিছু দিন রিক্সা চালায়। কিন্তু রিক্সা চালাতে তার ভালো লাগে না। সে প্রায়ই যাত্রাপালায় গিয়ে রংঢং করে। অভাবের তাড়নায় তার স্ত্রী চলে যায়। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সে বেশ কিছুদিন সঙ সাজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু একটা নেশার মতো মনে হয় তার এই সঙ সাজা। ফলে আবারও কোন একদিন সঙ সাজে সে। তার অভাব ও দুঃখকে জয় করে সে মানুষকে হাসায়। সে আবারও বিয়ে করেছে। মোটামুটি চলে যাচ্ছে তার দিন। তার সাক্ষাৎকার নেয়ার পর এবার গল্পটি সাজাই। তার জীবনটা হুবহু নেয়ার কোন মানে নাই। তাই বেছে নেই তার জীবনের অন্যতম একটি অংশ। তার সঙ্গে নিজের কল্পনা মিশাই। নাটকীয় বানানোর চেষ্টা করি তার জীবনকাহিনীকে। ফলে সেটা আর জীবনকাহিনী থাকে না, হয়ে ওঠে একটা সৃজনশীল গল্প। যেমন : বাস্তবের সঙের স্ত্রী কোন যাত্রাপালার নর্তকী ছিল না। কিন্তু আমার গল্পের স্ত্রী যাত্রাপালার নর্তকী। বাস্তবের মূল গল্পটি থেকে আমি অনেক অনেক দূর চলে গেছি। অনেক অনেক নাটকীয় ঘটনা যোগ করি। প্রথমে পরিকল্পনা করি মাত্র ১২ মিনিটের হবে চলচ্চিত্রটি । কিন্তু আমার ইউনিটের লোকজনের আগ্রহে ও পরামর্শে শেষ পর্যন্ত এটা হয় ৪০ মিনিটের। প্রথমে লিখি সিনোপসিস। কিভাবে সেটা লিখি আসুন জেনে নেয়া যাক : সিনোপসিস বা গল্প সংক্ষেপ : চিত্রনাট্য লেখার প্রথম কাজ হল সিনোপসিস বা গল্প সংপে লেখা। যত সংক্ষেপে পারা যায় তত সংক্ষেপে গল্পটি লিখতে হবে। সাধারণত সিনোপসিস বা গল্প সংক্ষেপে ১৫০ শব্দের বেশি না হওয়া ভালো। তবে ২০০ শব্দের মধ্যে হলেও চলবে এবং এর বেশি গেলে পরিচালক বিরক্ত হবেন। সিনোপসিসে যা যা থাকবে - ০১) শুরু, মধ্য ও শেষ থাকবে। ০২) প্রধান প্রধান চরিত্র থাকবে। ০৩) প্রধান প্রধান ঘটনা থাকবে। ০৪) কাহিনী কয়টি হবে তা থাকবে। একটি মূল কাহিনী ও তার সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সহায়তাকারী ডালপালা ছড়ানো ২/১টি কাহিনী থাকতে পারে। ০৫) ভাষা সংক্ষিপ্ত ও সহজ-সরল হবে। ০৬) একটি মাত্র অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফের সমান হবে। ০৭) কোন সংলাপ থাকবে না। ০৮) ১৫০ থেকে ২০০ শব্দের মধ্যে হবে। ০৯) চরিত্রগুলোর একটি তালিকা সিনোপসিসের সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে। আমার সংখেলা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সিনোপসিস বা গল্প সংক্ষেপ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : সঙখেলা চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : শাহজাহান শামীম গল্প সংক্ষেপ : একজন সঙ। সে সঙ সাজার জন্য কোন কাজ করে না। নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে মজা করে আর স্বপ্ন দেখে একদিন সে সিনেমার কৌতুক অভিনেতা হবে। সঙখেলা দেখানোর জন্য বিভিন্ন মেলায় যায় সে। সেই রকম এক মেলায় যেতে যেতে যাত্রাপালার নর্তকীর সাথে পরিচয় হয় তার। তারপর সেই নর্তকী তার হাত ধরে পালায়। পালিয়ে তারা ঘর বাঁধে। কিন্তু অভাব তাদের পিছু ছাড়ে না। অন্য দিকে সেই নর্তকীর পেছনে লাগে এক ট্রাক ড্রাইভার। তাকে খুঁজে বের করে ফেলে। তারপর ফুসলায় তার সাথে যাওয়ার জন্য। সঙ তার অভাব দূর করার জন্য কখনও চকলেট, কখনও পান মসলা ও কখনও মিষ্টি পান বিক্রি করে। এই কাজে সে চলে যায় বিভিন্ন মেলায়। বউটা একা পড়ে থাকে না খেয়ে। বাধ্য হয়ে বউটা বড় রাস্তার একটা দোকান থেকে বাকি নেয়। দোকানী মহাজন তাকে বাকি দিয়ে যেতে থাকে আর বলে একবারে শোধ করে দিস। এক সময় বউটি বুঝতে পারে সে সন্তানসম্ভবা। তার এই বিপদে নানাজনের কাছে সে সাহায্য চায়। কারো সাহায্য পায়, কারো সাহায্য পায় না। একদিন সং সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু তত দিনে সংসার ছেড়ে চলে যায় তার স্ত্রী। চরিত্র সূচি : ক্রমিক - চরিত্রের নাম - বয়স - পরিচয় - চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য - অভিনয় শিল্পী ০১) আয়নাল (২৫) সঙ - মজার মানুষ - মোশারফ খোকন ০২) আলেয়া (২০) পালার নর্তকী - ঢঙ্গী - রুমা সরকার ০৩) সোলেমান (৩০) ট্রাক ড্রাইভার - লম্পট - শফিক রেহমান ০৪) উজির আলী (৫০) দোকানদার মহাজন - বিয়ে পাগলা - ফজলুল হক পলাশ ০৫) অধিকারী (৫০) যাত্রাপালার মালিক - মাতাল - এস.এম ইকবাল রুমি ০৬) ক্যাশিয়ার (৪০) পালার ক্যাশিয়ার - লোভী ও চতুর - শোয়েব মনির ০৭) ভাবী (৩০) প্রতিবেশী ভাবী - সদয় - সোমা সরকার এই সিনোপসিসে আছে ০১) শুরু - সঙ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করে। মধ্য - তার সঙ্গে যাত্রাপালার নর্তকীর পরিচয় ও প্রেম শেষ - তার স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যায় । ০২) প্রধান প্রধান চরিত্র আছে। যেমন : প্রধান চরিত্র সঙ, তার স্ত্রী , ট্রাক ড্রাইভার ও দোকানী মহাজন। ০৩) প্রধান প্রধান ঘটনা আছে। যেমন : সঙয়ের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, নর্তকীর সঙ্গে পরিচয়, প্রেম ও সংসার, ট্রাক ড্রাইভারের ফুসলানো, দোকানী মহাজনের বাকি দেয়া এবং সবশেষে সংসার ছেড়ে চলে যাওয়া । ০৪) এখানে কাহিনী একটি । কোন উপ-কাহিনী নাই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বলেই উপ-কাহিনী নাই। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলে অবশ্যই উপ-কাহিনী থাকত। ০৫) ভাষা যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও সরল করা হয়েছে। ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। ০৬) আকারের দিক দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফের সমান আছে। যদিও নানা ঘটনার বাঁকগুলো একাধিক প্যারাতে লেখা হয়েছে। ০৭) কোন সংলাপ নাই। ০৮) ১৭৬ শব্দে লেখা হয়েছে। ০৯) সিনোপসিসের শেষে চরিত্রগুলোর একটি তালিকা যোগ করা হয়েছে। *************************************
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 112
Blog Title: কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Entertainment/Recreation
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: কিভাবে চলচ্চিত্র বানাবেন ?

01.

কৈফিয়ত আপনার মধ্যে স্বপ্ন আছে। স্বপ্ন একটি চলচ্চিত্র বানানোর। স্বপ্ন একজন চলচ্চিত্রকার হওয়ার। কিন্তু জানেন না কিভাবে বানাতে হয় একটি চলচ্চিত্র। আপনার জন্য এই বই। চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখেন বলেই ধরে নেয়া যায় আপনি সৃজনশীল। আপনি একটি জানা ঘটনাকে গুছিয়ে লিখতে পারেন। আপনি একটি ঘটনাকে কল্পনার রং চড়িয়ে আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন। কিন্তু সেগুলো কেবল কাগজ ও কলমে। সেই গল্পটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেয়ার জন্য আপনার জানা চাই কিছু কলা-কৌশল। সেই কলা-কৌশলগুলিই এই বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে। আপনি শিখবেন কিভাবে সৃজনশীল চিন্তা করতে হয়, কিভাবে চিন্তাকে গল্পে রূপান্তর করতে হয়, কিভাবে গল্পকে চলচ্চিত্র মাধ্যমের উপযোগী করতে হয়। আরও শিখবেন, কিভাবে গল্পকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছবি ও শব্দে বেঁধে ফেলবেন। ক্যামেরার ভাষায় আপনার গল্পটিকে কিভাবে জীবন্ত করে তুলবেন এবং ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবিগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করবেন। জানবেন, চলচ্চিত্র বানাতে হলে কাদের সহায়তা আপনাকে নিতে হবে, কাদের সঙ্গে আপনি মিলে মিশে কাজ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে কিভাবে কাজ বের করে আনবেন। কেবল স্বপ্ন আর এই বইটি পুঁজি করে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রকার হওয়ার পথের প্রথম পদক্ষেপ নিচ্ছেন আপনি। স্বপ্নিল এ পথের যাত্রা শুভ হোক।

আপনার প্রথম পদক্ষেপ : চাই একটি গল্প
চলচ্চিত্র বানাবেন কেন ? কারণ আপনি একটি গল্পকে দর্শককে দেখাতে ও শোনাতে চান। চলচ্চিত্রের ভাষায় গল্পের ছলে আপনার নিজস্ব কিছু ধ্যান-ধারণা দর্শককে জানাতে চান। দর্শককে বিনোদন দিতে চান। কিভাবে বানাবেন আপনার গল্পটি ? গল্পটির একটি শুরু থাকবে, মধ্য থাকবে এবং শেষ থাকবে। আর গল্পটির মধ্যে থাকবে একটি দ্বন্দ্ব। কোন একজন ব্যক্তির গল্প হবে এটি। সে কিছু অর্জন করতে চায়। সেই চাওয়াটা বিশাল কোন চাওয়া থেকে সামান্য কিছু হতে পারে। সে চায় মন থেকে। সে পিছ পা হওয়া জানে না। সে একটা পণ করেছে। কিন্তু তার সেই অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। কেননা, তার এই অর্জনের পথে রয়েছে এক বা একাধিক বাধা। সেই বাধার মধ্যে কিছু তার নিজের মধ্যে বা অন্য কোন ব্যক্তি তার পথের কাঁটা। সুতরাং একটি সংঘাত অনিবার্য। চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই প্রতি পদে পদে সংঘাত হবে। সেই সংঘাতে ব্যক্তিটি বিজয় লাভ করবে বা হেরে যাবে। সহজ কথায় পৃথিবীর তাবৎ সিনেমার গল্প এটি। এর বাইরেও সিনেমা হয়। নানা রকম সিনেমা হয়। এত রকম হয় যে, এক কথায় সেটা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা এত জটিলতায় যাব না। কেননা, আমরা মাত্র শেখা শুরু করেছি। আমরা সহজ করে শিখব। যত সহজ করে সম্ভব তত সহজ করেই আয়ত্ত করব চলচ্চিত্র বিদ্যা। এই বিদ্যা আয়ত্ত করার জন্যই পণ করেছি জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র বানাব । আসুন, কাজে নেমে পড়া যাক।

2.

প্রথম কাজ : সৃজনশীল ভাবনা গল্পের তরে ভাবনা হবে সৃজনশীল। মানে সৃজন করার জন্য। সৃজন করতে হলে ভাবতে হবে। সেই ভাবনা এলোমেলো হলে হবে না। হতে হবে গুছানো। হতে হবে পরিকল্পিত। হবে হবে সেই মাধ্যমের উপযোগী যেই মাধ্যমে সৃজনশীল কাজটি হবে। আপনি চলচ্চিত্র বানাবেন। তার জন্য গল্প লিখবেন। সেই গল্প হতে হবে চলচ্চিত্রের উপযোগী। নচেৎ সেই গল্পের কোন মূল্য নাই। চলচ্চিত্রের গল্প কেমন হয় ? চলচ্চিত্রে আমরা কতগুলো চলমান দৃশ্য দেখি। আর শুনি কিছু শব্দ। তাই গল্পের মধ্যে থাকতে হবে কিছু দৃশ্য বা ছবি এবং কিছু শব্দ। যেই গল্পই বানান না কেন সেটাকে দৃশ্যে এবং শব্দে প্রকাশ হবে। কিভাবে বানাবেন চলচ্চিত্রের গল্প ? পৃথিবীর সব গল্প বানানোর একটা সহজ নিয়ম আছে। এই সহজ নিয়মের জন্য দরকার মগজের ঝড়। ইংরেজিতে যেটাকে বলে ব্রেইন স্টর্মিং - সেটার সোজা বাংলা মগজের ঝড় বলাই ভালো। যাই হোক, মগজের ঝড় কিভাবে তুলবেন এবং সেটাকে কিভাবে আপনার গল্প বানাতে ব্যবহার করবেন সেটাই হল আলোচ্য বিষয়। এই মগজের ঝড় তোলার নানা কায়দা আছে। অত বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে আমরা সহজ করে বুঝি। প্রথমে ভাবুন একটা মূল বক্তব্য নিয়ে। কী বলতে চান আপনি এই চলচ্চিত্রের দিয়ে ? যেমন, আপনি বলতে পারেন : ০১) মানুষ মানুষের জন্য। এই সহজ কথাটি বোঝানোর জন্য আপনি একটি গল্প তৈরি করতে পারেন । সেই গল্পে কোন মানুষ নিঃস্বার্থভাবে অন্য মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দেবে। অপর জন তার এই বিলিয়ে দেয়ার কথা প্রথমে জানবে না। যখন জানবে তখন আর প্রতিদান দেয়ার সময় নাই। অথবা ০২) প্রেম নয়, টাকাই বড়। একটি প্রেমের গল্প। গল্পের শেষে দেখা গেল কেবল টাকার জন্য নায়ক / নায়িকা অপর জনকে ছেড়ে গেল। অপরজন তার এই দুঃখে তার জীবন বিসর্জন দিল । অথবা ০৩) টাকা নয়, প্রেমই বড়। এইটিও একটি প্রেমের গল্প। এই গল্পে গল্পের নায়ক টাকার মোহ ছেড়ে তার প্রেমাস্পদকেই বড় করে দেখবে। টাকা বা সম্পদের হাতছানি এড়িয়ে সে তার প্রেমের জন্য একের পর এক ত্যাগ করতে লাগল। কিন্তু তার এই প্রেমের মূল্য দিতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হল। আরেকটা কথা, গল্পের এই মূল বক্তব্যটা গোপন রাখতে হবে। কোথাও প্রকাশ্যে বলা যাবে না। যত গোপন রাখা যাবে, যত কৌশলী হওয়া যাবে, ততই গল্পটা শৈল্পিক হয়ে উঠবে । কিন্তু সে জন্য গল্পটি জটিল করা যাবে না, গল্পটি হবে সহজবোধ্য, যুক্তিসঙ্গত, অদ্বিতীয় ও স্বাভাবিক সম্ভাব্য ঘটনায় ভরপুর। এমন কোন ঘটনা থাকবে না, যেটা খাপ খায় না, অস্বাভাবিক লাগে। তেমন কোন ঘটনা জুড়ে দেয়ার লোভ দমন করতে হবে, আবেগ সংযত করে সেই অংশটুকু নিষ্ঠুরের মতো বাদ দিয়ে দিতে হবে। এবার মগজের ঝড় বিষয়টা বোঝার জন্য একটা অনুশীলনী করা যাক। অনুশীলনী : ০১) এক টুকরো সাদা কাগজ ও কলম নিন। ০২) একটি শব্দে একটি বিষয় বেছে নিন। শব্দটি কাগজের মাঝখানে লিখুন। মনে করুন, এটি একটি বীজ। এই বীজ থেকে একটি চারা গাছ জন্মাবে। এই চারাগাছটিই আমাদের নির্মিয়মান চলচ্চিত্রটি। যেমন : শব্দ হল - ঈর্ষা। ০৩) এবার সেই শব্দটি থেকে একটি বাক্য রচনা করার চেষ্টা করুন। বাক্যটি চারাগাছটি কত বড় হবে সেটা নির্ধারণ করে দেবে। যেমন : ঈর্ষা মানুষের সর্বনাশ করে। ০৪) এই বাক্যটি এমন হবে যেন গল্পের শুরু, মধ্য ও শেষ বিষয়ে একটা আভাস দেয়। যেমন : ঈর্ষা মানুষের সর্বনাশ করে - এই বাক্যে একটা গল্প শুরু হবে ঈর্ষা দিয়ে এবং মধ্যভাবে ঈর্ষার মাধ্যমে কেউ কারো ক্ষতি করবে এবং গল্পের শেষে তার হবে সর্বনাশ। তার মানে হল এই বাক্যটি এমন যে, এই বাক্যটি থেকে এমন একটি গল্প তৈরি করা সম্ভব - যার শুরু, মধ্য ও শেষ আছে। ০৫) এই বাক্যের চারপাশে সাদা কাগজের মধ্যে ঈর্ষা ও সর্বনাশ সংক্রান্ত যত শব্দ মনে পড়ে সবগুলো শব্দ লিখে ফেলুন। প্রত্যেকটি শব্দ দিয়ে একটি করে ঘটনা তৈরি করার চেষ্টা করুন। কিন্তু এই ঘটনাগুলো মূল বাক্যের বিপরীত কোন বক্তব্য প্রকাশ করবে না। যেমন : লিখুন, ক্ষতি করা, চুরি করা, আগুন লাগানো, এসিড মারা, কান ভাঙ্গানি দেয়া - এই প্রতিটি কাজ ঈর্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত । আবার সর্বনাশের সঙ্গে সম্পর্কিত শব্দ হতে পারে - মারামারি হওয়া, সংঘর্ষ হওয়া, দাঙ্গা লাগা, টাকা হারানো, মামলা -মোকদ্দমায় জড়ানো, লুট হওয়া, ভাংচুর হওয়া, অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি। ০৬) এই ভাবে শব্দ লিখে লিখে কাগজটি ভরে ফেলুন। যত বেশি শব্দ লেখা যায়, ততই ভালো। তবে শব্দগুলির মধ্যে দেখার ও শোনার উপাদান থাকলে ভালো হয়। কেননা চলচ্চিত্র তো দেখা ও শোনার মাধ্যম। কিন্তু এমন কোন শব্দ লেখবেন না যেটা এই মূল বক্তব্য বা বাক্যটির সাথে সম্পর্কিত নয়। ০৭) বীজ থেকে পুরো বৃক্ষ হতে যেমন নানা দুর্যোগ পেরুতে হয়, তেমনি অনেক বাধা বিঘ্ন ঘটার মতো ঘটনার কথা লিখুন। তবে সেই সব ঘটনা এই কাগজে নয়, অন্য কোন কাগজে লিপিবদ্ধ করুন। ০৮) তার মানে দাঁড়াল এই, আপনি মূল বক্তব্যটি দিয়ে এমন একটি বাক্য রচনা করবেন যেটা গল্পের শেষ, মধ্য ও শুরু প্রকাশ করবে। বিশেষ করে গল্পের শেষটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গল্পের শেষ কিভাবে হবে সেটাই আগে নির্ধারণ করে নিন। এই যে কাজটা করলাম, এটাই হল মগজের ঝড় বা ব্রেইন স্টর্মিং। একটা ভালো গল্প লেখার জন্য মগজে ঝড় তুলে বিষয়টা আগে বুঝে নিতে হবে। এটা হল সহজ পন্থায় মগজের ঝড়। নানাভাবে মগজের ঝড় তোলা যায়। এই কাজটি নতুনদের জন্য খুবই জরুরী। যারা অভিজ্ঞ তাদের জন্য এই রকম মগজের ঝড় না তুললেও চলবে।

3.

সৃজনশীলতার যাদুর সঙ্গে এবার মেশাই জ্ঞানের নেশা : সৃজনশীলতার যাদুর জগৎ সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দেয়া গেছে। মগজের ঝড় তুলে আপনি সৃজনশীলতার জগৎ সম্পর্কে সামান্য ধারণা নিয়েছেন। এবার আসুন এই যাদুর সঙ্গে মেশাই জ্ঞানের নেশা। কেননা চলচ্চিত্র এই যাদু ও নেশার জগৎ। কাগজে কলমে সিনেমার যে গল্পটি লেখা হয় সেটাকে বলে চিত্রনাট্য। আগে চিত্র পরে নাট্য। এতে চিত্রও আছে, নাট্য আছে। তাহলে চিত্র ও নাট্য উভয় সম্পর্কে জানতে হবে। চিত্রনাট্য লিখতে হলে যা যা জানতে হবে -- বিষয়বস্তু : যে বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি সিনেমা বানাবেন তার সম্পর্কে জানতে হবে। একজন সাংবাদিক যেভাবে একটা সংবাদ লেখার আগে ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেয়, তেমন করে জেনে নিতে হবে। অথবা একজন গোয়েন্দা যে রকম গোপনে একটা বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়, সেভাবে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর ওই বিষয়ে সম্ভাব্য সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বইপত্র, পত্রিকা, সিনেমা, নাটক এবং ইন্টারনেট হতে পারে উৎস। মোট কথা বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান না থাকলে ভালো সিনেমার গল্প লেখা যায় না। বিষয় বেছে নেয়ার সহজ কৌশল হল, নিজের বা পরিচিত জনের জীবন কাহিনী বেছে নেয়া। তার সঙ্গে নিজের কল্পনা ও সৃজনীশক্তি মিলিয়ে বানানো যায় চমৎকার গল্প। অনুশীলনী : ০১) একটি ছোট নোট বুক ও কলম নিন। ০২) যে বিষয়ে লিখতে চান সে বিষয় সম্পর্কে কয়েক জনের সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় যে ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইবেন, সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, ধর্ম, জাতীয়তা, তার সঙ্গে পরিবার, সহকর্মী, সহপাঠী, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্ক খুজে বের করুন। ০৩) একই বিষয় নিয়ে রচিত উপন্যাস পড়ুন। পত্রিকায় এর সম্পর্কিত কোন খবর থাকলে পড়ুন। অন্যান্য বই পড়ুন। ম্যাগাজিন পড়ুন। ইন্টারনেট ঘাটুন। নাটক ও সিনেমা দেখুন। মূলবক্তব্য বা প্রেমিজ : মগজের ঝড় তুলতে গিয়ে আমরা মূলবক্তব্য নিয়ে কাজ করেছি। ফলে আমরা ইতিমধ্যে জানি প্রত্যেকটি গল্পেরই একটি মূল বক্তব্য থাকে। একই বিষয়ে গল্প লেখা হলেও মূলবক্তব্য ভিন্ন হয়। যেমন : ০১) প্রেম একটি স্বর্গীয় বিষয়। ০২) প্রেম কেবল কাঁদায়। এই দুটি মূল-বক্তব্যের বিষয় একই কিন্তু বক্তব্য ভিন্ন। মগজের ঝড় তোলার কৌশল কাজে লাগিয়ে মূল বক্তব্য নির্ধারণ করা যায়। প্লট বা বৃত্ত : প্লট বা বৃত্ত হল কাহিনী। যে বিষয়ে সিনেমা বা নাটক বানাতে চান, সেই কাহিনীকে তত্ত্বীয় ভাষায় বলা হয় প্লট বা বৃত্ত। কাহিনীর মধ্যে ২ ধরনের কাহিনী থাকে। একটি হল মূল কাহিনী বা মেইন প্লট। যেই লোকটি কাহিনীর প্রধান চরিত্র, তার কাহিনীটিই হল মেইন প্লট বা প্রধান বৃত্ত। এর বাইরে অন্য কোন চরিত্রের কাহিনী যুক্ত থাকলে সেটাকে বলা হয় সাব-প্লট বা অপ্রধান বৃত্ত। সাব-প্লট বা অপ্রধান বৃত্ত মূলত মেইন প্লট বা প্রধান বৃত্তের কাহিনীকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সিনেমার প্লট বা বৃত্ত তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য : ০১) গল্পটি কি দরকার আছে ? ০২) এ গল্পটি কী বোঝায় ? উদ্দেশ্য কী ? ০৩) এ সিনেমাটি কি নতুন কোন কিছু বলে ? অনুশীলনী : ০১) একটি এ-ফোর সাইজের কাগজ নেন। ০২) পুরো গল্পটি এক পাতায় লিখুন। ০৩) এ ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করবেন না। কেবল ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখে যান। দ্বন্দ্ব /সংঘাত : সিনেমা বা নাটকের গল্পে ২টি প থাকে। সেটা হতে পারে নায়ক বনাম প্রতি-নায়ক, নায়ক বনাম প্রকৃতি, নায়ক বনাম রাষ্ট্র ইত্যাদি। আরেকটি দ্বন্দ্ব হল নিজের সঙ্গে নিজের দ্বন্দ্ব - যাকে বলা হয় আত্ম -দ্বন্দ্ব। একই সাথে গল্পের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে আত্ম-দ্বন্দ্ব ও বহির্মুখী দ্বন্দ্ব। ফলে গল্প হয়ে উঠবে আরও নাটকীয়। দর্শক হিসেবে মানুষ সব সময় লড়াই বা প্রতিযোগিতা দেখতে পছন্দ করে। এ জন্যই প্রতিটি খেলাতেই ২টি পক্ষ থাকে। এক পক্ষ জেতে ও অপর পক্ষ হারে। এই হারজিত সিনেমার কাহিনীতেও থাকে। সাধারণ নায়ক জেতে ও প্রতি-নায়ক হারে। আবার কখন নায়ক হেরে যায়। কোনটা হবে সেটা নির্ধারণ করবেন আপনি। অনুশীলনী : ০১) আপনার পরিচিত একজন মানুষকে বেছে নিন। ০২) খুঁজে বের করুন তার সঙ্গে কার সংঘাত আছে। ০৩) কেন সংঘাত ? কোন বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ? ০৪) আপনি কার প নেবেন ? কেন ? ০৫) আপনার চোখে এই দ্বন্দ্বে কে নায়ক ও কে প্রতি-নায়ক ? সাসপেন্স /টেনশন / উৎকণ্ঠা : তারপর কী হবে - এই সাধারণ চিন্তাটা আসে উৎকণ্ঠা থেকে। উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে হয় গল্পের মধ্যে। কেননা, উৎকণ্ঠা দর্শককে পরবর্তী উৎকণ্ঠা দেখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে। উৎকণ্ঠা ছাড়া সিনেমা হবে ম্যাড়মেড়ে। একশনে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা। চোর পালাচ্ছে, তার পিছু নিয়েছে পুলিশ। দর্শকের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হবে। চোরকে কি ধরতে পারবে পুলিশ ? সিনেমায় উৎকণ্ঠা সৃষ্টির জন্য দুটি দৃশ্যকে পাশাপাশি দেখানো হয়। যেমন : নায়িকা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ওদিকে নায়কের ভুল ভেঙ্গেছে। সে তাকে আনতে গেছে তার বাড়ি। বাড়ি থেকে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হয়েছে। নায়িকা টিকেট কাটছে। নায়ক গাড়িতে ছুটছে। নায়িকা ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছে ট্রেনের দিকে। নায়কের গাড়ি ট্রাফিক জ্যামে। এই রকম পাশাপাশি দুটি স্থানের দৃশ্য দেখিয়ে সিনেমায় দর্শক মনে চরম উৎকণ্ঠা তৈরি করা যায়। সংলাপে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা। যেমন : নায়ক : আমি যাব। নায়িকা : আমি যাব না। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল উৎকণ্ঠা। তারা কি আদৌ যেতে পারবে ? এইভাবে একশন বা নাট্যক্রিয়া এবং সংলাপে উৎকণ্ঠা তৈরি করতে হবে। অনুশীলনী : ০১) একটি গল্পের মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা লিখতে শুরু করুন। ঘটনাগুলোর নাম্বার দিন। ০২) প্রতিটি ঘটনা লিখুন একটি বাক্যে। ০৩) এমনভাবে লিখুন যেন তারপর কী হবে সেটা জানতে কৌতুহল তৈরি হয়। ০৪) যতক্ষণ পর্যন্ত এই কৌতুহল বা উৎকণ্ঠা তৈরি না হবে ঘটনাগুলো সাজাতে থাকুন, নতুন ঘটনা যোগ করুন, পুরোনো ঘটনা বদলে ফেলুন। চরিত্র : কোন একজন মানুষের জীবনে কাহিনী নিয়ে হয় নাটক বা সিনেমা। যেই মানুষটির কাহিনী নিয়ে নাটক বা সিনেমা হয় সেই মানুষটি হল চরিত্র। একটি মানুষের চরিত্র বুঝতে হলে তার ৩টি দিক বুঝতে হয়। তার ব্যক্তিগত দিক, পারিবারিক দিক ও সামাজিক দিক। চরিত্রের নাম, বয়স, পিতা-মাতা, বন্ধু বান্ধব সবাইকে দেখে চরিত্রটি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। সিনেমার চরিত্র তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য : ০১) চেহারা, ০২) পোশাক, ০৩) বয়স, ০৪) কার্যকলাপ ০৫) সংলাপ, ০৬) অন্য লোক তার সম্পর্কে যা বলে। ০৭) সে নিজের সম্পর্কে যা বলে। ০৮) রক্ত মাংসের মানুষ হতে হবে। ছাচে ঢালা চরিত্র বাদ দিতে হবে। ০৯) চিত্রনাট্যকারকে চরিত্রের ভেতর থেকে কথা বলতে হবে। ১০) চরিত্র চিত্রণের ক্ষেত্রে এমন কোন আচরণ থাকতে পারে - যা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত না হলেও চরিত্র চিত্রণের জন্য ব্যবহৃত হবে। ১১) চরিত্রের মধ্যে একটা ক্ষুধা থাকবে। একটা বিশেষ বাতিক থাকতে পারে। অনুশীলনী : ০১) একটি পরিচিত মানুষকে বেছে নিন। ০২) নিন্মের ছক অনুসারে তার সম্পর্কে সব তথ্য লিখে ফেলুন। এটাকে বলা হয় ত্রৈমাত্রিক চরিত্রের অস্থি সংস্থান। এটি তৈরি করেছেন লাজোস এগরি। চরিত্রের নাম : (ক) শরীরতাত্ত্বিক মান ১. লিঙ্গ : , ২. বয়স : , ৩. উচ্চতা : , ৪. ওজন : , ৫. চুলের বর্ণ : , ৬. চুর বর্ণ : , ৭. চর্মের বর্ণ : , ৮. আঙ্গিক বৈশিষ্ট্য : ৯. আকৃতি : [ দৃষ্টিনন্দন : অতি ও কম ওজন : পরিচ্ছন্ন : পরিপাটি : খোসমেজাজী : মস্তিষ্ক-মুখ- বাহুর আকৃতি : অসমতা : ] , ১০. বিকৃতি : , ১১. বংশানুবৃত্তি : (খ) সমাজতাত্ত্বিক মান ১. শ্রেণী : [ শাসকশ্রেণী : মধ্যবিত্ত : পাঁতিবুর্জোয়া : শ্রমজীবি : ], ২. বৃত্তি : [ কাজের প্রকৃতি : কাজের সময় : মাত্রা : আয় : কাজের শর্তাবলী : প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে : প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক : কাজের যোগ্যতা : ] ৩. শিক্ষাদীক্ষা : [ শিক্ষার পরিমাণ : শিক্ষালয়ের মান: পরীক্ষার ফল : প্রিয় বিষয় : কোন কোন বিষয় সবচেয়ে কম জানে : দতা : ] ৪. পারিবারিক জীবন : [ পিতা মাতা কি জীবিত নাকি মৃত ? তাদের উপার্জন মতা : পিতা : মাতা : পিতামাতার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে কি না : বিচ্ছেদের কারণ : পিতামাতার মানসিক উন্নতির মান : তাদের দোষ : পিতা : মাতা : আসক্তি : পিতা : মাতা : বিরাগ বা উপো : পিতা : মাতা : চরিত্রের সংগ্রামশীলতা : পিতা : মাতা : ] , ৫. ধর্ম : , ৬.জাতি : ৭. সামাজিক প্রতিষ্ঠা : (বন্ধুবান্ধবমহলে, সভা-সমিতি-খেলাধূলায় নেতা কি না) : ৮. রাজনৈতিক মতবাদ : ৯.আমোদ প্রমোদ, বাতিক : (বই, খবরের কাগজ, মাসিক পত্রাদি পড়ার ঝোঁক) : (গ) মনস্তাত্ত্বিক মান ১. যৌনজীবন : , ২. নৈতিক মান : , ৩. ব্যক্তিগত প্রকৃতি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা : , ৪. আশা ভঙ্গ, প্রধান অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা : ৫. মেজাজ : [ কড়া মেজাজী : নরম মেজাজী : নৈরাশ্যবাদী : আশাবাদী : ] ,৬. জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি : [ সমর্পিত : সংগ্রামী : পরাজিতন্মন্য : ] ৭. মনোগ্রন্থি : [ মনোবোধ আচ্ছন্ন : অভ্যাসগত কাজের বিরতি : কুসংস্কার : বাতিক : আতংক : ] ৮. লোক ব্যবহার : [ বহির্মুখী : অন্তর্মুখী : উভয়মুখী : ৯. দক্ষতা : [ ভাষাজ্ঞান : বিশেষ কর্মদক্ষতা : ] ১০. গুণ : [ কল্পনাশক্তি : বিচারশক্তি : সুরুচিবোধ: ভারসাম্য : ] ১১. বুদ্ধির মানাঙ্ক : ০৩) সবগুলো তথ্য একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । আশা করি, তার চরিত্রটি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। একশন বা নাট্যক্রিয়া : নাট্যক্রিয়া বা একশন সিনেমার গতি তৈরি করে। আমরা প্রতিদিন কত শত কাজ করি। সে গুলোর সবই ক্রিয়া বা একশন। এই একশন দেখা যায় শরীরের মাধ্যমে। আমরা হাঁটি, দৌড়াই, বসি, খাই, ঘুমাই - এগুলো সবই একশন। আবার কিছু একশন আছে যেগুলো আমাদের শরীর দিয়ে দেখা যায় না, দেখা যায় মুখভঙ্গির মাধ্যমে। সেই একশনটা ঘটে মনের মধ্যে। মনের সেই অনুভূতি চোখের তারায়, চাহনিতে, ভ্রুর সঞ্চালনে, ঠোঁটের ভঙ্গিতে ফুটে ওঠে। আমরা বুঝে নেই চরিত্রটির মনের অবস্থা। অনুশীলনী : ০১) আপনার পরিবারের একজনকে বেছে নিন। ০২) দূর থেকে তার কাজকর্ম লক্ষ্য করুন। ০৩) সে যা যা করছে সেটা লিখে ফেলুন। ০৪) তার কাজের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অন্য কেউ কী করছে ? সেটাও লিখুন। ০৫) এই সব কাজ করতে গিয়ে তার চেহারার ভঙ্গির কী কোন পরিবর্তন হচ্ছে ? সেই পরিবর্তন ও ভঙ্গিটি লিখুন। ০৬) তার এসব কাজের সঙ্গে কোন কোন বস্তু জড়িত হয়ে পড়ছে। যেমন : ফোন, কম্পিউটার, থানা-বাসন, টেবিল চেয়ার, বই-কলম ইত্যাদি। সে যে সব বস্তু ব্যবহার করে কাজ করছে সেই বস্তুগুলোর নামও লিখুন। সংলাপ : আপনি যেভাবে কথা বলেন, সেটা লিখে ফেললেই হয়ে যাবে সংলাপ। সুতরাং সিনেমার চরিত্রগুলো পরস্পরের সাথে যে কথোপকথন করে সেটাই সংলাপ। সিনেমায় সংলাপ তথ্য দেয়, গল্পকে এগিয়ে নেয় এবং ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়। সিনেমার সংলাপ তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য : (সংলাপের কাজ) ০১) গল্প এগিয়ে নেয়। ০২) চরিত্রকে প্রকাশ করে। ০৩) ঘটনা ও চরিত্র সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দেয়। ০৪) আমাদের চারপাশের বাস্তব চরিত্রের মতো সংলাপ হবে। ০৫) আগের সংলাপের সাথের পরের সংলাপের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ০৬) বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন রকম করে সংলাপ বলবে। ০৭) চরিত্র কিভাবে সংলাপ শোনে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ । সংলাপ রচনার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগ করলে এবং নানা চরিত্র নানা ভাষায় কথা বললে বৈচিত্র্য তৈরি হয়। অনুশীলনী : ০১) জনসমাগম আছে এমন একটা জায়গায় যান। যেমন : রেল স্টেশন, বাস স্টেশন বা কোন থিম পার্ক। ০২) কয়েকজনের কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করুন। ০৩) রেকর্ডকৃত কথোপকথন মনোযোগ দিয়ে শুনুন। খেয়াল করে দেখুন একেক জন একেকভাবে কথা বলছে। ০৪) রেকর্ড করা প্রত্যেকের সংলাপ লিখে ফেলুন। বুঝতে কি পারছেন মানুষ বাস্তবে কিভাবে কথা বলে ? ****************************

4.

এবার কিছু জ্ঞানের কথা বলার আগে পৃথিবী বিখ্যাত দুটি চলচ্চিত্র দেখে নিন। প্রথমটি হল প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের “হীরক রাজার দেশে” এবং আরেকটি হল বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার জ্যামস ক্যামেরনের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র “টাইটানিক”। কিভাবে দেখবেন চলচ্চিত্র ? এতকাল আপনি মনের মাধুরী মিশিয়ে চলচ্চিত্র দেখেছেন, মগজ খাটান নি। এবার মগজ খাটিয়ে চলচ্চিত্র দেখবেন। দর্শক হিসেবে নয়, চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে চলচ্চিত্র দেখবেন। সেভাবে দেখার একটা সাধারণ নিয়ম আছে। অনুশীলনী : ০১) কাগজ কলম নিন। ০২) সত্যজিৎ রায়ের “হীরক রাজার দেশে” চলচ্চিত্রটি আপনার ডিভিডি প্লেয়ারে চালু করুন। ০৩) প্রথম দৃশ্য থেকে ধীরে ধীরে দেখুন। বারে বারে থামুন। ০৪) শটগুলো লিখে ফেলার চেষ্টা করুন। একবার ক্যামেরা চালু হওয়ার পর ক্যামেরা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত যে অংশটুকু গৃহীত হয়, সেটাই একটি শট। শটগুলো লেখার ক্ষেত্রে ক্যামেরা দূরত্ব , ক্যামেরা কোণ ও ক্যামেরা সঞ্চালন বিবেচনা করুন। বস্তু থেকে ক্যামেরা দূরত্বের উপর ভিত্তি করে শটের অনেকগুলো নাম দেয়া হয়েছে। যেমন : ক্যামেরা দূরত্বের উপর ভিত্তি করে শটের বিভাজন : ০১) এক্সট্রিম লং শট (অতি দূরবর্তী শট) : একটা পুরো গ্রাম, প্রান্তর ইত্যাদি দেখানোর জন্য দূর থেকে যে শট নেয়া হয় সেটাই এক্সট্রিম লং শট। এক্সট্রিম লং শট ছাড়া অন্য সব শট বোঝার জন্য মানুষের শরীর থেকে ক্যামেরা দূরত্ব বিবেচনা করা হয়। সেই দূরত্বের কারণে শরীরের কতটুকু ক্যামেরা ধারণ করা হচ্ছে সেটা বিবেচনা করে শটগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। ০২) লং শট : ফ্রেমে একটি মানুষের পুরো শরীর আসবে। সেই সাথে মানুষটির পেছনের বেশ কিছু জায়গা এবং সামনে বেশ কিছু জায়গা ফ্রেমে থাকবে। এটাই লং শট। ০৩) ফুল শট : মানুষের পা থেকে মাথা পর্যন্ত শট। মানুষের সামনে কোন দৃশ্য বা ফোরগ্রাউন্ড এই শটে থাকে না। লং শটের ফোরগ্রাউন্ড বা সামনের জায়গা ছেটে দিলেই সেটা ফুল শট হয়ে যায়। ০৪) মিড লং শট : পায়ের পাতার উপর থেকে ও হাঁটুর নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে মিড লং শট বলে। ০৫) মিড শট : হাঁটুর উপর ও কোমরের নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে মিড শট বলে। তাছাড়া বসা অবস্থায় যে কোন শটকেও মিড শট বলে। ০৬) মিড কোজ শট : মিড শটে একটি মানুষ না থেকে যদি একাধিক মানুষ থাকে তবে তাকে মিড কোজ শট বলে। ০৭) কোজ শট : নাভির উপর থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে কোজ শট বলে। ০৮) কোজ আপ : বুক থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে কোজ আপ বলে। ০৯) টাইট কোজ আপ : গলার নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে টাইট কোজ আপ বলে। ১০) বিগ কোজ আপ : থুতনি থেকে কপাল পর্যন্ত শটকে বিগ কোজ আপ বলে। ১১) এক্সট্রিম কোজ আপ : শুধুমাত্র ঠোঁট, চোখ বা গাল ইত্যাদির শটকে এক্সটিম কোজ আপ বলে। ক্যামেরা কোণের উপর ভিত্তি করে শটের বিভাজন : ০১) হাই এঙ্গেল শট : আই লেভেল থেকে ক্যামেরা উপরে স্থাপন করে নিচের দিকে শট নিলে তাকে হাই এঙ্গেল শট বলে। ০২) লো এঙ্গেল শট : আই লেভেল থেকে ক্যামেরা নিচে স্থাপন করে উপর দিকে শট নিলে তাকে লো এঙ্গেল শট বলে। ০৩) স্ট্রেইট এঙ্গেল শট বা ফ্রন্ট এঙ্গেল শট : আই লেভেল বরাবর ক্যামেরা স্থাপন করে শট নেয়া হলে সেটা স্ট্রেইট এঙ্গেল বা ফ্রন্ট এঙ্গেল শট। ০৪) টপ শট : হাই এঙ্গেল শটের চূড়ান্ত অবস্থা হল টপ শট। একেবারে মাথার উপর থেকে শট নেয়া হলে তাকে টপ শট বলে। ক্যামেরা সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে শটের বিভাজন : ক্যামেরা সঞ্চালন ২ প্রকার : ০১) নিজের অক্ষের উপর ক্যামেরা সঞ্চালন, ০২) ক্যামেরার স্থান পরিবর্তন। ০১) নিজের অক্ষের উপর ক্যামেরা সঞ্চালন : ক) প্যান : নিজের অক্ষের উপর ক্যামেরার আনুভূমিক সঞ্চালনকে প্যান বলে। আমরা যে রকমভাবে ডান থেকে বায়ে বা বা থেকে ডানে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাই, ঠিক সেভাবে ক্যামেরা এক পাশ থেকে অন্য পাশে সঞ্চালন করাকেই প্যান বলা হয়। খ) টিল্ট আপ/ টিল্ট ডাউন : নিজের অক্ষ বরাবর ক্যামেরা নিচ থেকে উপরে উঠলে টিল্ট আপ এবং উপর থেকে নিচে নামলে টিল্ট ডাউন বলে। আমরা যেভাবে ঘাড় উচু করে আকাশ দেখি সেটাকে ক্যামেরা করলে টিল্ট আপ এবং আমরা যেভাবে ঘাড় নিচু করে মাটি দেখি সেটাকে ক্যামেরা করলে টিল্ট ডাউন বলি। ০২) ক্যামেরার স্থান পরিবর্তন: ক) ডলি শট : চাকা লাগানো প্লাটফর্মের উপর ক্যামেরা ও ক্যামেরাম্যানকে বসিয়ে সেই প্লাটফর্মকে চলন্ত করে শট নিলে সেই শটকে বলা হয় ডলি শট। খ) ট্রলি শট : কোন ট্রলির উপর ক্যামেরা ও ক্যামেরাম্যানকে বসিয়ে শট নেয়া হলে সেটাকে বলে ট্রলি শট। গ) ট্রাকিং শট : ডলি শট বা ট্রলি শট নেয়ার ক্ষেত্রে প্লাটফর্মের চাকার নিচে কোন লাইন থাকে না, কিন্তু ট্রাকিং শটের ক্ষেত্রে রেল লাইনের মতো ট্রাক বসানো হয়। সাধারণত কোন অমসৃণ স্থানে ক্যামেরা সঞ্চালনের জন্য ট্রাক ব্যবহার করা হয়। ঘ) ক্রেন শট : ক্রেনের উপর ক্যামেরা বসিয়ে শট নেয়া হলে তাকে ক্রেন শট বলে। অধুনা সকল টেলিভিশন প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ক্রেন ব্যবহার না করে জিব আর্ম ব্যবহার করা হয়। ঙ) এরিয়াল শট : হেলিকপ্টার ব্যবহার করে যেই শট নেয়া হয় তাকে এরিয়াল শট বলে। ******************************************


Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 111
Blog Title: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Marketing/Sales
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: কিভাবে শুরু করবো? আজ এই ব্যাপার টা বিস্তারিত আলোচনা করবো। যে কোন কাজ ই সঠিক ভাবে শুরু করতে না পারলে ভালো করা যায় না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কিভাবে কাজ শুরু করবেন, আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে, কোথা থেকে শুরু করবেন এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, সুতরাং আর্টিকেলটা একটু বড় হবে, সুযোগ থাকলে, এক কাপ কফি নিয়ে আসেন, আয়েশ করে কফি খেতে খেতে ভালো ভাবে পড়তে পারবেন :)

ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং কি?

আমরা মার্কেটিং কি কম বেশি সবাই জানি। মার্কেটিং হচ্ছে বসুন্ধরা সিটি যেয়ে গার্লফ্রেন্ড এর জন্য ঈদ এ নতুন জামা ও জুতা কেনা। তাই না? আসলে কিন্তু না :-P আসলে মার্কেটিং হচ্ছে যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য এর ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন এ করবেন সেটা হবে “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিল টা নিজের কোন প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিক্রয় ও প্রমোশন এর জন্য ব্যাবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং। আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি চাইলে আমার এই ভিডিও টি দেখতে পারেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এর উপর ভালো ধারনা পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি আপনার জন্য?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো একটি ক্যারিয়ার হবে কিনা তা এখনি জানা যাবে। আমি নিচে কিছু লিখবো, সব গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য। একটিও যদি না মিলে, যত দিন আপনি ওই জিনিস টি মিলাতে না পারবেন, ভালো মার্কেটার হতে ওই একটি বাঁধা আপনার রয়ে যাবে।

আমার কম্পিউটার টি আমার মন মত, এই কম্পিউটার এ আমি কাজ করে আনন্দ পাই। আমার ইন্টারনেট লাইন টি আনলিমিটেড আর আমি সহজেই ইউটিউব এ আটকানো ছাড়া ভিডিও দেখতে পারি। আমার একটি প্রিন্টার আছে আমার একটি আলাদা কাজ এর জায়গা আছে, আর কাজের সময় আমাকে কেও ডিস্টার্ব করে না।

আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি, আর স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি নিরলস পরিশ্রম করতে রাজি। আমার ইংরেজি খুব ই ভালো, আমি যা শুনী সহজেই বুঝি, আর আমি কোন সমস্যা ছাড়া ইংরেজি লিখতে পারি। নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে, গবেষণা করতে আমার ভালো লাগে। খুব সূক্ষ্ম ভুলও আমার চোখ এড়ায় না, যা করি একদম ভালো মত করি। বন্ধু, আড্ডা, খেলা, বেরানো সব কিছুর চাইতে বেশি আমি আমার ক্যারিয়ার কে মূল্য দেই।

আমি কখনই হার মানি না, একটি কাজ শুরু করলে সেইটা শেষ করেই ছাড়ি। আমি প্রতিদিন অন্তত ৩ ঘণ্টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করতে পারব। আমার হাতে ২০-২৫ হাজার টাকা আছে, যেটা শিখার সময় লস হলে কোন অসুবিধা নাই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ এখনি কামাই করার চাইতে, শিখা টা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ এর মন মানসিকতা ও চিন্তাধারা (Customer Phycology) সম্পর্ক জানতে ভালো লাগে। যেকোনো কিছু সম্পর্কে আমি বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করতে পারি গুগল থেকে। আমার মধ্যে লোভ খুব একটা কাজ করে না। তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়াতে আমি বিশ্বাসী না। আমি জানি আমি পারব, আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, সামনে বছর এই সময় আমি একজন সফল মার্কেটার হয়ে দেখাব। সবগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল আপনি হবেন ই, ইনশাল্লাহ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনার ৩ টি টপিক জানা লাগবে - ১। নিশ কিঃ

নিশ কে সহজ ভাষায় বলা যায় “ইন্ডাস্ট্রি”। মার্কেট এ গেলে যেমন দেখা যায় – কাপড় এর দোকান, খাওয়ার দোকান, জিম, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। আপনি জানেন ইন্টারনেট এও রয়েছে ফুড এর ওয়েবসাইট, ড্রেস এর ওয়েবসাইট, বিভিন্ন বিউটি প্রডাক্ট ইত্যাদি। এখন খাওয়ার দোকান যেমন হচ্ছে “ফুড ইন্ডাস্ট্রি” এর মধ্যে, একইরকম “ফুড এর ওয়েবসাইট” হচ্ছে “ফুড নিশ” এ। অফলাইন এ ইন্ডাস্ট্রি আর অনলাইন এর ভাষায় “নিশ”। নিশ কে ইন্টারনেট এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও প্রডাক্ট এর ক্যাটাগরি ও বলা চলে। যেমন – “Career & Jobs” এই ক্যাটাগরি তে পরবে যত রকম জব ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক ওয়েবসাইট, প্রডাক্ট, সার্ভিস। আপনি যদি কোন ক্যারিয়ার রিলেটেড প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান – উধাহারন সরূপ বলা যায় oDesk যদি প্রমট করেন, তাহলে আপনার নিশ হচ্ছে “Career & Jobs”. উল্লেখ্য অনেকেই হয়তো ভাববেন – oDesk হবে Freelancing ক্যাটাগরি / নিশ এ। হা এইটা সত্য, oDesk আসলেই “Freelancing/Outsorcing” নিশ এ, কিন্তু একই সাথে আবার “Career & Jobs” এও। একটু পেঁচানো মনে হচ্ছে? হওয়াটাই স্বাভাবিক! নিশ এর মধ্যে একটি জিনিষ আছে – সেটা হচ্ছে “সাব নিশ”। এখানে oDesk যদি প্রডাক্ট হয় তাহলে এটির নিশ হবে – Career & Jobs > Freelancing/Outsourcing. অর্থাৎ প্রধান নিশ হচ্ছে “Career & Jobs” আর সাব নিশ হচ্ছে “Freelancing/Outsourcing”। আরও কিছু উধাহারন দেয়া যায় যেমন – Food & Cooking > Recipies অথবা Sports > Football > Shoes। আপনি একটি প্রধান নিশ এর যত ভিতরে যাবেন ( সাব নিশ ) আপনার জন্য তত সহজ হবে কাজ শুরু করা।
২। কিভাবে ও কোথায় আপনার পছন্দের নিশ থেকে ভালো মানের কমিশন ভিত্তিক প্রডাক্ট পাবেন প্রমোশন এর জন্যঃ

ভিবিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দ মত প্রোডাক্ট পাবেন আপনার পছন্দের নিশ এ। আপনি একটু গুগল এ সার্চ করলেই অন্তত ৫০টি ভালো মানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস পাবেন। তবে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে ClickBank.com, বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ক্লিকব্যাংক এ কাজ করবেন এইটা এই ভিডিও টি দেখলে শিখতে পারবেন। এছাড়া আপনি শুরু করতে পারেন Jvzoo এ, অথবা LinkShare এ। মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট ওপেন করা, কাজ শুরু করা কোন ব্যাপার ই না, YouTube এ খুঁজলেই অনেক ভিডিও পাবেন। আর আপনি যদি ClickSure এ কাজ শুরু করতে চান, তাও করতে পারেন, তবে আমার মতে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে ClickBank. আপনি এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার মন মত প্রোডাক্ট পাবেন।
৩। কিভাবে সেই প্রডাক্ট টি অনলাইন এ মার্কেটিং করে কমিশন আয় করবেনঃ

এই ছোট্ট প্রশ্ন টির সঠিক উত্তর আমি আজ ৭ বছর ধরে শিখছি, এখনও মনে হয় কিছুই শিখতে পারিনি। আমি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বলব আর কিছু আইডিয়া দিবো যেন আপনি গুগল ও youtube থেকে নিজ গুনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। পণ্য টি আপনি ২ ভাবে মার্কেট করতে পারেন। এক হচ্ছে ডিরেক্ট মার্কেটিং, অর্থাৎ সরাসরি কাস্টমার দের প্রোডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দিয়ে। আর দ্বিতীয় হচ্ছে একটি সেলস ফানেল করে কাস্টমার দের কন্টাক্ট ইনফো নিয়ে, ওদের প্রোডাক্ট এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানিয়ে এর পর প্রোডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে। ২ টি মেথড ই আমি একটু পরে আলোচনা করবো, তবে যে মেথড এই কাজ করেন – আপনার তিনটি জিনিষ জানা লাগবে তা হল ১। কাস্টমার চেনা (Traffic Targetting) ২। তাদের প্রোডাক্ট পেইজ এ নিয়ে আশা (Drive Traffic)
৩। কনভারসন টেকনিক।

আর বলা বাহুল্য বেশিরভাগ সফল মার্কেটার সেলস ফানেল এর মাধ্যমে মার্কেটিং এ কাজ করে, আর আমি চাই আপনিও সেলস ফানেল করে কাজ করেন, তবে এর জন্য আপনার জানতে হবে সেলস ফানেল কি ও কিভাবে তৈরি করবেন, যেটা একটু পরেই আমরা আলোচনা করবো। ADs by Techtunes tAds hostaccent web hosting কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন? আপনি যদি ডিরেক্ট মার্কেটিং করতে চান, যেটা সর্টকাট অথবা যদি এমন ভাবেন আগে একটু চেষ্টা করে দেখি যদি কিছু নগদ “নারায়ণ” আসে তাহলে ভালো ভাবে শুরু করবো, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন বলার খুব একটা কিছু নাই। একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করেন, আর এর পর ট্রাফিক সেন্ড করেন সেই প্রোডাক্ট পেইজ এ। আর যদি সত্যিকার মার্কেটার এর মত কাজ করতে চান, ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেলস ফানেল করে কাজ করেন। কিভাবে ও কোথা থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন – এর জন্য আমি নিচে স্টেপ বাই স্টেপ নোট করে দিচ্ছি -

১। প্রস্তুতিঃ
যদি সফল হতে চান তাহলে প্রথমেই নিজের সাথে কমিটমেন্ট করতে হবে – “যে কোন মূল্যে সফল হবোই”। সাধারণ মানুষ এর চাইতে কমিটেড মানুষ দের সাফল্য অনেক গুন বেশি। আর এই কমিটমেন্ট টি করতে হবে একদম মন থেকে, আপনাকে আপনি বলবেন – যে কোন মূল্যে আমি সফল হবোই। কমিটমেন্ট করার পর একটি প্লান করবেন – কবে থেকে কাজ শুরু করবেন, কত টাকা আপনার ইনভেস্টমেন্ট, দিনে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, কত ঘণ্টা কাজ শিখার জন্য দিবেন, কি কি ওয়েবসাইট ফলো করবেন ইত্যাদি। কাজ সম্পর্কিত সকল কিছু একটি প্লান এর মধ্যে নিয়ে আসবেন, মনে মনে রাখলে পুরে ভুলে যাবেন, তাই সব কিছু প্রথমেই প্লান আকারে নোট করে নিবেন।
২। নিস সিলেকশনঃ

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নিস সিলেকশন। আপনি যদি আপনার জন্য পারফেক্ট নিস সিলেক্ট না করতে পারেন, তাহলে সফলতার হার কাজ শুরু করার আগেই কমে যাবে! আমরা অনেকেই নিস সিলেকশন এর জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেই Keyword Research, Market Analysis ইত্যাদি জটিল সব বিষয় কে আর সহজ একটি জিনিশ ভুলে যাই “আমার কি ভাল লাগে”। যে কোন কাজ এ সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, আর যদি আপনার টপিক টি আপনার পছন্দের না হয় তাহলে এর উপর প্রচুর পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব। নিস সিলেকশন এর জন্য আমার বেক্তিগত মতামত হচ্ছে – মার্কেট রিসার্চ, কম্পিটিশন, কীওয়ার্ড ইত্যাদি বিষয় এর চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া লাগবে – আপনার কি ভাল লাগে, আপনি কি পারেন, আপনার দক্ষতা কোথায় তার উপর। উদাহারন – আপনি হয়ত একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনার নেশা, পেষা, ভালবাসা সব কোডিং আর ডিজাইনিং ঘিরে – কিন্তু সাইড ইনকাম এর আসায় অ্যাফিলিয়েট এ কাজ করার চেষ্টা করছেন “Make Money” তে !! আপনার উচিত আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ভাল লাগে এমন নিস সিলেক্ট করতে – উদাহারন – আপনার ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনার জন্য ভাল হবে – থিম / প্লাগিন এর অ্যাফিলিয়েট করলে। সুতরাং আপনার পছন্দ মত একটি নিস সিলেক্ট করে ফেলেন, যদি হেল্প লাগে এ বেপারে কমেন্ট এ জানাতে পারেন আপনার কি ভাল লাগে, কি কাজ করেন আপনি – আমি সাজেশন দিয়ে দিবো।
৩। নিস অথরিটিঃ

সবাই ক্লিক পায় আর কিছু মানুষ সেল পায় – এর কারন টা এইটা :) আমরা বেশিরভাগ ই যে কোন একটা নিস সিলেক্ট করে “ক্লিক আনার” যুদ্ধে নেমে পরি! আপনার মার্কেট থেকে সেল নিতে হলে ওই মার্কেট এ আপনার অথরিটি থাকা লাগবে, আপনার ওই নিস সম্পর্কে দক্ষতা লাগবে, আর এই দক্ষতাই আপনাকে হেল্প করবে ভাল মানের কন্টেন্ট বানাতে, এড লিখতে, ল্যান্ডিং পেইজ বানাতে, ফলোআপ করতে। নিস সিলেক্ট করার পর অন্তত ১৪ দিন ( ২ সপ্তাহ ) সময় দিন নিস অথরিটি পাওয়ার জন্য। কিভাবে পাবেন বলছি – যদি আপনার নিস হয় “Weight Loss” – তাহলে আপনি প্রথমেই খুঁজে বের করবেন এর উপর ভাল মানের ৫ – ৬ টা ব্লগ, ভাল মানের আর্টিকেল গুল সব প্রিন্ট করে ফেলবেন এর পর পরীক্ষার সময় যেভাবে পড়ে নোট নিতেন ঠিক সেইভাবে আর্টিকেল গুল পরবেন, যা যা ভাল লাগবে নোট নিবেন। মার্কেট এ ভাল মানের কি কি প্রোডাক্ট আছে সব গুলোর সম্পূর্ণ সেলস ভিডিও দেখবেন, রিভিও পরবেন, ব্লগ / ভিডিও তে কমেন্ট গুলো পরবেন। সব মিলিয়ে আপনার ভাল ধারনা হবে, মার্কেট এ কি রকম প্রোডাক্ট আছে, মানুষ কি রকম প্রোডাক্ট চায়, তাদের কি সমস্যা, আর কোন প্রোডাক্ট এর কোন গুণাবলি সেই সমস্যা সমাধান এ কাজে দিবে। এছাড়াও আপনি যখন আপনার নিস সম্পর্কে জানবেন – আপনার নিজের মধ্যে ভাল কনফিডেন্স কাজ করবে, প্রত্যেকটি কাজ সাবলীল ভাবে করতে পারবেন। অন্তত ২ সপ্তাহ ভাল ভাবে নিস সম্পর্কে পড়াশোনা করার পড় আপনি এর পর এর ধাপ এ কাজ করবেন। আর কাজ শুরু করার পর প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিবেন নিস এ নতুন কিছু শিখার জন্য। ভাল হয় যখনি ভালো কোন ভালো আর্টিকেল দেখবেন সাথে সাথে প্রিন্ট করে রাখবেন, আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পরবেন। আপনি আমার এই কথাটি সিরিয়াস নেন আর না নেন, কিন্তু এইটাই সত্যি – আপনি যদি আপনার নিস সম্পর্কে ভালো ভাবে না জানেন তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেন না, আর আপনি যদি প্রতিদিন আপনার নিস সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিশ না শিখেন তাহলে আপনার আয় বাড়বে না। আর একটা কাজ করবেন – যখন ভালো আর্টিকেল দেখেবন, ভালো কোন এড দেখবেন – যা যা ভালো লাগে নোট করে রাখবেন পড়ে আপনার কাজে লাগবে। একটা বেপার মাথায় রাখেবন – আপনি যত কম কম্পিটিশন এর ই নিস বের করেন না কেন – আপনি যদি না জানেন সেখানে ভালো করার সুযোগ নাই, আর আপনি যেই নিস ভালো জানেন সেখানে যতই কম্পিটিশন থাক আপনার ভালো করার সুযোগ আছে।
৪। মার্কেট সিলেকশনঃ

নিস সিলেক্ট করার পড় সিলেক্ট করবেন মার্কেটপ্লেস। একসাথে অনেক গুলো মার্কেট এ কাজ করার চাইতে যে কোন একটায় কাজ শুরু করা ভালো। এতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। অনেক গুলো মার্কেটপ্লেস আছে তবে শুরু করার জন্য ভালো হচ্ছে ClickBank.com অথবা Jvzoo.com. এছাড়া অন্য কিছু মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ClickSure.com, ClickBetter.com, PayDot.com, VIPAffiliates.com, TwistDigital.com, LinkShare.com, Cj.com, Payspree.com ইত্যাদি। যেই মার্কেট এ কাজ করবেন সেই মার্কেটপ্লেস এর অফিসিয়াল YouTube চ্যানেল এ অনেক টিপস / how to ভিডিও পাবেন ওগুলো দেখে নিলে অনেক উপকার পাবেন।
৫। প্রোডাক্ট সিলেকশনঃ

মার্কেটপ্লেস ঠিক করার পর আপনি মার্কেট এর প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি থেকে আপনার পছন্দের নিস এর ক্যাটাগরি তে ঢুকে প্রোডাক্ট গুলো কাস্টমার হিসাবে দেখেন। আপনি যদি ” নিস অথরিটি” এর জন্য ২ সপ্তাহ সময় দিয়ে থাকেন, তাহলে ১০ – ১৫ টা প্রোডাক্ট চেক করলে ১টি ভালো প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা আপনার জন্য কোন বেপার না। ভালো প্রোডাক্ট কখনও “সার্চ” ভলিউম এর উপর নির্ভর করে না, ভালো প্রোডাক্ট এ “Clear benefit” থাকে, ভালো মানের সেলস পেইজ থাকে, ভালো সাপোর্ট থাকে এবং একি সাথে ভালো রিভিও থাকে। আমি ইভেন্ট এ, ও আমার এডভান্স টিটরিয়াল এ প্রোডাক্ট সিলেকশন এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আসা করি ব্লগ এও একটি আর্টিকেল দিতে পারব তাড়াতাড়ি। এছাড়া আপনি Google ও YouTube এ “How to select/find a good/profitable product for affiliate marketing/promotion” লিখে সার্চ করলে ভালো রিসোর্স পাবেন।
৬। সেলস ফানেলঃ

প্রথমেই বলি সেলস ফানেল কি? সেলস ফানেল মূলত একটি ” ফানেল” জার মাধ্যমে ট্রাফিক কে ঘুরিয়ে আনলে সেলস এর প্রবাবিলিটি বারে। উদাহারন সরূপ বলা জায় – কাস্টমার একটি হস্টিং কিনবে, আপনি যদি তাকে সরাসরি হস্টিং এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দেন তাহলে সেটি ডিরেক্ট মার্কেটিং হচ্ছে, আর আপনি যদি একটি পেইজ বানান যেখানে আপনি সেই হস্টিং এর বেনিফিট গুলো তুলে ধরেছেন, হয়তো কিছু ভিডিও করে দিয়েছেন কিভাবে এই হস্টীং টি ব্যাবহার করতে হয় – সেই ভিডিও গুলো দেখলে, আর ভালো ভাবে জানলে কিন্তু তখন পটেনশিয়াল কাস্টমার এর কেনার উৎসাহ বেড়ে যাবে। এই যে আপনার এই একটি পেইজ অথবা, ভিডিও অথবা আর্টিকেল যাই হক – কাস্টমার কে সেলস পাইজ এ পাঠানর আগেই কেনার জন্য উৎসাহী করে তুলবে এইটাই মূলত সেলস ফানেল। ভালো মানের একটি সেলস ফানেল তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ দিন লাগা টা স্বাভাবিক আর $100 থেকে $300 খরচ হওয়া টাও স্বাভাবিক। আপনার যত ভালো সেলস ফানেল তত বেশি ইনভেস্টমেন্ট এর উপর রিটার্ন পাবেন। তবে অল্প তেও শুরু করা যায় যেমন Fiverr.com থেকে মাত্র $5 দিয়েও আপনি চাইলে একটি Squueze Page বানিয়ে নিতে পারবেন। সেলস ফানেল হিসাবে সবচাইতে ভালো কাজ করে ভিডিও ল্যান্ডিং পেইজ, এর পর হচ্ছে মাইক্রো ব্লগ, এর পর নরমাল ল্যান্ডিং পেইজ। আর ভালো হয় যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট / ব্লগ করতে পারেন আর আপনার ব্লগ এর আর্টিকেল এর সাথে ভিডিও ল্যান্ডিং পেইজ লিঙ্ক করেন। ভালো একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর আপনার একটি সেলস ফানেল তৈরি করা লাগবে। আমার করা ১ নাম্বার ভিডিও টি দেখে আপনি ল্যান্ডিং পেইজ করতে পারবেন। আমি ভিডিও তে একটি ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করে দেখিয়েছি। আপনি যদি নিজে ভালো ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে fiverr.com / oDesk.com / eLance.com / Guru.com থেকে আপনার ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আর Authority Niche Blogging টিউটরিয়াল টি দেখলে ব্লগ এর সাথে কিভাবে ল্যান্ডিং পেইজ লিঙ্ক করে কাজ করবেন শিখতে পারবেন। ADs by Techtunes tAds hostaccent web hosting ৭। Tracking, Split Test, Optimization: সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই আপনার ফানেল টি কেমন কনভার্ট হয় এইটা টেস্ট করা লাগবে। আপনি অল্প কিছু ট্রাফিক কিনে আপনার ল্যান্ডিং পেইজটি আরও ভালো কনভার্ট হওয়ার জন্য Optimize করতে পারেন। ট্রাফিক ট্র্যাক করার জন্য আপনি Google Analytics, Clicky.com অথবা Hypertracker.com ব্যাবহার করতে পারেন, কোন ট্রাফিক থেকে আপনি বেশি Subscriber / Lead পাচ্ছেন এইটা বের করতে পারবেন adtrackzgold.com এই সফটওয়্যার টি ব্যাবহার করে। একই সেলস ফানেল বিভিন্ন ছবি / কন্টেন্ট / ভিডিও দিয়ে স্প্লিট টেস্ট করে দেখতে পারেন কোন হেডার / ভিডিও / কন্টেন্ট এর দ্বারা সবচাইতে বেশি কনভার্ট হচ্ছে। স্প্লিট টেস্ট করার একটি সহজ সফটওয়্যার হচ্ছে adtracksgold.com, টেস্ট এর জন্য ভালো মানের ১০০০ থেকে ২০০০ ক্লিক যথেষ্ট আর এই টেস্ট গুলো করে আপনি সহজেই আপনার সেলস ফানেল কে Optimize করতে পারবেন। ৮। ট্রাফিকঃ টেস্ট করে ভালো একটি সেলস ফানেল পেলে ( ভালো মানে অন্তত ৪০% Subscriber পাওয়া যায় ) এর পর আপনি সেই ফানেল এ ট্রাফিক নিয়ে আসবেন। আমাদের সবার ধারনা ” ট্রাফিক” মানেই সবকিছু – ভুল। ভালো সেলস ফানেল ই সব কিছু, কারন ভালো সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে রিটার্ন আসে, আর খারাপ সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে ক্লিক আসবে কিন্তু সেল আসবে না। কিভাবে ট্রাফিক টানবেন এর উপর কিছু ভিডিও আমি করে দিয়েছি আমার YouTube চ্যানেল এ। এছাড়াও কিছু টিপস দিয়ে দিচ্ছি – ফ্রি ট্রাফিক চাইলে ব্লগ কমেন্ট, রিলেটেড ফোরাম এ একটিভ হওয়া, Yahoo Answer ভালো, তবে বেস্ট হচ্ছে সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং। আর পেইড ট্রাফিক চাইলে ভালো হচ্ছে PPC, আর PPC এর জন্য ভালো কিছু সাইট হচ্ছে – facebook.com, adknowledge.com, adbrite.com, 7search.com, bidvertiser.com, এছাড়াও সিন হায়েস এর এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন “The Top 22 Pay-Per-Click PPC Advertising Network”। এছাড়া আপনি google এ “Top PPC networks” সার্চ করলে আর অনেক পাবেন। এছাড়া Banner Ad (Media Buy) থেকে ভালো মানের ট্রাফিক পাওয়া যায়, মূলত ভালো ব্লগ গুলোতে যোগাযোগ করে সরাসরি এড দেয়া ভালো, কিন্তু চাইলে আপনি Media Buy marketplace ব্যাবহার করতে পারেন। কিছু ভালো Media Buy/Sell Market হচ্ছে – BuySellAds.com, AdEngage.com, ProjectWonderful.com, SiteScout.com, BlogAds.com ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি পেইড ট্রাফিক এর জন্য PPV, CPV, CPVR, SOLO, SWIPE, Mobile Traffic, Agency ইত্যাদি ট্রাফিক মেথড ব্যাবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে একটি ব্লগ করে আপনার ব্লগ এ SEO করতে পারেন, এটি অবশই পেইড ট্রাফিক এর মধ্যেই পরবে কারন ভালো ভাবে SEO করাতে আপনার $500 – $1000 খরচ হবে। আপনি SEO করাতে চাইলে oDesk/eLance থেকে SEO Expert হায়ার করে নিতে পারেন, এরা Google এর প্রথম পেইজ এ আছে মানে নিঃসন্দেহে ভালো SEO সার্ভিস দিতে পারবে। বর্তমান এ মোট ২৮ টি ট্রাফিক মেথড রয়েছে, সব গুলোই ভালো কাজ করে, তবে ভালো মার্কেটার রা অল্প কিছু ট্রাফিক মেথড এ master হয়। আপনি ও তাই করেন, যে কোন ১টি অথবা ২টি মেথড এ কাজ করেন, এবং এটা নিয়েই লেগে থাকেন, আস্তে আস্তে আপনার যত ট্রাফিক দরকার আপনার ওই একটি মেথড ই আপনাকে দিতে পারবে। যেমন আমার সকল ট্রাফিক আসে CPVR থেকে, আর এই একটি মেথড এই আমি সব সময় কাজ করি। আবার অনেকেই শুধু FB PPC তে কাজ করছে, ওই একটি থেকেই তার সব ট্রাফিক আসছে। সুতরাং আপনিও শুরু করার জন্য যে কোন ১টি ট্রাফিক মেথড বেছে নিন – ভালো হয় যে কোন PPC নেটওয়ার্ক এ কাজ শুরু করতে পারলে। ৯। Constant Monitoring & Improving: একজন ভালো মার্কেটার তার প্রতিটি ক্যাম্পেইন এর প্রতিমুহূর্তের প্রতিটি খুঁটিনাটি মনিটর করে। আপনার সবসময় Adtracksgold অথবা একি রকম কোন সফটওয়্যার ব্যাবহার করে চেক করা লাগবে – কোন ট্রাফিক সোর্স এর কোন এড থেকে আপনি বেশি লিড পাচ্ছেন, কোন ল্যান্ডিং পেইজ ভালো কনভার্ট হচ্ছে, কোন প্রোডাক্ট এর কত EPC, আপনার কোন CPC – এই প্রতিটি জিনিশ সবসময় মনিটর করা লাগবে, আর কোন টি খারাপ মনে হলে সাথে সাথে ওই ক্যাম্পেইন বন্ধ করে যেখানে সমস্যা সেটা ঠিক করা লাগবে। কোন সেলস ফানেল এ সারাজীবন কামাই করে না, প্রতিটি সেলস ফানেল এর একটা মেয়াদ থাকে, আপনি ক্যাম্পেইন টা এখন Profitable দেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে গেলে ঘুম থেকে উঠার পর এ যে Profitable থাকবে তা নাও হতে পারে! প্রফিট বাড়ানর একটি ভালো উপায় হচ্ছে লস না দেয়া। এর জন্য পারলে একটি ট্যাব অথবা ভালো মোবাইল কিনে নিবেন যেখানে আপনার দরকারি সব App যেমন “GetResponse”, “Google Analytics” ইত্যাদি ইন্সটল করে নিবেন, এর সাথে সব কাজের ওয়েবসাইট গুলো বুকমার্ক করে রাখবেন হোমস্ক্রীন এ, যেন যে কোন সময় ক্যাম্পেইন এর কি অবস্থা এক নযর এই বুঝা যায়। আপনি এভাবে শুরু করতে পারবেন, তবে প্রফিট করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা দরকার হবে, আর সেটা পাবেন অন্তত ৩-৪ মাস কাজ করার পর। এ পোস্টটি ১ম প্রকাশ করা হয়েছে, আমার ব্লগে: http://affiliatemarketersbd.com
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 110
Blog Title: কোথাও আগুন লাগলে আপনি কি করবেন?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Fire, Safety & Protection
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ধরুন আপনার বাসাবাড়ি, অফিস, বা কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ আগুন লেগে গেলো। সেক্ষেত্রে উপস্থিত মুহুর্তে আপনার কি করণীয় থাকতে পারে? কখনো এই ব্যাপারে ভেবেছেন কি? আসুন এক নজরে জেনে নেই উপস্থিত মুহুর্তে আপনার ঠিক কি করা উচিৎ। কোথাও আগুন লেগে গেলে আপনার করণীয় কি সর্ম্পকে নিচে আলোচনা করা হলো ।

আগুন ছোট থাকতেই অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে তা নিভিয়ে ফেলুন। আগুন যদি বৈদ্যুতিক বা রাসায়নিক দ্রব্য থেকে না লেগে থাকে তাহলে আপনি সেটা নেভানোর জন্য পানি ব্যবহার করতে পারেন। যে আগুন আপনার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে তা নেভানোর চেষ্টা করবেন না। আগুন বৃদ্ধি পেয়ে যদি এমন অবস্থায় পৌছায় যে সেটা আর সহজে নেভানো যাবে না, তাহলে দ্রুত ভবন ত্যাগ করুন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বের হওয়ার সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যতদ্রুত সম্ভব ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিন । জরুরি ফোন নম্বর ৯৫৫৫৫৫৫ । যদি আপনার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যায়, তাহলে দৌড়বেন না । এতে আগুন আরো তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তার বদলে থামুন, শুয়ে পড়ুন এবং গড়াতে থাকুন। অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাটিতে শুয়ে পড়ুন, দুই হাত দিয়ে আপনার মুখ ঢেকে সামনে পেছনে গড়াগড়ি করতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত আগুন নিভে না যায় । যদি আপনার ভবন ধোয়ায় ভরে যায়, তাহলে বের হবার সময় নাকে মুখে একটা কাপড় চেপে ধরুন এবং যতটা সম্ভব নিচু হয়ে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসুন। ধোয়ার মধ্যে নিশ্বাস নেয়া খুবই বিপদজনক। এতে আপনার শ্বাসনালী পুড়ে যেতে পারে। যদি ভবনের মধ্যে ধোঁয়া বাড়তে থাকে তাহলে হাত ও পায়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি দেখেন দরজা গরম, দরজার নিচ দিয়ে বা ফাঁকা যায়গা দিয়ে ধোঁয়া আসছে এবং দরজার হাতলও গরম তাহলে দরজা খুলবেন না । তারমানে বুঝতে হবে আগুন কাছে চলে এসেছে। যদি দেখেন দরজার হাতল ঠাণ্ডা, দরজার ফাঁক দিয়ে ধোঁয়া আসছে না তাহলে ধীরে ধীরে ও সাবধানতার সাথে দরজা খুলুন এবং তাড়াতাড়ি ভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েন তাহলে ডাস্ট টেপ, ভেজা তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে দরজা ও তার আশেপাশের সব ফাঁকা জায়গা ও বাতাস চলচলের পথ বন্ধ করে দিন । জরুরি নম্বরে ফোন করুন এবং আপনার অবস্থান জানান। জানালার বাহিরে উজ্জ্বল রঙের কাপড় যে কোন কাপড় ঝুলিয়ে দিন এবং নাড়াচাড়া করতে থাকুন যেনো অগ্নি নির্বাপন কর্মীরা বুঝতে পারেন আপনি ভিতরে আছেন। আগুন যদি আপনার রান্না ঘরের তেল বা গ্রিজ থেকে সৃষ্টি হয়, তাহলে তার উপর বেকিং সোডা বা লবণ ঢেলে দেবার চেষ্টা করুন। এটা যদি রান্না করার পাত্রে সূত্রপাত হয় তাহলে তা ঢাকনা দিয়ে দ্রুত ঢেকে দিন। জ্বলতে থাকা কড়াইয়ে পানি ঢালবে না বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করবেন না ।
Blog Source Link: Plz, click here to show

Home Page