Home Page

Selltoearn.com Latest Blog
Blog Id: 109
Blog Title: গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে স্কেচিং কেন দরকার?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Design/Creative
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: পেন্সিল স্কেচ বা ড্রয়িং শিখুন নিজে নিজেই তাও আবার ফ্রি টিউটোরিয়ালে (আপডেট-২০১৬) প্রিয়তে যুক্ত করুন? Share

Added by হাসান যোবায়ের on 19 April, 2017 পেন্সিল স্কেচ বা ড্রয়িং শিখুন নিজে নিজেই তাও আবার ফ্রি টিউটোরিয়ালে (আপডেট-২০১৬)

পেন্সিল স্কেচ বা ড্রয়িং জানা কতটা দরকার তা প্রতিটি অভিজ্ঞ ডিজাইনার হাড়ে হাড়ে টের পান। অনেকেই ড্রয়িং পারেন না বলে হতাশ হয়ে যান। আসলে ড্রয়িং বা স্কেচিং শেখা খুব বেশি কঠিন নয়। শিখতে হবে সবার প্রথমে যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে প্রচুর ধৈর্য্য এবং সময়। অর্থাৎ কেউ যদি সময় নিয়ে চেষ্টা করে যায় তাহলে খুব অল্প দিনেই স্কেচিং শেখা সম্ভব। আর যারা আগে থেকেই পারেন তাদেরতো কথাই নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে স্কেচিং কেন দরকার?

খুব সহজ। Drawspace নামের এই ওয়েব সাইটে শুরু থেকে অর্থাৎ যে আগে কখনো ড্রয়িং করেনি সেও যেন শিখতে পারে সেইভাবে সুন্দরভাবে টিউটোরিয়ালগুলো সাজানো রয়েছে। ফ্রি যে টিউটোরিয়ালগুলো রয়েছে ড্রয়িং শেখার জন্য যথেষ্ট। তবে আমি এখানে প্রিমিয়াম টিউটোরিয়ালগুলোও শেয়ার করছি। আপনারা যদি সঠিকভাবে শিখতে পারেন তাহলে সেটাই হবে আমার সার্থকতা। টিউটোরিয়ালগুলো সব PDF ফাইলে ডাউনলোড করে ইচ্ছে করলে সেগুলো প্রিন্টও করা যাবে।

শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনারই নয় সকল ডিজাইন ক্ষেত্রেই পেন্সিল স্কেচের প্রয়োজন হয়। যেমন ধরা যাক একজন ওয়েব ডিজাইনার যদি লে আউট প্রথমে খাতায় পেন্সিল দিয়ে মাইন্ড ম্যাপিং করে তাহলে অবশ্যই ভাল আউপুট বের হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেতো কথাই নেই। লোগো ডিজাইন করার আগে খাতায় যদি অনেকগুলো লোগো আঁকা হয় তাহলে ফাইনাল লোগো সিলেক্ট করাও অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া অ্যানিমেশন ডিজাইনের জন্য ড্রয়িং অবশ্যই দরকার। সব মিলিয়ে স্কেচিং এর বিকল্প নেই। ইংলিশে সব টিউটোরিয়াল লিখা হলেও শুধুমাত্র ছবি দেখেই যে কেউ ধাপে ধাপে ড্রয়িংগুলো করতে পারবে। সব টেক্সট পড়া লাগবেও না। যখন কিছু আর্ট করে ফেলবেন তখন নিজেই দেখবেন অনেক ভাল লাগছে এবং আরো আর্ট করতে ইচ্ছে করবে।

তাহলে আর দেরি কেন। প্রথমেই এই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন এবং এখানে গিয়ে প্রথম থেকে সকল টিউটোরিয়াল অনুসরণ করুন। সব টিউটোরিয়াল যদি শেষ করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত আপনি ড্রয়িং করা জীবনে ভুলবেন না। তবে অনুশীলনের বিকল্প নেই। প্রতিনিয়ত চর্চা করুন এবং জীবন্ত আর্ট করুন।

3D আর্টিস্ট হিসেবেও যদি ক্যারিয়ার গঠন করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রেও আর্ট জানাটা এক্সট্রা সুবিধা দিয়ে থাকবে। বর্তমানে 3D ক্যারেকটার মডেলিং এর জন্য zbrush 3d সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয়। মজার বিষয় হচ্ছে এই সফটওয়্যার অনেকটাই আর্টিস্টদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি!।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 108
Blog Title: কিভাবে সুস্থ থাকা যায় ?
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Beauty Care/Lifestyle & Fitness
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: আপনি দৈনিক শতবার বলুল আমি সুস্থ,আমি সু্স্থ,তাহলে মন বা ব্রেইন আপনাকে সুস্থতার পথেই নিয়ে যাবে। একেবারে ফিট থাকতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সুস্থ শরীর তার সঙ্গে শান্তিময় জীবন লাভ করতে কে না চায়। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আড়ালে জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যায়। থাকে না শান্তি, থাকে না স্ব্বস্তি। সুস্থ থাকার কিছু সূত্র আছে। সেগুলো কী তা জেনে নিই। —প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি. হাঁটুন। এরপর গোসল করে প্রার্থনা করুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে। —সব সময় সোজা হয়ে বসুন। —যখনই খাবার খাবেন তখন ভালো করে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করুন। এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে। —মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার খুব কম খান। —সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন উপোস করে শরীরে খাবারের সমতা বজায় রাখুন। —গাড়ি থাকলেও খুব বেশি গাড়ি চালাবেন না। বেশিরভাগ সময় হেঁটেই কাজ সারুন। এতে পায়ের মাংসপেশীর ব্যায়াম হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন। —বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান। —ঘরের সব কাজ নিজে করারই চেষ্টা করুন। —ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন—দুয়ের পক্ষে ভালো। তাই কাজে যতটা সম্ভব ব্যস্ত থাকুন। —আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব অনুয়ায়ী পোশাক পরিধান করুন। —শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন। —গরমের দিন রাতে শোয়ার আগে গোসল করুন, এতে ঘুম ভালো হবে। —রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। সে কারণে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো উচিত। —চুলের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। কারণ চুল হলো সৌন্দর্যের অঙ্গ। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন হার্বাল শ্যাম্প দিয়ে মাথা ধৌত করুন। —প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। এতে মানসিক শান্তি পাবেন। তার ওপর মনের জোরও বাড়বে। —ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন। —কথার উপরে সংযম রাখুন। আপনার কথায় কেউ যেন মানসিক দুঃখ না পায়। সেটা মাথায় রেখে কথা বলুন। —রাতে শোয়ার সময় মনে কোনো চিন্তা রাখবেন না। সুস্ব্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি। —পেশাগত কোনো সমস্যা থাকলে সে সমস্যাকে না জিইয়ে রেখে তা মেটানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মনের সুস্থতা পেতে সুস্থ্য বিনোদন আর প্রার্থনার বিকপ্ল নেই। পজিটিভ চিন্তা করুন। বই পড়ুন। নিজের কাছে সৎ থাকুন দেখবেন আপনি অনেক
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 107
Blog Title: অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিক্স (Metaphysics)
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিক্স (Metaphysics) হল দর্শনের একটি শাখা যাতে বিশ্বের অস্তিত্ব, আমাদের অস্তিত্ব, সত্যের ধারণা, বস্তুর গুণাবলী, সময়, স্থান, সম্ভাবনা ইত্যাদির দার্শনিক আলোচনা করা হয়।[১] [২]এই ধারার জনক অ্যারিস্টটল। মেটাফিজিক্স শব্দটি গ্রিক ‘মেটা’(μετά) এবং ‘ফিজিকা’(φυσικά) থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[৩] অধিবিদ্যায় দুটি মূল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়[৪]– সর্বশেষ পরিণাম কি ? কিসের মত ? মেটাফিজিক্স এর একটি মূল শাখা হল. সৃষ্টিতত্ত্ব (cosmology) এবং অন্য একটি শাখা হল- তত্ত্ববিদ্যা (ontology) ।

জ্ঞানতত্ত্ব (ইংরেজি: Epistemology; (শুনুনi/ᵻˌpɪstᵻˈmɒlədʒi/ টেমপ্লেট:Ety) জ্ঞানের[১][২] প্রকৃতি ও পরিধি সংশ্লিষ্ট দর্শনের শাখা। জ্ঞানতাত্ত্বিক অভিযাত্রা মূলত ‘জ্ঞান কি’ এবং ‘কিভাবে এটি অর্জিত হতে পারে’- এ-প্রশ্নগুলো নিয়েই। যেকোনো বিষয় বা সত্তা সম্পর্কে কী মাত্রায় জ্ঞান অর্জন করা যায়- এটা নিয়েও আলোচনা চলে। জ্ঞানের স্বরূপ বা প্রকৃতির দার্শনিক বিশ্লেষণ এবং এটি (জ্ঞানের স্বরূপ) কিভাবে সত্য, বিশ্বাস ও যাচাইকরণ ধারণার সাথে সম্পর্কিত- বেশিরভাগ বিতর্ক এটাকে কেন্দ্র করেই। গ্রিক "epistēmē" ও "logos" শব্দদ্বয়ের সংসক্তিতেই Epistemology শব্দটির উদ্ভব আর এই শব্দেরই বাংলা রূপ, জ্ঞানতত্ত্ব। স্কতিশ দার্শনিক জেমস ফেদারিক ফেরিয়ারের (James Frederick Ferrier) মাধ্যমে Epistemology শব্দটি আলোচনায় এসেছে।

Epistemology শব্দটি জার্মান ধারণা ভাইজেনসাফটসলেহার (Wissenschaftslehre) ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়েছে। হুসার্লের (Husserl) আগে এটি ফিকটে (Fichte) ও বোলযার (Bolzano) ব্যবহার করেছেন। [৩] জে. এফ. ফেরিয়ার দর্শনের ‘তত্ত্ববিদ্যা’ শাখার মডেল তৈরি ও জ্ঞানের অর্থ আবিষ্কার করার সময় শব্দটি ব্যবহার করেন। শব্দটি épistémologie (এর ইংরেজি রূপ, 'theory of knowledge) নামে ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, যেটা মূলের চেয়ে অনেকটা সংকীর্ণতর অর্থবাহী। এমিলি মেয়ারসন(Émile Meyerson) তার ‘Identity and Reality’ (১৯০৮) বইয়ে মন্তব্যসহকারে এভাবে বয়ান করেছেন। জ্ঞান জ্ঞান কি, জ্ঞান কিভাবে এবং পরিচয়ের মাধ্যমে জ্ঞান

সাধারণত জ্ঞানতত্ত্ব বা জ্ঞানবিদ্যায় জ্ঞানের যে ধরন সচরাচর আলোচনা করা হয় তা বাচনিক জ্ঞান(propositional knowledge), যে ‘জ্ঞান যা’ (knowledge that) হিসেবেও পরিচিত। এটা ‘জ্ঞান কিভাবে’ (knowledge how) ও ‘পরিচয়-জ্ঞান’ (acquaintance-knowledge)এর চেয়ে পৃথক। কিছু দার্শনিক ভাবেন যে, জ্ঞানতত্ত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট ‘জ্ঞান যা’, ‘জ্ঞান কিভাবে’ ও ‘পরিচয়-জ্ঞান’এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। বার্ট্রান্ড রাসেল তার পেপার On Denoting ও পরের বই Problems of Philosophy-এ "knowledge by description" ও "knowledge by acquaintance" এর মধ্যকার পার্থক্যে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন। গিলবার্ত রাইলও The Concept of Mind বইয়ে উদ্বিগ্নতার সাথে knowing how ও knowing that –এর মধ্যকার পার্থক্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। মিখাইল পোলানঈ (Michael Polanyi) তার Personal Knowledge বইয়ে knowing how ও knowing that-এর জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রাসঙ্গিকতার পক্ষে যুক্তি পেশ করেছেন। বাইসাইকেল চালনার সময়ে ভারসাম্য রক্ষার উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রস্তাব রাখেন যে, ভারসাম্য রক্ষা করা সম্পর্কে পদার্থবিদ্যার তাত্ত্বিক জ্ঞান কিভাবে তা চালানো যায় তার বাস্তব জ্ঞানের পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। কিভাবে উভয়কে প্রতিষ্ঠিত ও ভিত্তিশীল করা যায়, তাও তিনি প্রস্তাব করেন। এ-অবস্থায় রাইল যুক্তি দেন যে, knowledge that ও knowledge how-এর পার্থক্য স্বীকার করার অসামর্থ্যই অসীম পূর্বগতিকে (infinite regress) প্রণোদিত করে।

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু জ্ঞানতাত্ত্বিক, যেমন- সোসা (Sosa), গ্রেকো (Greco), ভানভিগ (Kvanvig), জাগজেবস্কি (Zagzebski) ও ডান্কান প্রিটচার্ড (Duncan Pritchard) যুক্তি দেন যে, জ্ঞানতত্ত্ব কেবল প্রস্তাবনা বা প্রস্তাবিত-মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়-আশয় নয়, জনগণের ‌‘বিষয়-আশয়’ (properties), বিশেষ করে বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যের (intellectual virtues) মূল্যায়ন করবে। বিশ্বাস

বিশ্বাস করা মানে সত্য হিসেবে গ্রহণ করা । বিশ্বাস বলতে সাধারণত যেকোনো বুদ্ধিগম্য বিষয়কে সত্য হিসেবে গ্রহণকে বোঝায় । সাধারণ কথায় , বিশ্বাসের বিবৃতি (statement of belief) হলো বৈশিষ্ট্যগতভাবে কোনো সত্ত্বার অন্য কোনো শক্তি বা অন্য কোনো সত্ত্বার প্রতি ভক্তি বা আস্থার একটি প্রকাশ । যেখানে এটি এ জাতীয় বিশ্বাসকে নির্দেশ করে , সেখানে জ্ঞানবিদ্যা বা জ্ঞানতত্ত্ব কেবল এ-অর্থে নয় , ব্যাপক অর্থে শব্দটি গ্রহণ করে ।[৪] সত্য

যদি কারো বিশ্বাস সত্য হয়, তবে তার বিশ্বাসের পক্ষে এটি যথেষ্ট নয়। অন্য কথায়, যদি কোনোকিছু প্রকৃতভাবে জানা যায়, তবে তা নিশ্চিতভাবে মিথ্যা হতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ, যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, একটি ব্রিজ তার পারাপারের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ, কিন্তু এটি অতিক্রম করার সময় দেখা যায়-এটি ভেঙে পড়লো, তখন এটা বলা যায় যে, ব্রিজটির নিরাপদ থাকার যে ‘বিশ্বাস’ তার ছিল তা ভুল ছিল। এ-বিশ্বাসকে ‘সঠিক’ বলা যাবে না এই জন্যে যে, ব্রিজটির নিরাপদ থাকার যে-ব্যাপারটি সে ‘জেনেছিল’, তা স্পষ্টভাবে ছিল না। ভিন্নভাবে বললে, যদি ব্রিজটি সঠিকভাবে তার ওজনকে সমর্থন করতো, তবে সে বলতে পারতো- সে বিশ্বাস করেছিলো যে ব্রিজটি নিরাপদ ছিল এবং এখন এটি প্রমাণ করার পর (অতিক্রম করার পর) সে ‘জানে’ ব্রিজটি নিরাপদ।

জ্ঞানতাত্ত্বিক বা জ্ঞানবিদ্যকরা বিশ্বাসকে সঠিক সত্যের বাহক (truth-bearer) বলেও যুক্তি দিয়েছেন। জ্ঞানকে কেউ কেউ খানিকটা যাচাইকৃত সত্য বিবৃতির পদ্ধতি, আবার কেউ কেউ যাচাইকৃত সত্য বাক্যের পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করতেন। প্লাতো তার গর্জিয়াসে (Gorgias) যুক্তি দেন যে, বিশ্বাস হচ্ছে অতি সাধারণভাবে প্রলুব্ধকারী সত্য-বাহক। যাচাইকরণ

প্লাতোর অনেক ডায়ালগে, যেমন মেনো (Meno) এবং বিশেষ করে থিয়েটেটাস (Theaetetus)-এ, সক্রাতেস ‘জ্ঞান কি’ সংক্রান্ত কিছু মত বিবেচনা করেছেন, এবং শেষে এসে বলেছেন, জ্ঞান হচ্ছে সত্য বিশ্বাস যা কিছু উপায়ে পরীক্ষিত অথবা স্থিরিকৃত অর্থের (meaning) একটা হিসাব (given an account of)। জ্ঞান হচ্ছে যাচাইকৃত সত্য বিশ্বাস (justified true belief) - এই তত্ত্ব অনুসারে, প্রদত্ত বচন (proposition) সত্য, কিন্তু এই প্রাসঙ্গিক সত্য বচনকে কেবল বিশ্বাস করা হবে না, একে বিশ্বাস করার মতো ভালো যুক্তিও থাকতে হবে। এর একটি নিহিতার্থ এই যে, কোনো ব্যক্তি যেটা সত্য হিসেবে ঘটবে তা বিশ্বাস করা দ্বারা কেবল জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ, একজন রোগা লোক, যার কোন ডাক্তারি প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু সাধারণভাবে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আছে, বিশ্বাস করতে পারে যে, সে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। তার এই বিশ্বাস যদি সত্যে পরিণত হয়, তবু বলা যাবে না- রোগী নিশ্চিত করে ‘জানতো’ সে সুস্থ হবে। কেননা এটি ছিলো রোগীর যাচাইশূন্য বিশ্বাস (belief lacked justification)।

‘যাচাইকৃত সত্য বিশ্বাস’- জ্ঞানের এই সংজ্ঞা ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে গৃহীত ছিল না। এই সময়ে, মার্কিন দার্শনিক এডমুন্ড গেটিয়ারের একটি থিসিস পেপার জ্ঞানবিদ্যক এ-বিষয়কে ব্যাপক আলোচনার সম্মুখীন করেন।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 106
Blog Title: পৃথিবীর ইতিহাস
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: International
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: মানব সভ্যতার ইতিহাসের জন্য, দেখুন বিশ্বের ইতিহাস। পৃথিবীতে প্রাণের ইতিহাসের জন্য, দেখুন প্রাণের বিবর্তনীয় ইতিহাস। বিভিন্ন অধিযুগের আনুপাতিক প্রদর্শনের মাধ্যমে উপস্থাপিত পৃথিবীর ইতিহাসের চক্রাকার রেখাচিত্র পৃথিবীর ইতিহাস বলতে পৃথিবী গ্রহটির উৎপত্তি থেকে আরম্ভ করে বর্তমান পর্যন্ত সমগ্র সময়কালকে বোঝায়। পৃথিবীর অতীতের মূল ঘটনাগুলোর সম্পর্কে বুঝতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সমস্ত শাখাই মানুষকে সাহায্য করেছে। পৃথিবীর বয়স হল মহাবিশ্বের বয়সের কমবেশি এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সময়ের মধ্যে অজস্র ভূতত্ত্বীয় পরিবর্তন ঘটে গেছে, জীবনের উদ্ভব হয়েছে এবং সেই জীবনে এসেছে বিবর্তন।

সৃষ্টির শুরু

ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ

“থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ। গলিত লাভার সমুদ্র

থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর। প্রথম মহাদেশ

এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ। প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস

মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”। নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর

প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে। মহা-মহাদেশ

মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো। ভয়ংকর শীতকাল

৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ। প্রাণের বিস্ফোরণ

৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়। প্রাণীজগতের বিলুপ্তি

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের। বরফ যুগ

পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ। প্লাস্টিক যুগ?

বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে।

লৌহ যুগ? আদিম যুগ? আধুনিক যুগ
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 105
Blog Title: জমি খারিজ করার নিয়ম
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Law/Legal
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: জমি বা ভূমি ক্রয়ের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খারিজ বা নামজারি করা। নামজারি বলতে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করাকে বুঝায়। অর্থাৎ কোনো কারণে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করানোকে মিউটেশন বা নামজারি বলে। নানা কারণে মালিকানা বদল হতে পারে। উত্তরাধিকার, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে মালিকানা বদল হয়। কিন্তু মিউটেশন না করানো হলে মালিকানা পূর্ণ দাবি করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। আপনি যদি নিজেই জানেন কিভাবে নামজারি জন্য আবেদন করতে হয় এবং কি পরিমাণ খরচ লাগতে পারে তবে হয়রানি কমে যাবে ৮০ শতাংশ। নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, একটি পূর্ণাঙ্গ নামজারি আবেদনের জন্য আপনার নিচের কাগজপত্রগুলো থাকতে হবে: # মূল আবেদন ফরম (এটি বাধ্যতামূলক)। # এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্যও প্রযোজ্য) (বাধ্যতামূলক)। # সর্বশেষ খতিয়ান (যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন তার খতিয়ান) (এটি বাধ্যতামূলক) # ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি (বাধ্যতামূলক)। # ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা লাভ করলে অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা মূল ওয়ারিশান সনদ (ম্যাজিস্ট্রেট/প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সংসদ সদস্যের মতো জনপ্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত সাকশেসন সার্টিফিকেট) প্রদান করতে হবে। [শুধুমাত্র ওয়ারিশদের জন্য বাধ্যতামূলক]। # রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ (বি) ধারা মোতাবেক কোনো রেকর্ডিয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশরা নিজেদের মধ্যে একটি বণ্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন। উক্ত রেজিস্টার্ড বণ্টননামাসহ নামজারির জন্য আবেদন জানাবেন। # জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জাতীয়তা সনদ (ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক ইস্যু করা) (বাধ্যতামূলক)। # ক্রয়সূত্রে মালিক হলে দলিলের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (ক্রয়সূত্রে মালিক হলে বাধ্যতামূলক)। # বায়া/পিট দলিলের ফটোকপি (একাধিকবার উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে সর্বশেষ যার নামে খতিয়ান হয়েছে তার পর থেকে সকল দলিলের কপি প্রয়োজন হবে, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক)। # চলতি বঙ্গাব্দ (বাংলা সনের) ধার্য করা ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) বা খাজনার রশিদ (বাধ্যতামূলক)। # আদালতের রায়ের ডিক্রির মাধ্যমে জমির মালিকানা লাভ করলে উক্ত রায়ের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)। নামজারি আবেদনের প্রক্রিয়া: ১। আবেদন ফরমের সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করবেন। বিএস খতিয়ান নম্বর বা বিএস দাগ নম্বর জানা না থাকলে আপনার সঙ্গে যে খতিয়ানের ওপরে লেখা আছে তা দেখে পূরণ করুন। আবেদন পূরণ হয়ে গেলে নিচে আপনার স্বাক্ষর এবং অবশ্যই আবেদনকারীর প্রকৃত মোবাইল নম্বর (যেখানে পরবর্তীতে আপনার মেসেজ যাবে) তা উল্লেখ করুন। এবার আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবিটি আবেদনপত্রের ওপর সংযুক্ত করুন এবং অন্য সকল কাগজপত্র একত্রে সংযুক্ত করে হেল্পডেস্ক বা সেবাকেন্দ্রে জমা দিন। সেখানে আপনাকে একটি রসিদ দেওয়া হবে এবং পরবর্তী তারিখগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। ২. ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভূসক)-এর কাছে আপনার আবেদন পাঠানোর ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন এসি ল্যান্ড অফিসে দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করবেন। এর মধ্যে আপনি/আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আপনার আবেদনে যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছিলেন, তার মূলকপি ভূসকের কাছে প্রদর্শনের জন্য এবং বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য যেতে হবে। ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া থাকলে বর্তমানে কোনো নামজারি করা হয় না। ৩. ভূসক (তহশিলদার) আপনার সকল কাগজপত্র যাচাইয়ের পর তিনি একটি প্রতিবেদনসহ এসি ল্যান্ড অফিসে পাঠাবেন। এ পর্যায়ে SMS-এর মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে কখন আপনার আবেদন এসি ল্যান্ড অফিসে পৌঁছেছে। এ পর্যায়ে আপনাকে আবেদন প্রাথমিকভাবে যথার্থ পাওয়া গেলে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে নিয়ে শুনানির জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শুনানির দিন কোনো আপত্তি না পাওয়া গেলে সর্বশেষে তা এসি ল্যান্ডের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। ভূসকের কাছ থেকে এসি ল্যান্ড অফিসে নামজারির নথি আসার পর সর্বোচ্চ ২০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার আবেদন অনুমোদন (যথার্থ থাকলে)/খারিজ (যৌক্তিক কারণে) হবে যা আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে জানানো হবে। ৪. আপনার নামজারির আবেদন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর খতিয়ান প্রস্তুতের জন্য দুদিন সময় লাগে। কারণ এ পর্যায়ে রেকর্ড হতে অনুমোদিত হিসাব অনুযায়ী জমি কর্তন করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত খতিয়ান স্বাক্ষর করার জন্য উপস্থাপন করা হয়। এই পর্যায়ে আপনাকে এসি ল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ) বা সহজ কথায় নামজারি ফি বাবদ ২৪৫ টাকা পরিশোধ করে খতিয়ান সংগ্রহ করতে হবে। নামজারি সম্পন্নের সময়সীমা: বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং মহানগরের বাহিরের এলাকাগুলোতে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 104
Blog Title: বাংলাদেশের রাজনীতি
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Capital
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ঢাকা (উচ্চারণ: [ɖʱaka]) বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহর। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ।[৪] এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম[৫] এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরটি ’মসজিদের শহর ’ নামেও পরিচিত।[৬] এখানে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। এছাড়া ঢাকা ’বিশ্বের রিকশা রাজধানী ’ নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে।[৭] বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।[৮] সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরানো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর। বাংলাদেশের সংবিধানের ৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী[৯] ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। আধুনিক ঢাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান কেন্দ্র।[১০] এটা প্রশংসিত জাতীয় দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন জাতীয় সংসদ ভবন,ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় শহীদ মিনার, লালবাগের কেল্লা , আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ[১১] ইত্যাদির মূলস্থান। এই শহরের নগরাঞ্চলীয় অবকাঠামোটি বিশ্বে সর্বোন্নত হলেও দূষণ, যানজট এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যথেষ্ট পরিষেবার অভাব ইত্যাদি শহুরে সমস্যাগুলি এখানে প্রকট। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ঢাকার পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণপূর্ত ব্যবস্থায় যে আধুনিকীকরণ হয়েছে, তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বর্তমানে এই শহর প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ টানতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকায় আসেন জীবন ও জীবিকার সন্ধানে। এ কারণে ঢাকা হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান নগরী, এই লক্ষ বাস্তবায়নে মালয়েশিয়া, জাপান, চীন সহ বিভিন্ন দেশ অর্থ সহযোগীতা ও বিনিয়োগ করছে।[১২][১৩]
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 103
Blog Title: বাংলাদেশের রাজনীতি
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Political
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: বাংলাদেশের রাজনীতি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দেশটির জন্মের ইতিহাস, বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং মানুষের রাজনীতিমনস্কতা কেন্দ্র করে আবর্তিত। ১৯৭১ এ অস্থায়ী সরকার গঠন এবং অস্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা কমপক্ষে পাঁচবার পরিবর্তিত হয়েছ। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির। এই পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সরকারের প্রধান ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। বহুদলীয় গণতন্ত্র পদ্ধতিতে এখানে জনগণের সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। নির্বাহী (executive) ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়ন করা হয় জাতীয় সংসদে। বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রণীত হয়, এবং এখন পর্যন্ত এতে ১৬ টি সংশোধনী যোগ করা হয়েছে।[১][২] বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সেনা শাসন এবং সেনা প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইসলামী শক্তি এবং জঙ্গীবাদী শক্তীর উত্থানো কখনো কখনো বাংলাদেশের রাজনীতিকে প্রভাবান্বিত করেছে। রাজনীতির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং জনকল্যাণ। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার রাজনীতিতে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন। তারা সকল রূপ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশে বহুসংখ্যক রাজনৈতিক দল রয়েছে যার মধ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি। বিএনপি দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপন করেছে, অপরদিকে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে বামপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ দলসমূহের সঙ্গে সমান্তরালভাবে সংযুক্ত রয়েছে। এরপর, তৃতীয় শক্তিটি হলো জাতীয় পার্টি যা এরশাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ বর্তমানে তিক্ত আকার ধারণ করেছে এবং প্রতিনিয়ত আন্দোলন, সহিংসতা এবং হত্যাকাণ্ডের জন্ম দিয়ে চলেছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে ছাত্র রাজনীতিও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী উত্তরাধিকার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। প্রায় সকল দলেরই অত্যন্ত সক্রিয় নিজস্ব ছাত্র সংগঠনের শাখা রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদেরকেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিপরায়ণ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ বেশ হতাশ।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 102
Blog Title: গ্রিক পুরাণে বর্ণিত পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য: মানুষের আগমন
Contact No.: 01727442293
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Religion & Morality
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: আগের পর্ব থেকে আমরা জেনেছি যে, কীভাবে টাইটানদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অলিম্পিয়ানরা মর্ত্য এবং স্বর্গের অধিপতি হয়ে গেলেন। কিন্তু তার মানে নয় যে, জিউসের জন্য প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে। জিউসকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জায়ান্টগণ, যারা ক্রনাসের রক্ত থেকে জন্ম নিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। কিন্তু জিউস ততদিনে দেবরাজ। সামান্য জায়ান্টরা তার কিছুই করতে পারলো না। জায়ান্টদের সাথে লড়াইয়ে জিউসকে সাহায্য করেছিলেন তার পুত্র হারকিউলিস বা হেরাক্লিস। টাইফোনের জন্ম

টাইফোন ছিলেন গায়ার সর্বশেষ, সবচেয়ে ভয়ংকর ও ধ্বংসপ্রিয় পুত্র। তবে অনেক ঐতিহাসিক টাইফোনকে শুধু হেরার পুত্রও বলে থাকেন। টাইফোনের পিতা ছিল টারটারাস। বলা হয়, এত ধ্বংসলীলা দেখে এবং নিজের সন্তান জায়েন্টদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই গায়া-টারটারাস টাইফোনের জন্ম দেন। হেসিওড টাইফোনের অবয়ব ব্যাখ্যা করেন এভাবে-

এক জ্বলন্ত দানব যার রয়েছে একশত মাথা,
যে ক্ষেপে উঠলো সকল দেবতার বিরুদ্ধে।
তার বিকট চোয়াল থেকে বেরিয়ে আসতো মৃত্যু-ঘণ্টা,
তার চোখ থেকে নির্গত হতো চোখ-ধাঁধানো আগুন।

যেমনটি অন্য সব টাইটান এবং দানবরা করতে চেয়েছে, তেমনি টাইফোনও চেয়ে বসলেন জিউসের আসন। টাইফোন ও জিউসের মধ্যে সংঘটিত হলো এক ভয়ংকর যুদ্ধ। জিউসের নিয়ন্ত্রণে ছিল আলোকসম্পাত ও বজ্রপাতের শক্তি। তিনি একের পর এক বজ্র নিক্ষেপ করে টাইফোনকে মাটির একেবারে গভীরে পাঠিয়ে দিলেন, যেখান থেকে নির্গত হতে থাকলো অগ্নি। এভাবেই টাইফোন পরিণত হলো সিসিলির বিখ্যাত মাউন্ট এটনার আগ্নেয়গিরিতে। পরাজিত টাইটানদেরও দেবরাজ ছেড়ে দেননি। প্রত্যেককে টারটারাসে বন্দী করে রাখলেন এবং হেকটানকিরসদের রাখলেন পাহারায়। প্রমিথিউসের ভাই অ্যাটলাস, যিনি টাইটানদের প্রতিনিধি ছিলেন, তাকে দিলেন সর্বোচ্চ শাস্তি। রাত ও দিনের মিলনে যাতে টাইফোন বা অন্য কোনো সন্তান জন্ম নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করলেন জিউস।

তিনি অ্যাটলাসকে বললেন, সমস্ত পৃথিবীর ভার বহন করতে। পৃথিবীর যে স্থানে রাত ও দিনের রেখা ম্লান হয়ে যায় সেখানে অ্যাটলাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তার পিঠে থাকবে স্বর্গের খিলানগুলোর ভার। তিনি আজীবন স্বর্গ আর মর্ত্যকে একে অপর থেকে দূরে রাখবেন। কিমেরিয়ান ও হাইপারবোরিয়ান

যখন সকল দানব, টাইটান এবং টাইফোনও ধ্বংস হয়ে গেলেন, তখন ধরিত্রী মাতা তৈরি হলেন কিছু মানুষ জন্ম দেওয়ার জন্য। গ্রিকরা পৃথিবীকে একটি গোলাকার চাকতির মতো ভাবতো, যার মাঝ বরাবর চলে গেছে একটি সাগর (ভূমধ্যসাগর)। পূর্বেই উল্লেখ করেছি, পৃথিবীর চারদিকে সদা বহমান ছিল এক সমুদ্র, যেটি ছিল শান্ত। এতে ছিল না কোনো বায়ুপ্রবাহ বা স্রোত।

সেই সমুদ্রকে ঘিরে ধীরে ধীরে জনপদ গড়ে ওঠে। সেই জনপদের প্রায় সকলেই ছিলেন দেবতাদের প্রিয় এবং তাদের জীবনে ছিল না কোনো দুঃখ, জরা, মৃত্যু। তারা সারাক্ষণ মেতে থাকতেন আমোদ-আহ্লাদে (হাইপারবোনিয়ান ও পরে ইথিয়পিয়ানরা)। শুধু দুর্ভাগা ছিলেন কিমেরিয়ানগণ। তারা সমুদ্রের এমন উপকূলে বাস করতেন যেখানে কোনোদিন দিবালোক দেখা যেতো না। তাদের আবাসস্থল আসলে কোথায় তাও ঠিক করে জানা যায়নি। পৃথিবী তৈরির শেষ ধাপ: মানুষ তৈরির ক্ষেত্রে ৩টি প্রচলিত ধারণা

কী করে পৃথিবীতে মানুষ ও তাদের বংশধররা বিচরণ করা শুরু করলো তা নিয়ে বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত আছে। এমনি একটি কাহিনী প্রমিথিউস ও এপিমিথিউসের। এপিমিথিউস ও প্রমিথিউস

আগেই বলা হয়েছে, প্রমিথিউস ছিলেন অ্যাটলাসের ভাই, ইপেটাস ও ক্লাইমেনির পুত্র। তিনি ছিলেন এমন একজন টাইটান, যাকে মানবজাতির বড় বন্ধু বলা হয়। প্রমিথিউসের, যার নামের অর্থ ছিল ‘দূরদর্শিতা’, ছিলেন আরেকজন ভাই। নাম এপিমিথিউস। এপমিথিউস ছিলেন প্রমিথিউসের উল্টো। তার নামের অর্থ ছিল অপরিণামদর্শী। তিনি সবসময়ই খুব দ্রুত এবং চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নিতেন এবং কথার বরখেলাপ করতেন। মানুষের জন্য আগুন নিচ্ছেন প্রমিথিউস; Image Source: tooeleonline.com

সেই অপরিণামদর্শী এপিমিথিউসকেই মানুষ ও প্রাণীকূল সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি তো ভেবেচিন্তে কাজ করেন না। তাই তিনি তার সমস্ত প্রজ্ঞা, ক্ষিপ্রতা, শক্তি, সাহস দিয়ে দিলেন জীবজন্তুদের। তাদেরকে আত্মরক্ষার জন্য দিয়ে দিলেন পশম, ডানা, পালক ইত্যাদি। যখন মানুষ তৈরির পালা এলো, তখন তার ঝুলি তখন শূন্য। সুতরাং, মানুষ তৈরি হলো কোনোপ্রকার দৈহিক রক্ষাকবচ ছাড়া একেবারে অরক্ষিত, দুর্বল বেশে। এপিমিথিউস প্রতিবারের মতো তার ভুল বুঝতে পারলেন। এপিমিথিউস দুঃখভরে ব্যাপারটি প্রমিথিউসকে জানালেন। প্রমিথিউস এই ক্ষতিপূরণের জন্য মানুষকে দিলেন সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি। দেবতাদের আকৃতি। সুতরাং বলা যায় যে, গ্রীকদের মতে, মানুষ দেবতাদের মানুষের আকৃতি দেয়নি, বরং দেবতারাই মানুষকে তাদের আকৃতি দিয়েছেন।

প্রমিথিউস শুধু আকৃতিই দিলেন না, বরং সূর্যের কাছ থেকে মানুষের জন্য চুরি করে নিয়ে এলেন আগুন। মানুষের যেহেতু ছিল না কোনো ধারালো চোয়াল বা প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ তাই প্রমিথিউস মানুষকে আত্মরক্ষা এবং জীবিকার জন্য দিলেন আগুনের আশীর্বাদ। প্রমিথিউসের উপর জিউসের ক্রোধ: প্যাণ্ডোরার সৃষ্টি

যদিও প্রমিথিউস টাইটান যুদ্ধে স্বজাতির বিরুদ্ধে গিয়ে জিউসকে সাহায্য করেছিলেন, তথাপি জিউস তার ঋণ ভুলে গেলেন। গ্রীক পুরাণে এমন অসংখ্য কাহিনী আছে যেখানে দেবতারা খুবই অযৌক্তিক এবং নিষ্ঠুর শাস্তি প্রদান করেন। যখনি কোনো মরণশীল বা অমর কেউ দেবতাদের সমকক্ষতা লাভের চেষ্টা করে, তখনি তারা ক্রোধান্বিত হয়ে ওঠেন। এক্ষেত্রে গ্রীকপূর্ব দানবীয় দেবতাদের সাথে গ্রীক দেবতাদের মিল পাওয়া যায়। যাই হোক, প্রমিথিউস যেহেতু মানুষের বন্ধু ছিলেন এবং মানুষকে স্বয়ং দেবতার আকৃতি দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই দেবরাজ জিউস প্রমিথিউসকে আর ভালো চোখে দেখেননি। তার ক্রোধ আরও চরমে উঠলো যেদিন প্রমিথিউস তাকে বোকা বানালেন।

প্রমিথিউস একদা একটি বিশাল ষাঁড় জবাই করলেন। এর উৎকৃষ্ট অংশটুকুর উপর নাড়িভুঁড়ি ছিটিয়ে তা লুকিয়ে ফেললেন। আর হাড়গুলোর উপর চর্বির স্তুপ ঢেলে দিলেন। যখন জিউসকে এদের মধ্য থেকে একটি বাছাই করতে বলা হলো তখন স্বভাবতই জিউস চর্বিযুক্ত স্তুপের দিকে অঙ্গুলি তাক করলেন। কিন্তু পরে যখন দেখলেন যে, চর্বির নিচে আছে শুধুই হাড়গোড় তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তিনি তার কথার ব্যত্যয় করতে পারবেন না। একারণেই যখনি দেবতাদের জন্য পশু বলি দেয়া হয়, মানুষ পায় উৎকৃষ্ট অংশটুকু আর দেবতাদের উৎসর্গ করা হয় অবশিষ্টটুকু।

বিশ্বের একাধিপতিকে বোকা বানানোর জন্য বেশ কড়া শাস্তিই ভোগ করতে হয়েছে মানুষকে এবং প্রমিথিউসকে। প্রমিথিউসকে শাস্তি হিসেবে ককেশাসে বন্দী করার জন্য জিউস পাঠালেন তার দুই ভৃত্য ‘ফোর্স’ এবং ‘ভায়োলেন্স’কে। ককেশাস পর্বতে প্রমিথিউসকে আজীবনের জন্য একটি পাথরের সাথে বেঁধে রাখা হয়। জিউসের আদেশে একটি ঈগল প্রতিদিন এসে প্রমিথিউসের যকৃত ভক্ষণ করে। পরদিন সেই যকৃত আবারো গজায়, আবারো ঈগলটি এসে তা খায়। শোনা যায়, পরবর্তীতে হারকিউলিস জিউসেরই নির্দেশে প্রমিথিউসকে মুক্ত করেন।

প্রমিথিউসকে শাস্তি দেওয়ার আরেকটি বড় কারণ ছিল, প্রমিথিউস জানতেন জিউসের কোনো এক সন্তান তাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। জিউস প্রায়ই তার পুত্র, দেবতাদের বার্তাবাহক হারমিসকে পাঠাতেন যদি প্রমিথিউসের মুখ থেকে কিছু শোনো যায় সেই উদ্দেশ্যে। কিন্তু প্রমিথিউস কোনোদিন মুখ খোলেননি। মানুষের উপরও জিউস চটেছিলেন। প্রমিথিউসের কারণেই মানুষ পেল দেবতার আকৃতি এবং সূর্য দেবতার শক্তি, আগুন। এই আগুনের কারণে মনুষ্য সভ্যতা কয়েকশো বছর এগিয়ে গেল। দেবরাজ চাইতেন মানুষ তাকে ভয় করুক, উপাসনা করুক এবং তার দয়ায় বেঁচে থাকুক।

প্রমিথিউস যেমন মানুষকে দিলেন শক্তি তেমনি তিনি মানুষের আরাম আয়েশও কেড়ে নিলেন। ইতিপূর্বে মানুষকে জীবিকা নির্বাহের জন্য সারাবছর কষ্ট করতে হতো না। দেবরাজ যে ফসল ফলাতেন তা দিয়ে তাদের দিব্যি চলে যেত। কিন্তু এখন মানুষকে নিজের অন্ন নিজেরই যোগাঢ় করতে হয়। এছাড়াও মানুষকে শায়েস্তা করার জন্য দেবরাজ তৈরি করলেন একজন নারীকে। এর পূর্বে পুরাণে কোথাও নারীদের উল্লেখ ছিল না। জিউস নারীকে তৈরি করলেন যাতে মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম হতাশা, কষ্ট, দুঃখ ও পাপাচার।

নারীকে জিউস অত্যন্ত সুন্দর ও লাজুক করে তৈরি করলেন এবং নাম দিলেন প্যাণ্ডোরা। প্যাণ্ডোরাকে স্বাগত জানানোর জন্য জিউস সকল দেবতাদেরকে একটি বাক্স দিয়ে এতে সকল অশুভ শক্তি ভরে প্যাণ্ডোরাকে উপহার দিতে বলেন। প্যাণ্ডোরা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘সকলের উপহারের সমন্বয়’। জিউস প্যাণ্ডোরাকে এপিমিথিউসের সাথে বিয়ে দিলেন। প্রমিথিউস এপিমিথিউসকে নিষেধ করেছিলেন দেবতাদের কাছ থেকে উপহার নিতে, কিন্তু এপিমিথিউস যথারীতি তা ভুলে গেলেন এবং প্যাণ্ডোরাকে বিয়ে করেলন। দেবতারা প্যাণ্ডোরাকে যে উপহারের বাক্স দিয়েছিলেন তা তাকে কোনোদিন খুলতে বারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু জিউস তো এটিই চাইছিলেন। প্যাণ্ডোরা; Image Source: apessay.com

গ্রীক পুরাণ মতে, নারীদের অত্যুৎসাহিতাই মানুষের সকল দুঃখ দুর্দশার কারণ। প্যাণ্ডোরা লোভ সংবরণ না করতে পেরে বাক্সটি খুলে ফেলেন এবং মানুষের জন্য নিয়ে আসেন মৃত্যু, হতাশা, পাপ আরও যেসব অশুভ জিনিস আছে, সব। কিন্তু এত অশুভের মধ্যে শুধু একটি জিনিসই ঐ বাক্সে ভালো ছিল, তা ছিল ‘আশা’। যার কারণে মানবজীবনে এত হতাশার মধ্যেও তারা বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। মানুষ সৃষ্টির পঞ্চযুগ ও দিউক্যালিওন- পিরা উপাখ্যান

মানুষ সৃষ্টির আরেকটি প্রচলিত কাহিনী হলো, যখন যুদ্ধ হাঙ্গামা বলতে কিছু ছিল না, তখন দেবতারা স্বর্গে বসে একটু ঝিমিয়েই পড়ছিলেন। তাই তারা পৃথিবীর বিভিন্ন ধাতব পদার্থ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তারা প্রথমে তৈরি করেন স্বর্ণের মানুষ। তারা মরণশীল হলেও তাদের জীবন দেবতাদের মতোই ছিল নির্বিঘ্ন, দুঃখকষ্টহীন সুখের জীবন। তাদের খাবারেরও অভাব ছিল না। মৃত্যুর পর কবরস্থ করা হলেও তাদের আত্মা থাকতো অমর। মৃতের আত্মা জীবিতদের সহায়তা করতো। এরপরে তারা অধঃক্রমে নেমে এলেন রুপার মানুষের দিকে। তারা স্বর্ণ প্রজাতির মতো ছিল না। বরং ছিল খুবই নিম্ন বুদ্ধির। তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মারা গেল। তাদের আত্মাও তাদের সাথে ধ্বংস হয়ে গেল।

এরপর এলো তাম্রপ্রজাতির মানুষ। তারা রৌপ্য প্রজাতি থেকে ছিল আরও ভয়ংকর ও শক্তিশালী। এরা ছিল প্রচণ্ড যুদ্ধ প্রিয়। তাদেরকে বিতারিত করার জন্যই চতুর্থ যুগে জন্ম নিলেন কিছু বীর প্রজাতির মানুষ। তারা গৌরবময় ও দুঃসাহসিক সব অভিযানে অংশ নিলেন। যখন সব বিশৃঙ্খলা থামলো তখন দেবতারা তাদের পাঠিয়ে দিলেন এক দ্বীপে যেখানে তারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলেন। সর্বশেষ যুগে এলো লৌহপ্রজাতির মানুষ। এরাই নিকৃষ্টতম সৃষ্টি এবং যারা এখনো টিকে আছে। তাদের নেই কোনো সৎসাহস। যতদিন তারা বেঁচে থাকবে অধম থেকে অধমতর হবে। পাপাচার, কষ্ট, পরিশ্রমে ভরা থাকবে তাদের জীবন। তারা উত্তমকে ত্যাগ করে শক্তির পূজা করবে। সৎচ্চরিত্র ব্যক্তির কোনো মূল্য থাকবে না। অনেকটা আইয়আমে জাহেলিয়াত যুগের মতোই।

অবশেষে যেদিন এদের মধ্যে আর কেউই থাকবে না যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, সেদিন জিউস তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন। পিরা ও ডিওক্যালিয়ন পাথর ছুঁড়ছেন; Image Source: greekmythology.blogspot.com

পঞ্চযুগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আরেকটি কাহিনী মতে, আসলেই যখন লৌহ যুগে পাপাচার চরমে উঠেছিল তখন জিউস তার ভাই সমুদ্র দেবতা পোসাইডনের সাহায্য নিয়ে তৈরি করলেন এক মহাপ্লাবন। যেমনটির বর্ণনা আছে ইসলাম ও খ্রিস্টীয় ধর্মে নূহ (আঃ) এর ক্ষেত্রে। সেই প্লাবনে মাঠঘাট, পশুপাখি সব বিদীর্ণ হয়ে গেল। কিন্তুপারন্যাসাস নামক স্থানই একামাত্র প্লাবিত হলো না। প্রমিথিউসের সন্তান ডিওক্যালিয়ন ও এপিমিথিউস ও প্যাণ্ডোরার কন্যা পিরাকে প্রমিথিউস এব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন। কীভাবে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। প্রমিথিউস তাদেরকে একটি বাক্স বানাতে বলেছিলেন। ভাগ্যিস বাক্স বানানো ছিল। ডিওক্যালিয়ন ও তার স্ত্রী পিরা বন্যা থেকে বাঁচতে সেই বাক্সে চড়ে বসলেন। বাক্স পারন্যাসাসে থামল। দেবতারা সদয় হয়ে বন্যা থামালেন। কারণ পিরা ও ডিওক্যালিয়ন ছিলেন ধার্মিক। তারা দু'জন বাক্স থেকে নেমে দেখলেন কোনোদিকে প্রাণের চিহ্ন নেই।

কিছুদূর যাওয়ার পর তারা একটি স্যাঁতসেঁতে মন্দির দেখতে পেলেন। সেখানে গিয়ে মাথা নত করার সাথে সাথে তারা আদেশ শুনতে পেলেন, “তোমার মাথা অবগুণ্ঠিত করো এবং তোমাদের পেছনে নিক্ষেপ করো তোমাদের মায়ের অস্থিগুলো”। তারা ভয় পেলেন কিন্তু ডিওক্যালিয়ন তার অর্থ করলেন এভাবে, ধরিত্রী গায়া তাদের মা এবং চারদিকে ছড়ানো পাথরগুলোই তার অস্থি। সুতরাং তারা তাদের পিছনে মাটিতে পড়ে থাকা পাথরগুলো নিক্ষেপ করলেন এবং এই পাথরগুলো থেকেই আমরা, মানে মানুষরা জন্ম নিলাম।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 101
Blog Title: কর্মজীবনে সাফল্য লাভের জন্য ছাত্র জীবনেই যেসব দক্ষতা অর্জন করা উচিত
Contact No.: 01727442293
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: পড়ালেখা শেষ করার পর আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে একটি ভালো চাকরি নেয়ার। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কর্মজীবনে সেই সুযোগটা হয় না। চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার কিছু দক্ষতা থাকা উচিত যেগুলোর কারণে চাকরিদাতা আপনাকে চাকরি দেবেন। আসলে এই দক্ষতাগুলোই আপনাকে অন্য আরেকজন চাকরিপ্রার্থী থেকে পৃথক করবে। বর্তমানে প্রায় সবাই জানেন, একটি চাকরির জন্য কী কী দক্ষতা থাকা আবশ্যক। চাকরিদাতারা আপনার মাঝে সেই গুণগুলোই দেখতে চান। আপনি যদি অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকতে চান, তাহলে আপনার নিচের গুণাবলিগুলো থাকা উচিত।

১. যোগাযোগ দক্ষতা

যোগাযোগ দক্ষতার ৩টি অংশ আছে। শোনা, বলা এবং লেখা। এই ৩টি গুণ একজন মানুষের মাঝে অবশ্যই থাকা উচিত। শুধু চাকরির জন্যই না, আমাদের দিনে প্রতিনিয়তই কারো না কারোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। তো চাকরির ক্ষেত্রে, আপনাকে প্রতিদিনই ফোনে কথা বলতে হয় অথবা ইমেইল পাঠাতে হয়। আপনার অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলার অভ্যাস কেমন কিংবা আপনি কীভাবে ইমেইল লিখে পাঠাচ্ছেন তা তারা লক্ষ্য করে। সাক্ষাতকারেই তারা এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করে। আপনি তাদের কাছে আপনার পরিচয়পত্র কীভাবে লিখে পাঠাচ্ছেন, ব্যকরণগত ভুল কীরকম করছেন এগুলো থেকে তারা আপনার লেখার দক্ষতা খেয়াল করে। আর আপনি তাদের কথা বুঝতে পারছেন কি না তা থেকে বোঝা যায় আপনার শোনার দক্ষতা। তাই আজ থেকেই এই দক্ষতাগুলো অর্জনের জন্য বেশি বেশি বই পড়া শুরু করুন। নতুন মানুষজনের সাথে মেশার চেষ্টা করুন। এটা আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যোগাযোগ দক্ষতা যোগাযোগ দক্ষতা; Source: Lynda.com

২. অনুধাবন এবং গবেষণা দক্ষতা

“ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”। সাক্ষাতকারের সময় এই ভাবাভাবির সময় না থাকলেও, আপনার যদি অনুধাবন করার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কোনো প্রশ্নেরই হুটহাট উত্তর দেয়া উচিত নয়। আগে ভেবে দেখুন আপনাকে কী প্রশ্ন করা হয়েছে। তারপর দেখুন এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিলে সুন্দর হয়। তবে এজন্য আগে থেকেই অভ্যাস থাকতে হয়। আপনি যত বেশি গবেষণা করবেন, তত বেশি জানতে পারবেন। জানার তো আর শেষ নেই। তবে আপনার গবেষণা করার অভ্যাস থাকলে, সহজেই যেকোনো প্রশ্ন অনুধাবন করতে পারবেন। এটি আপনাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে রাখবে। অনুধাবন অনুধাবন; Source: Lynda.com

৩. মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা

এটি হলো আপনি আপনার চারপাশের পরিস্থিতির সাথে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন তার দক্ষতা। সময় তো আর সবসময় পক্ষে থাকে না। পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন, আপনার নিজেকে মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। আপনার হয়তো একসাথে অনেক কাজ পড়ে গেলো। এগুলো সামাল দিয়ে ওঠার জন্য আপনার এই দক্ষতা থাকা উচিত। এজন্য আপনি ছাত্রজীবনেই কোনো সংঘের সাথে জড়িত থাকতে পারেন। অথবা কোনো সংঘ পরিচালনা করতে পারেন। এভাবে আপনি এই দক্ষতা অর্জন করতে শিখবেন। মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা সবার সাথে মানিয়ে নেয়া; Source: kit8.net

৪. অন্যের মানসিকতার সাথে মানিয়ে নেয়া

দলগত কাজের সময় এই গুণটি থাকা আবশ্যক। একটি দলের সবার মানসিকতা সমান হয় না। সবাই তো আর সব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু সবার মন রক্ষা করে চলাও সম্ভব না। তাই কারো যাতে ক্ষতি না হয়, সেই দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হয়। বিভিন্ন সংঘের হয়ে কাজ করলে আপনি ছাত্রাবস্থাতেই এই গুণ অর্জন করবেন।

৫. সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা

জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রতিদিন আমরা অনেক সমস্যার সামনে পড়ি। সেই সমস্যা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিই এবং একটি সমাধান বের করি। কিন্তু হুট করেই তো আর সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। এজন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া উচিত। তারা এই ধরনের সমস্যা কীভাবে সমাধান করেছে তা দেখা উচিত। এভাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখতে পারি। আর নিজের এই দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই কোনো না কোনো সংঘের সাথে জড়িত থাকা উচিত। সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা সমস্যার সমাধান বের করে সিদ্ধান্ত নেয়া; Source: LinkedIn

৬. একসময়ে একাধিক কাজ করার দক্ষতা

আপনি যখন একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিবেন, তখন আপনাকে বলা হয় যে, আপনি এই কাজগুলো করবেন। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাকে আরো বাড়তি কিছু কাজ করা লাগতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি যাতে সাদরে সেই কাজ গ্রহণ করতে পারেন, সেই মানসিকতা থাকা উচিত। এতে বাড়তি হিসেবে, আপনি হয়তো আপনার কর্মক্ষেত্রের প্রধানের সুনজরেও চলে আসতে পারেন! তাই আপনি যদি এখনও ছাত্রজীবনে থাকেন, তবে এখনই এই ধরনের মানসিকতা আনার জন্য কাজ করতে থাকুন। একসাথে একাধিক কাজ করা একসাথে একাধিক কাজ করা; Source: Medium

৭. নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা

মানুষজন নেতা এবং মনিব এর মাঝে পার্থক্য জানতে চায়। নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আর মনিব পিছন থেকে পরিচালনা করেন। - থিওরো রুজভেল্ট (সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি)।

দলগত কাজের সময় আপনাকে যদি প্রধান করা হয়, তবে আপনার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার মানসিক অবস্থা থাকতে হবে। আপনার উপর নির্ভর করছে আপনার দলের বাকি সবার অবস্থা কেমন হবে। এই নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা আজকের চাকরির বাজারে আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে। তাই এখন থেকেই কোনো না কোনো সংঘে যোগ দিয়ে ফেলুন। নেতৃত্ব দেয়া নেতৃত্ব দেয়া - TLNT.com

৮. ভুল স্বীকার করা এবং ভুল থেকে শেখার দক্ষতা

প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের ভুল পদক্ষেপ আসতেই পারে। মানুষ মাত্রই ভুল। তাই ভুল স্বীকার করে নিয়ে নিজেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু আপনি যদি উল্টোটা করেন? নিজের ভুল জেনেও তা স্বীকার করছেন না। এতে আপনি নিজের পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানেরও ক্ষতি করছেন। তার উপর এতে করে আপনার প্রতি সবার একটি বিরূপ মানসিকতা তৈরি হতে পারে। সেই সাথে আপনি নিজেকেও নতুন কিছু শেখা থেকে বিরত করছেন। তাই এখন থেকেই নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা তৈরি করুন। ভুল স্বীকার করা এবং এর থেকে শিক্ষা নেয়া ভুল স্বীকার করা এবং এর থেকে শিক্ষা নেয়া; Source: Infiniteach

৯. আত্মবিশ্বাস এবং জনসম্মুখে কথা বলা

আত্মবিশ্বাসের জোরে আপনি যেকোনো অসাধ্যকে সাধ্য করে ফেলতে পারেন! আমার আত্মবিশ্বাস আমার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে আসে না। আসে আমার কর্ম থেকে। - রন পার্লম্যান (মার্কিন অভিনেতা)।

আত্মবিশ্বাস অর্জন করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অনেক জানতে হবে। আপনার পোষাক-পরিচ্ছদ কেমন হলো, তা কোনো বিষয় না। বিষয় হলো, আপনি কী জানেন! আপনাকে বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের হয়ে সবার সামনে কথা বলতে হবে। এজন্য আপনার অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন বই পড়তে পারেন, বিভিন্ন কর্মশালা করতে পারেন, বিভিন্ন সংঘের সদস্য হতে পারেন। এগুলো আপনাকে ব্যবহারিক জীবনে অনেক সাহায্য করবে। জনসম্মুখে কথা বলা জনসম্মুখে কথা বলা; Source: YouTube

১০. সৃজনশীলতা

এখনের যুগটাই সৃজনশীলতার। যে যত বেশি সৃজনশীল, তার সামনে সুযোগও তত বেশি। তাই আপনার নিজের মাঝে কী সৃজনশীল প্রতিভা আছে তা খুঁজে বের করুন। আপনার সৃজনশীলতাই আপনাকে কর্মক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনি হয়তো ভালো আঁকতে পারেন, ভালো গাইতে পারেন, ভালো লিখতে পারেন। এমন অনেক প্রতিভাই আপনার মধ্যে আছে। সেগুলো দিয়েই নিজেকে চেনাতে চেষ্টা করুন। সৃজনশীলতা সৃজনশীলতা; Source: liveplan.com

এই দক্ষতাগুলো আপনার নিজেকে অর্জন করে নিতে হবে। এজন্য ভালো ভালো লেখকদের বই পড়ুন, সৎ সঙ্গের সাথে থাকার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটি সংঘে যোগদান করুন। বিতর্ক সংঘ, কর্ম সংঘ, ব্যবসা সংঘ, সমাজসেবামূলক সংঘ এমন আরো অনেক সংঘ আছে যেগুলো আপনাকে মানসিক ও সৃজনশীল দক্ষতা অর্জন এবং নিজের সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করবে।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 100
Blog Title: অর্থহীন পৃথিবীর অর্থহীনতার অস্তিত্ববাদ এবং জাঁ পল সার্ত্রে
Contact No.: 01727442293
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ২০ শতকের বিখ্যাত ফরাসি লেখক, বুদ্ধিজীবী, দার্শনিক জাঁ পল সার্ত্রে বিখ্যাত হয়ে আছেন তার অস্তিত্ববাদ বিষয়ক দর্শনের জন্য। দর্শনের ইতিহাসে তার ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ বইটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী বইগুলোর একটি। এ বইয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারও। অথচ ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক অভিহিত করে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি! ইতিহাসে তার মতো এরকম সাহস কেবল দেখাতে পেরেছিলেন আর একজন ব্যক্তিই। যা-ই হোক, সেসব পরে জানবো। এই লেখায় আমরা মূলত সার্ত্রের অস্তিত্ববাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

‘একজিসটেনশিয়ালিজম’ বা অস্তিত্ববাদে যাবার আগে ‘এসেনশিয়ালিজম’ সম্পর্কে জানতে হবে। এসেনশিয়ালিজম শব্দটির কাছাকাছি বাংলা অর্থ হতে পারে সারবাদ বা সারাংশবাদ। আপনি কখনো “জীবনের অর্থ কী” এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন? যদি হয়ে থাকেন তাহলে এটা নিশ্চিত যে হুট করেই কোনো উত্তর আপনি দিতে পারেননি। কিংবা চিন্তা-ভাবনা করে উত্তর দিয়েও আদতে নিজের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ আপনার দলেই আছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ! জীবনের অর্থ বলতে কেউ বলবে প্রেম, কেউ বলবে ঈশ্বর, আবার কেউ বলবে মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসাটাই জীবনের অর্থ। প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে সহজ উত্তর এটিই। পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রতিটি জীব/জড়ের একটি নির্দিষ্ট পরিচয়, সত্ত্বা কিংবা নির্যাস রয়েছে যা তার অস্তিত্বের অর্থ বহন করে। এই ভাবনাকে বলা হয় এসেনশিয়ালিজম। একটি চাকুর হাতল কাঠের বা লোহার হতে পারে। কিন্তু কেবল হাতলের সাথে যদি কোনো ব্লেড না থাকে, তাহলে সেটিকে কেউ চাকু বলবে না। কারণ ব্লেড হচ্ছে চাকুর পরিচায়ক নির্যাস। আবার মানুষ বুদ্ধি, বিবেক নিয়ে পৃথিবীতে আসে বলে সে মানুষ। বুদ্ধি না থাকলে দর্শনের ভাষায় বলায় যায় মানুষ হিসেবে তার ‘এসেন্স’ নেই। আমরা সাধারণত বলে থাকি লোকটি অন্তঃসারশূন্য। যারা জীবনের অর্থ নিয়ে ভাবেন না, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু অনেক মানুষ আমৃত্যু জীবনের অর্থ খুঁজতে থাকেন এবং ব্যর্থতা নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করেন। এক্ষেত্রে ভাবুকদের সহায়তায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এসেনশিয়ালিজম নামক এই দার্শনিক মতবাদের প্রবর্তন করেন প্লেটো এবং তার শিষ্য অ্যারিস্টটল। এই তত্ত্ব বলে যে, প্রতিটি বস্তুকে নিজের অস্তিত্ব অর্থবহ করতে হলে কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য বহন করতে হয়। চাকুর উদাহরণে এটি স্পষ্ট হবার কথা। প্লেটোর মতে, মানুষের জীবনের অর্থ এই যে সে মানুষ। মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলী তার অস্তিত্বকে সার্থক করে। সকল মানুষের মাঝেই সেসব গুণাবলী রয়েছে। যারা এসব গুণাবলীর সদ্যবহার করে, তাদের আমরা সৎ মানুষ বলি। বিপরীত দিকে রয়েছে অসৎ মানুষ।

দর্শন হচ্ছে বহমান নদীর মতো, যা সময়ের সাথে সাথে বাঁক পরিবর্তন করে। পূর্বসূরীর করে যাওয়া চিন্তা-ভাবনার সূত্র ধরেই নতুন চিন্তা-ভাবনার উদ্ভব হয়। ১৯ শতকে যেমন জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটশের হাত ধরে এলো ‘নায়ালিজম’ বা ধ্বংসবাদ, যা বিশ্বাস করে সবকিছুর চূড়ান্ত অর্থহীনতায়। নিটশের এই তত্ত্বের ধারাবাহিকতায় পরের শতকেই সুপ্রাচীন এসেনশিয়ালিজমের দিকে আঙ্গুল তোলেন জাঁ পল সার্ত্রে। তার মতে, আমাদের অস্তিত্ব আমাদের পরিচয়ের অগ্রবর্তী। অর্থাৎ, মানবীয় গুণাবলীর মতো উপাদানগুলোর পূর্বে আমাদের অস্তিত্ব জরুরি। অস্তিত্ব লাভ করে তবেই আমরা নিজেদের জীবনের অর্থ খুঁজি। তার এই ভাবনাই ‘একজিসটেনশিয়ালিজম’ নামক দর্শনের নতুন ধারার কাঠামো তৈরি করে। সার্ত্রের এ ভাবনা খুব সহজ মনে হলেও সে সময় তা ছিল বৈপ্লবিক। কারণ, এসেনশিয়ালিজমে বিশ্বাসী মানুষ বিশ্বাস করতো তারা নিজেদের পরিচয় নিজেরা সৃষ্টি করে না, বরং সৃষ্টিকর্তা সব ঠিক করে দেন। কিন্তু অস্তিত্ববাদ মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য মানুষের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়। এটুকু পড়ার পর যে কেউ ভাববেন যে, অস্তিত্ববাদ পুরোপুরি নিরীশ্বরবাদী। এই ভাবনাটা অমূলক নয় যতক্ষণ না আপনি আরো বিস্তারিত জানবেন। অস্তিত্ববাদ কেন নাস্তিকতার অনুরূপ নয়, তা বুঝতে হলে জানতে হবে ‘টিলিওলজি’ বা পরমকারণবাদ কী। পরমকারণবাদের মূল কথা হচ্ছে আনুষঙ্গিক সকল কার্যকরণ বাদ রেখে কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা কেবলই এর উদ্দেশ্য দিয়ে করতে হবে। মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে পরমকারণবাদের বক্তব্য অনেকটা এরকম, “সৃষ্টিকর্তা কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে রেখেই পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি করেছেন।”

অস্তিত্ববাদ সরাসরি পরমকারণবাদকে অস্বীকার করে। অস্তিত্ববাদের দাবি হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী এবং মানুষ কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে রেখে সৃষ্টি করেননি। অর্থাৎ, অস্তিত্ববাদ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে না। আর এখানেই সমস্যা জটিলতর হতে শুরু করে। যখনই আপনি পরমকারণবাদ অস্বীকার করবেন, তখনই পৃথিবীতে আপনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড এমনকি অস্তিত্বই অর্থহীন হয়ে পড়বে। সহজ ভাষায় বললে, সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষকে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে না রেখে সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? নির্দিষ্ট সময়কাল পর প্রতিটি মানুষই মৃত্যবরণ করে। সেক্ষেত্রে পরমকারণবাদ অস্বীকার করা মানে মৃত্যুপরবর্তী সৃষ্টিকর্তার কোনোরূপ জবাবদিহিতায় বিশ্বাস না করা। আর যদি ব্যাপারটা এরূপই হয়ে থাকে (যা প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক), তাহলে পৃথিবীতে সততা আর ন্যায়ের মতো ব্যাপারগুলোর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।

এরকম একটি পরিস্থিতিতে তৈরি হয় নতুন এক সমস্যা, যার নাম ‘অ্যাবসারডিটি’ বা অর্থহীনতা। দর্শনের দৃষ্টিতে এই অর্থহীনতার অর্থ প্রচলিত অর্থের মতো নয়। অর্থহীনতা হচ্ছে অর্থহীন পৃথিবীতে নিরন্তর অর্থ খোঁজা, নিরুত্তর পৃথিবীতে প্রাণপণে উত্তর খোঁজা। একদিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ায় সকল প্রকার ন্যায়, ন্যায্যতা, নিয়ম শৃঙ্খলা, আইনকানুন অর্থহীন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিই আবার নিরন্তর অর্থ খুঁজে চলে। যেকোনো কাজের পেছনে অর্থ খুঁজে না পেলে মানুষ সে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করে। অস্তিত্ববাদের এ অংশের অসাড়তা দূর করতে সার্ত্রে হাজির করেন ‘অথেনটিসিটি’ বা প্রামাণিকতার গুরুত্ব। একদিকে অস্তিত্ববাদ বলছে জীবনের কোনো অর্থ নেই, পৃথিবীর কোনো অর্থ নেই। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রতিনিয়ত অর্থ প্রয়োজন। সার্ত্রে বেঁচে থাকার এই অপরিহার্য উপাদান অর্থের খোঁজ পেয়েছেন প্রামাণিকতা থেকে। তার মতে, একজন মানুষের জীবনের অর্থ তা-ই যা সে নিজে তৈরি করে নেয়। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা-ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে নেয়। সার্ত্রে এখানে একটি চমৎকার উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। মনে করুন, রহিম নামক এক যুবক যুদ্ধে যেতে চায়। আবার বাড়িতে নিজের একাকী বৃদ্ধ মা কে ফেলে যেতেও তার মন সায় দেয় না। সে যদি যুদ্ধেই যায় শেষতক, তাহলে একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, যদিও তার ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ খুব একটা প্রভাব ফেলবে না যুদ্ধের ফলাফলের উপর। কিন্তু সে যদি যুদ্ধে না গিয়ে মায়ের সেবা করে, তাহলে একজন মানুষ সর্বাত্মকভাবে উপকৃত হবেন, কিন্তু সামষ্টিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরকম সমস্যার সমাধান পৃথিবীর কেউ দিতে পারবে না রহিম নিজে ছাড়া। যুদ্ধে যাওয়া অথবা মায়ের সেবা করা, রহিম যে সিদ্ধান্তই নেবে সেটি হবে তার জন্য অর্থবহ। অন্য কথায়, রহিম নিজের জীবনের অর্থ বা উদ্দেশ্য নিজের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই নির্ধারণ করবে।

এক্ষেত্রে রহিম দুটি সিদ্ধান্ত পরস্পরের সাথে তুলনা করে, প্রামাণিকতা বিবেচনা করে একটি গ্রহণ করতে পারবে। তাই অস্তিত্ববাদে পৃথিবী ততক্ষণ অর্থহীন এবং উদ্দেশ্যহীন যতক্ষণ না মানুষ সেখানে কোনো অর্থ বা উদ্দেশ্য সৃষ্টি করে নিচ্ছে। একই বক্তব্য পৃথিবীতে শৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য উদ্ভব হওয়া নীতি নৈতিকতার ক্ষেত্রেও সত্য। পৃথিবীকে শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখতে মানুষই ন্যায়-নীতি, সততা আর ন্যায্যতার মতো ব্যাপারগুলো সৃষ্টি করেছে। একজন মানুষ যখন ডাক্তার হয়, তখন সে মানুষের চিকিৎসা করাকে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে নিজে ঠিক করে নেয়। তার জীবনের গতিপথ পূর্বনির্ধারিত নয়। অন্তত অস্তিত্ববাদ তাই বলে। অস্তিত্ববাদ বিষয়ক উপরোক্ত সম্পূর্ণ আলোচনার সারকথা ফরাসি দার্শনিক আলবেয়ার কামুর একটি উক্তিতে ফুটে উঠেছে।

“জীবনের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে যা কিছু করি তা-ই।”- আলবেয়ার কামু জাঁ পল সার্ত্রের আরেকটি অসাধারণ কাজ হচ্ছে ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’। এই বইয়ে তিনি সকল ঘটনার পেছনে দুটি বাস্তবতা আছে বলে উল্লেখ করেন। একটি হচ্ছে সত্তা এবং অন্যটি চেতনা। একদিকে থাকে আমাদের চেতনা তৈরি করার বস্তুগত সত্তা, অন্যদিকে থাকে সেই সত্তা হতে সৃষ্ট চেতনা বা জ্ঞান। সার্ত্রে এক্ষেত্রে দুটি নাম ব্যবহার করেছেন। ‘দ্য বিং ইন ইটসেলফ’ যা হচ্ছে সত্তা নিজে এবং ‘দ্য বিং ফর ইটসেলফ’ যা হচ্ছে সত্তার জন্য সৃষ্ট চেতনা। অর্থাৎ, মোটা দাগে দুটি বিষয় পৃথিবীতে বিরাজমান। একটি হচ্ছে ‘থিং’ বা সত্তা/জীব/পদার্থ/বস্তু এবং অপরটি হচ্ছে ‘নো-থিং’ (Nothing= No thing) বা চেতনা, যা কোনো বস্তু নয়।

সার্ত্রে তার অস্তিত্ববাদের জন্য নানামুখী সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক সমালোচকের চোখে তার দার্শনিক যুক্তিতর্ক অনেকাংশে অধিবিদ্যার উপর নির্ভরশীল, যদিও সার্ত্রে সবসময় দাবি করেছেন তার দর্শনের সাথে অধিবিদ্যার সম্পর্ক নেই। ব্রায়ান সি এন্ডারসন নামক একজন আমেরিকান লেখক তো সার্ত্রের সমালোচনা করতে গিয়ে দাবি করেন যে তিনি স্টালিনিজম ও মাওইজমের সমর্থক! তার যুক্তি এরূপ ছিল যে, অস্তিত্ববাদ দ্বারা সার্ত্রে পৃথিবীর সবকিছুকে অর্থহীন প্রমাণ করার মাধ্যমে স্টালিন আর মাও সে তুং এর মতো ব্যক্তিদের ধ্বংসযজ্ঞের সাফাই গেয়েছেন! তবে সার্ত্রে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন ফ্রাঞ্জ ফানোর ‘দ্য রেচড অব দ্য আর্থ’ বইয়ের মুখবন্ধ লিখে। এই মুখবন্ধে তিনি নিম্নোক্ত উক্তিটি করেন- “একজন ইউরোপীয়কে গুলি করা মানে এক ঢিলে দুই পাখি মারা! এতে একজন অত্যাচারী এবং একজন অত্যাচারিত ব্যক্তি ধ্বংস হয়, আর অবশিষ্ট থাকে একটি মৃতদেহ এবং একজন স্বাধীন মানুষ!”- জাঁ পল সার্ত্রে সার্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখাগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হলো। ১) নওসিয়া ২) এজ অব রিজন ৩) নো এক্সিট ৪) ডার্টি হ্যান্ডস ৫) ডেভিলস অ্যান্ড দ্য গুড লর্ড ৬) সার্ত্রে (আত্মজীবনী) ৭) দ্য ট্রান্সেন্ডেন্স অব দ্য ইগো ৮) দ্য ইমাজিনারি ৯) বিং অ্যান্ড নাথিংনেস ১০) ক্রিটিক অব ডায়ালেকটিক্যাল রিজন ১১) অ্যান্টি সেমেটিক অ্যান্ড জ্যু (সমালোচনা) ১২) সিচুয়েশনস ১-১০ (সমালোচনা) জাঁ পল সার্ত্রে ১৯০৫ সালের ২১ জুন ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার বাবা মারা গেলে তার মা তাকে নিজের পৈতৃক নিবাসে নিয়ে যান। সার্ত্রের নানাবাড়িতে ছিল দর্শনের বইয়ে সমৃদ্ধ এক বিশাল লাইব্রেরি, যা মূলত তার দার্শনিক হয়ে ওঠার বড় প্রভাবক। স্থানীয় স্কুল মাধ্যমিক শেষ করে তিনি ‘ইকোল নহমাল সুপেহাইয়ো’ কলেজে ভর্তি হন উচ্চশিক্ষার জন্য। ততদিনে তিনি ইমানুয়েল কান্ট, হাইডেগার, হুসার্ল, হেগেল আর দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন পড়ে ফেলেছেন। ইকোলে পড়ার সময়ই তার বন্ধুত্ব হয় বিখ্যাত দার্শনিক এবং নারীবাদী সাইমন ডি বিউভয়েরের সাথে।

১৯৩৯ সালের দিকে ফরাসি সৈন্যবাহিনীর সাথে যোগ দেন সার্ত্রে। এক বছরের মাথায়ই নাৎসিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে বন্দী হন। প্রায় ৯ মাস বন্দী থাকার পর তার দার্শনিক জ্ঞানের জন্য নাৎসিরা তাকে ছেড়ে দেয় এবং একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চালাকালেই তার ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ ও ‘নো এক্সিট’ প্রকাশিত হয়। ষাটের দশক থেকে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন। তিনি কিউবা ভ্রমণ করেন এবং ক্যাস্ট্রো ও গুয়েভারার সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে তার কলম এবং কণ্ঠ থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হতো। এরই মাঝে তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল নোবেল কমিটি। তিনি এই উক্তিটির মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। “আমি সবসময় আনুষ্ঠানিক সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানাই। একজন লেখকের নিজেকে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উচিৎ না। আমার এই মনোভাব, লেখক হিসেবে আমার কর্মোদ্দম থেকে তৈরি হয়েছে। একজন লেখক যিনি সাহিত্যিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে যৌক্তিক অবস্থান গ্রহণ করেন, তাকে অবশ্যই নিজের স্ব-কর্মক্ষেত্রের ভেতরেই থাকা উচিৎ, আর তা হচ্ছে লেখা।” সার্ত্রের জীবন সম্পর্কে দর্শন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল। তিনি মনে করতেন, তার কলম যতটুকু প্রতিবাদী হবে, তার নিজেকে ঠিক ততটুকুই প্রতিবাদী হতে হবে। এজন্যই তিনি আমৃত্যু সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন, যোগ দিয়েছেন অসংখ্য আন্দোলন আর প্রতিবাদে। তিনি বিয়েতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তার আমৃত্যু জীবনসঙ্গী বিউভয়ের এবং তিনি, উভয়েই বহুগামীত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। সত্তরের দশকে সার্ত্রের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ১৯৭৩ সালে তিনি দর্শনক্ষমতা হারিয়ে অন্ধ হন। ১৯৮০ সালের ১৫ এপ্রিল, বিউভয়েরের মৃত্যুর ৩ মাস পর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সার্ত্রে। প্যারিসের মন্টপারনাসে সমাধিক্ষেত্রে বিউভয়েরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। ফিচার ছবি: the-philosophy.com
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 99
Blog Title: A BEAUTIFUL MIND- সিমান্তহিন ভালোলাগা।
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Culture & Literature
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: A BEAUTIFUL MIND সত্যিই অসাধারন একটা মুভি। গল্পের প্লটটা খুব সুন্দর। ভালবাসা সব কিছুকেই জয় করতে পারে- মুভিটিতে তা ভালভাবেই দেখানো হয়েছে। ছবিতে নায়ক Schizophrenia নামক ভয়ঙ্কর মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকে। কিন্তু সে অসম্ভব মেধাবী একজন গনিতবিদ। বাস্তব জগতের সাথে একটি অবাস্তব জগত তার মনে জায়গা করে নেয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু এটা কেউ অনুধাবন করতে পারত না। সবাই ধরে নিত মেধাবীরা একটু পাগ্লাটেই হয়। MIT তে ক্লাস নিতে গিয়ে একটি মেয়েকে ভাল লাগে তার। হয়ে যায় একটি সুন্দর সম্পর্ক যার পরিনতি পরিনয়ে। কিন্তু তার মানসিক রোগটা কিছুদিন পর ধরা পড়ে। সে একাকী অনুভব করে। তার সঙ্গিনী তার পাশে থাকে সবসময়। নিজের অপার চেস্টা আর প্রিয় সঙ্গিনীর ভালবাসায় সে জয় করে তার দুরারোগ্য রোগটিকে। ছবির শেষ দিকে গনিতে অবদান রাখার জন্য তাকে নোবেল প্রাইজ এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সেখানে সে এর সবটুকু ক্রেডিট দেয় তার ভালবাসার মানুষটিকে যে তার ভয়ঙ্কর রোগটির কথা জেনেও তাকে ছেড়ে যায় নি বরং তাকে সবসময় অনুপ্রেরনা দিয়ে পাশে থেকেছে। ছবির ডায়ালগগুলো ভালভাবে বুঝলে আবগে আপ্লুত হয়ে যাওয়া খুব বেশী স্বাভাবিক।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 98
Blog Title: অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য, মা!
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Culture & Literature
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সেই জন্মেরও অনেক আগে থেকেই তুমি আমায় দিয়ে যাচ্ছ, ভরিয়ে তুলেছ প্রতিনিয়ত, তোমার অকৃত্রিম স্নেহ আর ভালোবাসায় ... আর আমি অধম? শুধু নিয়েই চলেছি। জানি তোমার ঋন কখনো শোধ হবার নয়, তবু, সেই চিন্তাও কী কখনও মাথায় এসেছে বা আসে? মনে পড়ে না! যখন যেখানেই থাকি না কেনো, তুমি ঠিকই খোঁজ নাও; ঠিক তোমার ফোন পেয়ে যাই- বাবা, কেমন আছ? বাসায় গেলে আমার আওয়াজ পেলেই তোমার ব্যাকুলতা দেখি- কী খবর, কেমন আছ বাবা? কিন্তু কদাচিত দু একবার ছাড়া আমি মনে করতে পারি না কখনো তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি, কেমন আছ মা! আমি জানি, বাসায় কোন বিশাল সাইজের মাছ এলে প্রায়ই কিছু টুকরো চলে যায় ডীপে, আমি কবে আসব তার অপেক্ষায়! অথচ এখানে? ক্রমাগত মাছ, মাংস, ফ্রাইড চিকেন, বিরিয়ানী কিংবা খিচুরী যাই খাই না কেনো, একবারের জন্যেও মনে পড়ে না তুমি আজ কী খেলে, কেমন খেলে! ফেক ব্যাস্ততায় তোমার জন্য আলাদা করে দুটো মিনিট বের করার সময় হয় না আমার। অথচ অফিস, বাড়ির নানান সব ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের কথা তোমার এক মুহুর্তের জন্যেও বিস্মরণ হয় না! আসলে তুমি তো মা! মায়েরা এমনিই! পাওয়ার হিসেব কী তারা করেন, দেয়াতেই তাদের সন্তুষ্টি; অপার আনন্দ! তাই তো তোমরা মহিমান্বিত! ভালো থেকো মা, অনেক ভালো। তোমার জন্য, সকল মায়ের জন্য, ভালোবাসা, অনেক অনেক ভালোবাসা।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 97
Blog Title: ভাষার উৎস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Education/Training
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ভাষার উৎস (ইংরেজি: Origin of language), যার ভাষাবৈজ্ঞানিক ইংরেজি নাম গ্লটোগনি বা গ্লসোগনি (Glottogony, Glossogeny), নিয়ে বহু শতাব্দী ধরে লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু ভাষার পরিবর্তনশীলতার জন্য প্রাচীন ভাষাগুলির উৎসের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য প্রায় নেই বললেই চলে। মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসে আকার-ইঙ্গিতের নির্বাক অথবা প্রাক-ভাষা থেকে অন্তত একবার মৌখিক ভাষার জন্ম হয়। কিন্তু এর বেশি জানা নেই। বর্তমান মানব সভ্যতার কোথাও এখন সেই আদিম প্রাক ভাষার অস্তিত্ব নেই[১]। বিজ্ঞানীরা তাই বিভিন্ন অপ্রত্যক্ষ পদ্ধতি (indirect method) প্রয়োগ করে ভাষার উৎস খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

৮০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার কিছু জঙ্গলে বাস করত এপ-জাতীয় কিছু প্রাণী। এই এপ-জাতীয় প্রাণীগুলির মধ্যে শিম্পাঞ্জি ও মানুষদের পূর্বপুরুষও ছিল। এরা সম্ভবত ছিল বর্তমান গরিলাদের মত। এরা মূলত বৃক্ষে বসবাস করত, মাটিতে চার পায়ে হাঁটত এবং বিশ-ত্রিশটার মত ভিন্ন ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করত। আজ থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে মানুষের পূর্বপুরুষ প্রাণীটি শিম্পাঞ্জিদের পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে এই প্রাণীগুলির ভাষা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশ উন্নত; কিন্তু মানুষদের এই আদি পূর্বপুরুষদের ভাষার প্রকৃতি সম্পর্কে খুব কমই জানতে পারা গেছে। আধুনিক মানুষ তথা Homo Sapiens-এর ভাষার উৎস নিয়ে বিংশ শতাব্দীর বেশির ভাগ সময় ধরেই তেমন গবেষণা হয়নি। কেবল অতি সম্প্রতি এসেই এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞানী, জিনবিজ্ঞানী, প্রাইমেটবিজ্ঞানী এবং স্নায়ুজীববিজ্ঞানীদের আহরিত তথ্য কিছু কিছু ভাষাবিজ্ঞানী খতিয়ে দেখছেন।

বিশ্বের অনেক ধর্মেই ভাষার উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে। ইহুদী-খ্রিস্টান-ইসলাম ধর্মের ধারায় বলা হয়, ঈশ্বর প্রথম মানুষ আদমকে বিশ্বের যাবতীয় পশু-পাখীর উপর কর্তৃত্ব দেন, এবং আদম এই সব পশু-পাখির একটি করে নাম দেন; এটি ছিল আদমের ভাষাজ্ঞানের প্রথম বড় প্রয়োগ। বর্তমানে পৃথিবীতে ভাষার প্রাচুর্যের কারণ হিসেবে বাবেলের মিনারের কাহিনীর উল্লেখ করা হয়; এই কাহিনী অনুসারে বর্তমান পৃথিবীতে ভাষার প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্য হল মানুষের ঔদ্ধত্যের শাস্তি। এই ধর্মীয় কাহিনীগুলি অতীতে মেনে নেয়া হলেও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ভাষার উৎসের একটি প্রাকৃতিক, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

১৮শ শতকের বেশ কিছু ইউরোপীয় দার্শনিক যেমন জঁ-জাক রুসো, কোঁদিয়াক, হার্ডার, প্রমুখ মনে করতেন ভাষার উৎস নির্ণয় করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। ভাষা যে মানুষের লিখিত ইতিহাসের চেয়ে বহু প্রাচীন, এ ব্যাপারটিকে তারা তেমন আমল দেননি। তাঁরা মনে করেছিলেন, ভাষাহীন মানুষ কীভাবে বসবাস করত, তা মনের পর্দায় গভীরভাবে কল্পনা করে যৌক্তিকভাবে এগোলেই ভাষার কীভাবে উৎপত্তি হল, সে বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই অনুমানগুলির মধ্যে কোন ঐকমত্য নেই। ১৯শ শতকে ভাষার উৎস নিয়ে এমন সব উদ্ভট, কল্পনাপ্রসূত তত্ত্বের অবতারণা করা হয়েছিল, যে ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে প্যারিসের ভাষাতাত্ত্বিক সমিতি একটি নির্ভরযোগ্য সংগঠন হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের সমিতিতে ভাষার উৎস সংক্রান্ত যেকোন গবেষণাপত্র পাঠে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আজও বেশির ভাগ ভাষাবিজ্ঞানী ভাষার উৎস সম্পর্কে তেমন আগ্রহী নন, কেননা তাদের মতে ভাষার উৎস নিয়ে যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত এতটাই কল্পনাপ্রসূত যে এগুলিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বের সাথে নেয়া সম্ভব নয়।

১৯৬০-এর দশক থেকে নোম চম্‌স্কির প্রবর্তিত ধারণাগুলি ব্যাকরণের তত্ত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চম্‌স্কির মতে ভাষাবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় একটি প্রশ্ন হল মস্তিষ্কে অন্তর্নিহিত যে ক্ষমতাবলে মানুষ তার জীবনের প্রথম বছরগুলিতে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দক্ষভাবে কোন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করে, সেই জৈবিক ক্ষমতার প্রকৃতি কী? এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাষার উৎসের গবেষণা বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানের একটি অংশ বলেই মনে হয়। কীভাবে আদি মানুষের মধ্যে এই অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বিকাশ ঘটেছিল? অন্যান্য প্রাইমেটদের মধ্যে কীভাবে এর বিবর্তন ঘটে? চম্‌স্কি নিজে অবশ্য বেশ স্পষ্টভাবেই ভাষার বিবর্তন নিয়ে গবেষণাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। ফলে চমস্কীয় ভাষাবিজ্ঞানীরা এক ধরনের স্ববিরোধিতার মধ্যে কাজ করছেন। তাঁরা সব ভাষাকে একটিমাত্র বিশ্বজনীন ব্যাকরণের আওতায় এনে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন, যে ব্যাকরণের উৎস হল মানুষের অন্তর্নিহিত ভাষিক ক্ষমতা। অথচ এই ক্ষমতাটির উদ্ভব ও বিকাশ কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে তাঁরা খুব একটা চিন্তিত নন। ইদানীং স্টিভেন পিংকার-সহ আরও কিছু বিজ্ঞানী এই নিরুদ্বেগ কাটিয়ে ভাষার উৎসের ব্যাপারে মনোযোগী হয়েছেন।

নৃবিজ্ঞানে কেবল মানুষের সংস্কৃতি নয়, জীববৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের বিবর্তনের ধারাও আলোচিত হয়। নৃবিজ্ঞানীরা ভাষাকে মানুষের সংস্কৃতির একটি প্রপঞ্চ হিসেবে যেমন গণ্য করেন, তেমনি এটিকে আধুনিক Homo Sapiens-এর সবচেয়ে স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য হিসেবেও মর্যাদা দেন। তাই সাংস্কৃতিক ও জীববৈজ্ঞানিক উভয় ধরনের নৃবিজ্ঞানীরাই ভাষার উৎস সম্পর্কে আগ্রহী।

ভাষার যে প্রত্যক্ষ লিখিত নিদর্শন পাওয়া গেছে, তার বয়স ৫ হাজার বছরের বেশি নয়। মুখের ভাষার উৎপত্তি কী করে ঘটল, তার উপর এই প্রমাণ তাই আলোকপাত করতে পারে না। তাই ভাষার উৎসের জন্য আমাদেরকে অপ্রত্যক্ষ প্রমাণের উপরেই নির্ভর করতে হবে। প্রাচীন মানুষদের বাগযন্ত্র (জিহ্বা, ঠোঁট, স্বরযন্ত্র) সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারলে আমরা অনেক কিছু জানতে পারতাম, কিন্তু এগুলি নরম পেশীকলা দিয়ে তৈরি বলে আজ আর এগুলির অস্তিত্ব নেই। নৃবিজ্ঞানীদেরকে তাই খুলির হাড় থেকেই প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এর বাইরে প্রাচীন মনুষ্যবসতির আশেপাশে পাওয়া পাথরের হাতিয়ার, ফেলে দেওয়া জীবজন্তুর হাড় ও অন্যান্য উপকরণ থেকে যতদূর সম্ভব তথ্য আহরণ করতে হয়। এ সব বিচার করে নৃবিজ্ঞানীরা দুইটি তুলনামূলকভাবে স্থির তারিখের উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে একটি তারিখের পর থেকে নিশ্চিতভাবেই মানুষের মুখের ভাষা তার আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে অপর তারিখটির পূর্বে নিশ্চিতভাবেই মানুষের মুখের ভাষা তার আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করেনি। এই দুই তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে ভাষার বিবর্তন কীভাবে ঘটেছিল, দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে প্রাপ্ত প্রমাণাদি থেকে এ সম্পর্কে কোন নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। নৃবিজ্ঞানীরা আরও মনে করেন, ভাষার উৎপত্তির ঘটনা ইতিহাসে একবারই ঘটেছিল, একাধিকবার নয়। বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত মনুষ্য ভাষাগুলির মধ্যে গাঠনিক সাদৃশ্য এই অনুমানের ভিত্তি। ধারণা করা হয় আধুনিক ভাষাক্ষমতা বলতে যা বোঝায়, তার সূচনা ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়াতে Homo Sapiens-দের বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণা অনুসারে এই ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে ৪০ থেকে ৬০ হাজার বছর আগে।

অন্যদিকে এ কথাও সত্য যে আধুনিক মুখের ভাষাগুলির বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য মানুষের বিশেষ উল্টো L আকৃতির বাগনালী প্রয়োজন, এবং স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংক্সের গলার বেশ ভেতরে থাকা প্রয়োজন। কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে নিয়ান্ডার্থাল মানুষদের মধ্যেও ল্যারিংক্সের অবস্থান গলার বেশ উপরের দিকে ছিল এবং তাদের পক্ষে বর্তমান মনুষ্য ভাষার ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করা সম্ভব ছিল না। আবার কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিক মনে করেন মানুষ যখন দুই পায়ে হাঁটা শুরু করেছিল, তখন মানুষের মাথার খুলি মেরুদণ্ডের সাথে একই রেখাতে চলে আসে এবং খুলির ভিত্তির সংকোচন ঘটে, ফলে মানুষের স্বরযন্ত্র গলার গভীরে নেমে আসে। এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন দ্বিপদী মানুষটি হল australopithecus afarensis প্রজাতির লুসি-র কঙ্কাল, যার বয়স প্রায় ৩০ লক্ষ বছর। সুতরাং অনুমান করা যায়, ঐ সময়ের দিকেই মানুষের ভাষা উৎপাদনকারী বিশেষ বাগযন্ত্রের উৎপত্তি হয়েছিল।

আদি মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তনের সাথে ভাষার উৎপত্তির সম্পর্ক স্থাপন করা আরও কঠিন। আদি মানুষের মস্তিষ্কের কোন অবশেষ আমাদের কাছে নেই। এদের মাথার খুলির ভেতরের খাঁজ থেকে মস্তিষ্কের বহির্গঠন সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশের সাথে ভাষার ক্ষমতা জড়িত, তাকে ব্রোকা-র এলাকা বলা হয়। মানুষের আদি পূর্বপুরুষদের মধ্যে ব্রোকার এলাকার মত কোন এলাকা ছিল কি না তা যদি জানাও যায়, তার পরেও সেটি ভাষার উৎস সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে পারবে না। ব্রোকার এলাকা শুধু ভাষা নয়, মানুষের অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত। এছাড়া শিম্পাঞ্জি ও অন্যান্য এপ-জাতীয় প্রাণীর মস্তিষ্কের মধ্যে এরকম কোন আলাদা এলাকা দেখতে পাওয়া যায়নি, যা তাদের মৌখিক ভাষার সাথে সম্পর্কিত।

কোন কোন পণ্ডিত ডান হাতে কাজ করার প্রবণতার সাথে ভাষার সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বেশির ভাগ মানুষের ডান হাতে কাজ করার প্রবণতা বেশি, আর মানুষের ডান হাত নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের বাম অংশ, যে অংশে ভাষা এলাকাগুলি অবস্থিত। তারা মনে করেন যে যদি দেখানো যায় যে প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা বেশির ভাগ ডান হাতে কাজ করত, তাহলে হয়ত ভাষার উৎসের সাথে এই ডান হাতে কাজ করার একটা সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু ডান বা বাম হাতে কাজ করার প্রবণতার সাথে ভাষিক দক্ষতার কী ধরনের কার্যকারণ সম্পর্ক আছে, তার কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আজও দেয়া সম্ভব হয়নি।

জীববৈজ্ঞানিক নৃবিজ্ঞানের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মনে হতে পারে যে মানুষের ভাষিক দক্ষতার উন্নতির ছাপ তার আশেপাশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে, তার হাতিয়ারে, সরঞ্জামে, শিল্পে, ইত্যাদিতে পড়ার কথা। আসলেই প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে মানুষের হাতিয়ার ও সরঞ্জামের বৈচিত্র্য ও মানে এক ধরনের ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। ফ্রান্সের লাস্কো-র বিখ্যাত গুহাচিত্রগুলিও প্রায় ৩০ হাজার বছর পুরনো। কিন্তু এই তারিখগুলিকে আধুনিক ভাষা উদ্ভবের তারিখ হিসেবে বেশ দেরির তারিখ বলেই গণ্য করা হয়।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 96
Blog Title: পৃথিবীর ইতিহাস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Education/Training
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সৃষ্টির শুরু ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ “থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ। গলিত লাভার সমুদ্র থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর। প্রথম মহাদেশ এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ। প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”। নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে। মহা-মহাদেশ মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো। ভয়ংকর শীতকাল ৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ। প্রাণের বিস্ফোরণ ৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়। প্রাণীজগতের বিলুপ্তি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের। বরফ যুগ পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ। প্লাস্টিক যুগ? বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে। লৌহ যুগ? আদিম যুগ? আধুনিক যুগ
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 95
Blog Title: পৃথিবীর ইতিহাস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Education/Training
Location: ABROAD
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সৃষ্টির শুরু ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ “থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ। গলিত লাভার সমুদ্র থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর। প্রথম মহাদেশ এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ। প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”। নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে। মহা-মহাদেশ মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো। ভয়ংকর শীতকাল ৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ। প্রাণের বিস্ফোরণ ৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়। প্রাণীজগতের বিলুপ্তি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের। বরফ যুগ পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ। প্লাস্টিক যুগ? বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে। লৌহ যুগ? আদিম যুগ? আধুনিক যুগ
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 94
Blog Title: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Education/Training
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত প্রতি বছর ১লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১লা মে জাতীয় ছুটির দিন। আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।

১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলীবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। [১][২][৩][৪] ১৮৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক-এর প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে।[৫] ১৮৯১ সালের আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। এরপরপরই ১৮৯৪ সালের মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। পরে, ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই উপলক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে দৈনিক আটঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবী আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজনের সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের (ট্রেড ইউনিয়ন) প্রতি আহবান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে “শ্রমিকদের হতাহতের সম্ভাবনা না খাকলে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে’র ১ তারিখে “বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার” সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[৬] অনেক দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে পালনের দাবী জানায় এবং অনেক দেশেই এটা কার্যকরী হয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট এবং কিছু কট্টর সংগঠন তাদের দাবী জানানোর জন্য মে দিবসকে মুখ্য দিন হিসাবে বেছে নেয়। কোন কোন স্থানে শিকাগোর হে মার্কেটের আত্মত্যাগী শ্রমিকদের স্মরণে আগুনও জ্বালানো হয়ে থাকে। [৭] পূর্বতন সোভিয়েত রাষ্ট্র, চীন, কিউবাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মে দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সে সব দেশে এমনকি এ উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতেও এই দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে আসছে। ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯২৩ সালে।[৮] আমেরিকা ও কানাডাতে অবশ্য সেপ্টেম্বর মাসে শ্রম দিবস পালিত হয়। সেখানকার কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমের নাইট এই দিন পালনের উদ্যোগতা। হে মার্কেটের হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড মনে করেছিলেন পয়লা মে তারিখে যে-কোন আয়োজন হানাহানিতে পর্যবসিত হতে পারে। সে জন্য ১৮৮৭ সালেই তিনি নাইটের সমর্থিত শ্রম দিবস পালনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।[৯]
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 93
Blog Title: Helen Keller International serves the world's vulnerable
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: NGO
Location: ANYWHERE
Company Name: Helen Keller International
Blog Details: Ethiopian gender & disability champion Yetnebersh Nigussie awarded the Spirit of Helen Keller Award 2018 New York, 8 March 2018: Helen Keller International, a global NGO dedicated to saving and improving the sight and lives of the world’s vulnerable, today announces Yetnebersh Nigussie as the recipient of The Spirit of Helen Keller Award 2018. Nigussie is being awarded for her personal journey of determination and compassion and the global voice she gives to raise awareness and advocate for the rights of people with disabilities and inclusive education.
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 92
Blog Title: ঘোড়ামেলা
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: এ ছাড়া সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে প্রচলিত যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে। শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 91
Blog Title: লেখা চুরির জন্য রাইট ক্লিক বন্ধ করলে সামুর ক্ষতিই বেশি হবে।
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Business Type: Media/Advertisement/Event Mgt.
Location: DHAKA
Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: লেখা চুরির জন্য রাইট ক্লিক বন্ধ করেছে কিন্তু এটা একটা বড় সমস্যা সৃস্টি করেছে। লিংকে রাইক ক্লিক করে ঐ উইন্ডোটা খোলা যেতো...এখন যাবেনা। এটা খুবই বিরক্তিকর ।এখন লেখা লিখে প্রকাশ করার সময় কপি করে রাখতাম কারন যদি প্রকাশের সময় নেটে সমস্যায় পেজে সমস্যয় লেখাটা হারিয়ে না যায়... এখন সেটা হচ্ছে...
Blog Source Link: Plz, click here to show
Blog Id: 90
Blog Title: Whispering Wanderers
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@ministerbd.com
Business Type: Media/Advertisement/Event Mgt.
Location:
Company Name:
Blog Details: Cantonment Street Food, Bangalore Being away from Bangalore for 6 months now, has kicked off the craving season. A craving for the city's fine weather and for the eat-outs that I used to frequent with the wife. To get over the craving, I couldn't think of a better way than to write about the places and food I miss, specifically around the Cantonment, where I grew up. Feel free to add to the list in the comments section. No list about food can be exhaustive. 1) Butter Brothers of the Benne Dosa fame, Jewelers Street That's not really what they call themselves. What do they call themselves? Nothing! There is no board indicating their identity. I've seen them at the same place for about 25 yrs + now. On Commercial Street look for the lane opposite the police station, just preceding it. Walk down and stop at the second intersection of narrow roads. With some luck, you'd notice a benne dosa cart attached to a tiny nook with ancient green doors. The older of the brothers, hands out the dosas and collects cash, and the younger brother plays magician. 3 stoves and pans on them are his arsenal, relics of thousands of dosas over the years. 2 lids move between the 3 pans at a consistent speed, punctuated by dollops of butter hitting the batter. In the monsoons, you could go singing 'butter, batter, rain drops'. By far the best butter dosas I've had across the city, and that includes the Vidyarthi Bhavans and CTRs. Don't get there before 5 30 pm or after 8 30 pm. Mondays are closed and ensure you carry sufficient patience along with hard currency. If you are queasy about large crowds walking by staring at you while you eat, this may not be your place. Learn to adjust to them and make them a part of the experience (without offering them a bite). 2) Thom's Cafe, Frazer Town No school year was done until it was truly finished gorging into the best Pineapple Pastry this side of the city. Thom's like its counterpart Koshy's, is as old as the Anglo-Indian community in Cantonment. I still remember running back from school, waiting for the special days for which the pastry was reserved. From a small bakery with the best smells of fresh baked bread, to a full fledged supermarket, its come a long way. Yet, nothing has changed - right from the out-of-circulation 1 and 2 Rs. notes under the massive glass at the cash counter to the most amazing puffs and pastries. Best time to visit them - anytime. Be willing to walk through really narrow aisles. Parking is not an issue and time permitting soak in some divine essence at the St. Aloysius Cathedral, a short walk away. Christmas or not, they have the freshest dark plum cakes in the city - don't miss them either. 3) Shankar Chats, Wheeler's Road Just down the road from Thom's Cafe, is what is reputed to be the oldest chat center in Bangalore. Tough to validate that claim considering no one keeps a census of such things. But then again, census' are for the boring folks. Shankar Chats is on Wheeler's road. Follow Kamaraj Road from Thom's Cafe into Wheeler's and stop at the second road that leads off to the right. At the entrance you will find a significant crowd thronging a cash counter with patrons filling up every bit of standing and walking space of the lane next to it. They also deliver to the car if you can find a spot to stop by and are thick-skinned enough to let the honking cars not bother you. Tough luck if the traffic cops are around. May I recommend the Mixed Chat for 40 bucks please!! :) The menu is minimal and the spices are liberal. Get your own bottle of water I'd suggest. 4) Chowpaty Kulfi, MM Road Especially for the Mumbaikars away from Mumbai. If you ever feel like popping in one of those amazing kulfis with falooda, this is the place to be. And come the hour of breaking fast during Ramzan and riseth the glory of Mosque road. Drive down Mosque Road heading north. Enter MM Road on the left, at the junction after Hotel Empire and look out for the break in the divider. To the right is Bombay Chowpatty. A u-turn and some deft parking would help at this point. If you are worried about the pani in pani puri, find the nearest bin and drop your worries in. Corn flour puris greet you with smiles breaking on their delicate tops as they are filled with peas and you with peace. The pani is hygienic and not once has it given me reason to worry. Wash it down with said falooda and kulfi. 5) Rawal Jalebi Center, Veerapillai Street Not so much a center as a 10 ft. x 6 ft. room with the stove jutting onto the road, calling out patrons in blazing orange. Rawal is a one-man operation. About 8 months ago he shifted from the tiniest of cubby holes where only Rawal could stand to a place where 5 people can be seated. If you are around Commercial Street shopping, put that reminder on the phone to get some hot jalebis. From the main entrance of Commercial Street, head down along Kamaraj Road. About 100m later at the Vithoba temple, take a left and enter Veerapillai Street. In case you want to bring your car along, forget the jalebis. Enter V street and 100 feet into the street, on the right is Rawal's jalebi shop. Opens only around 6 pm and runs until 9 30 to 10 00 pm most nights. Don't forget to say a hearty thank you to Rawal uncle. Get repaid by a reaction that suggests Rawal doesn't care 2 drops of sugar syrup about you. All the sweetness of his life is in the jalebi. 6) Ebrahim Sahib Street, Ebrahim Sahib Street or Ibrahim Sahib Street if you go by municipal records. Only one lane away from and parallel to Commercial Street with multiple narrower lanes connecting the two. Most of the street is full of food carts, many which lend their origins to the ChIndi cuisine of Gobi Manchurian and Noodles. The place is more diversified now with South Indian and other North Indian options available. Its lost its sheen over time, though remnants of the Chinese invasion remain in parts, slowly giving way to garments by the pavements. This one's just to see what a hungry horde can do to a street if given enough options to eat. I could mention a few more but heh! 6 is a good start as any. Many of these places have heart-clogging options for the meat-lovers I gather (Siddique's). But cannot vouch for! And along the yawning potholes and 'tar'nished roads are many more places one could spend a day eating. Its winter time and what better way to warm up the insides than this, especially if you are around the Cantonment in Bangalore.
Blog Source Link: Plz, click here to show

Home Page